প্রাকৃতিক দুর্যোগেও থেমে থাকে না কর্মময় জীবন
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ
সবাইকে এই বৃষ্টি ভেজা সন্ধ্যার শুভেচ্ছা। আশা করছি সকলে বেশ ভালো আছেন এই বৃষ্টির ভিতর। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি এবং সুস্থ আছি। সকলের সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন এবং আমার জন্য দোয়া করুন আমিও যেন ভাল থাকি। সকলের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে আজকের ব্লগিং লিখতে চলে আসলাম।
তখন সময় সকাল ছয়টা ২৪ অক্টোবর, সোমবার,। টিনের উপর ঝমঝম করে বৃষ্টি পড়ছিল। টিনের ঝমঝম শব্দে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে গেল। বাহিরে এসে দেখি মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। ঘুম চোখ নিয়ে আবার বিছানায় চলে গেলাম এবং ঘুমিয়ে পড়লাম।
ঘুম থেকে ওঠার পরে দেখি অফিসে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। তবে সারারাত বৃষ্টির কারণে কারেন্ট ছিল না এবং তার জন্য পানি উঠানো সম্ভব হয়নি সেজন্য ট্যাপে বিন্দুমাত্র পানি ছিল না। গোসল না করে কোন রকম ব্রাশ করি এবং সকালে নাস্তা না করে অফিসে চলে আসি।
অফিসে আসার পরেই আমার কার্যক্রম শুরু হয়ে যায়।
প্রতিদিনের মতো অফিসের প্রোডাকশন এবং কোয়ালিটি ঠিক রেখে কাজ করতে শুরু করি। যাইহোক খুব দ্রুত গতিতে চলছে আমার কাজের গতি।
একদিকে সকালে নাস্তা না করার কারণে পেটে প্রচন্ড ক্ষুধা এবং অনেক অনেক বিরক্ত লাগছিল সকালবেলা গোসল না করে অফিসে আসার কারণে। তারপরেও জীবিকা নির্বাহ করার জন্য আমাকে অফিসে উপস্থিত হতে হয়েছিল ঠিক সময় মত এবং ঠিক সময় মত আমাকে প্রতি ঘন্টার কাজ প্রতি ঘন্টায় করতে হয়েছিল।
চারিদিকে জমজম করে বৃষ্টি পড়ছে। এদিকে যে অফিসের ক্যান্টিনে যাব তার কোন উপায় নাই। মাস শেষ হয়ে যাবার কারণে পকেট একদম ফাঁকা প্রায় অবস্থা। যাইহোক কোনরকম পানি খেয়ে এবং শুকনো খেজুর খেয়ে আবারো কাজ করতে শুরু করলাম।
লাঞ্চের সময় আধা ভেজা অবস্থা নিয়ে ছুটে চলেছি ভাষার উদ্দেশ্যে। এই বৃষ্টির দিনেও গবাদি পশুগুলো রাস্তার পাশে ঘাস খাচ্ছিল। থেমে নেই এই পশুটির ও আমার মত খাদ্য ও সন্ধানে র আশা।
একদিকে চারিদিকে আকাশে মেঘ। অপরদিকে সকালে গোসল না করেই সকালের নাস্তা না করে অফিসে চলে আসতে হয় আমাকে। আবার অফিসে আসার পরে যে হালকা নাস্তা করার জন্য ক্যান্টিন রুমে যাব সে উপায়টুকু পর্যন্ত নাই।
আসলে এসব কিছুই ভাগ্য। সেই ভাগ্যের দোষ দিয়ে লাভ কি। কর্মময় জীবনে আমরা সত্যিই অসহায়। একশত ঝড় কিংবা প্রাকৃতিক দুর্য োগ মোকাবেলা করে আমাদেরকে ঠিক সময় মতই অফিসে আসতে হয় এবং অফিসের কাজকর্ম করতে হয়।
শরীর অসুস্থ কিংবা বাসাতে কেউ অসুস্থ কিংবা শারীরিক কোন সমস্যা কোন এক্সকিউজ দেখার সময় নাই অফিস কর্তৃপক্ষের।
তাছাড়া এগুলো দেখেই বা কি লাভ?? মধ্যবিত্ত মানুষের একটা সমস্যা রয়েছে। যতই সমস্যা হোক না কেন একটি প্রতিকূল অবস্থা দূরে রেখে প্রতিনিয়ত কর্ম করে যেতে হয়। কেননা জীবন এবং জীবিকা নির্বাহ করতে কর্ম ছাড়া আমাদের যে আর কোন রাস্তা নেই।
যদিও প্রত্যেকটি মানুষ কর্মময় জীবন ব্যস্ত সময় পার করে তবে মধ্যবিত্ত মানুষগুলো তার থেকে একটু বেশি নিম্ন মধ্যবিত্ত। কেননা যতই আবহাওয়া খারাপ কিংবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ থাকুক তাদের কর্মময় জীবন কখনোই থেমে থাকে না। শত বাধা উপেক্ষা করে তাকে ছুটে চলতে হয় কর্মের সন্ধানে এবং খুঁজে নিতে হয় তাদের জীবিকা।
বেঁচে থাকুক পৃথিবীর সকল কর্মময় মানুষগুলো যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের জীবিকা এবং জীবনবিবাহ করছে।
আর এ কারণেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও প্রতিকূল অবস্থা থামিয়ে রাখতে পারেনা আমাদের কর্মময় জীবনকে।
All photography w3w location code
https://w3w.co/hairspray.strike.blinking | w3w |
---|---|
Device | Samsung galaxy f22 |
Category | lifestyle |
Photographer and bolgger | @steem-for-future |
Location | gazipur bangladesh |
এটাই ভাইয়া করব যে মানুষের জীবনের অবস্থা । মাথার উপর দিয়ে যত বিপদ-আপদেই চলে আসুক না কেন কর্মজীবী মানুষদের অফিসে যেতেই হয়। মাস শেষ হয়ে যাবার ফলে পানি আর শুকনো খেজুর খেয়ে অফিস করলেন ব্যাপারটা সত্যিই কষ্টকর। কি আর করা যাবে ভাইয়া মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান বলে কথা।
তারপরেও কখনো হতাশ হয়নি ভাই। চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত নিজের অবস্থান থেকে কিছুটা উন্নতি আহরণ করার জন্য। দোয়া করবেন ভাই
ভালোবাসা রইলো চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি বলেছেন ভাইয়া যতই বিপদ আপদ আসুক না কেনো
জীবিকা নির্বাহের জন্য অফিসে ছুটে চলতে হবে।মাস শেষ হবার কারণে পানি ও শুকনো খেজুর দিয়ে নাস্তা করেছেন আসলে মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য এ ছাড়া আর উপায় কি। তারপরেও বেঁচে থাকুক পৃথিবীর সকল কর্মময় মানুষগুলো যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
হৃদয় নিয়ে পোস্ট টি তৈরি করেছিলাম। তবে আপনাদের অনেক চমৎকার মন্তব্য দিয়ে বেশ সার্থক মনে। আসলে এটাই আমাদের জীবন।
অসংখ্য ধন্যবাদ তোকে এত চমৎকার মন্তব্য দেওয়ার জন্য।