সুখী হতে হলে কিছু বিষয়টি মেনে চলা অবশ্যই অত্যবশ্যকীয় অধ্যায়। ১০% 🦊
আসসালামু আলাইকুম।
হ্যালো #amarbanglablog
আশাকরি সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। সকলের সুস্থতা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং। আমি আজকে আমাদের মন এবং মানসিকতা নিয়ে কিছু বলার জন্য উপস্থিত হয়ে গেলাম। আমাদের পুরো মানব জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মন। এবং মনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য একমাত্র অবলম্বন এবং হাতিয়ার হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক। যাইহোক মস্তিষ্ক আমাদেরকে যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করে আমরা ঠিক সেভাবেই আমাদের জীবন পরিচালনা করি।
আপনি জীবনটাকে যেভাবে পরিচালনা করতে চান ঠিক সেই ভাবেই পরিচালনা করা সম্ভব। কবে সর্বপ্রথম আপনার মস্তিষ্কের চিন্তাধারা সঠিক রাখতে হবে। সঠিক চিন্তা ধারার মাধ্যম দিয়ে আপনি যদি আপনার কর্ম করে যান তাহলে অবশ্যই আপনি দেখবেন এক সময় আপনি আপনার মস্তিষ্কের ধারণা অনুযায়ী নিজেকে পরিচালনা করতে পারবেন। আমাদের জীবনটা রঙিন। যদি আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের জীবনটাকে রঙিন ভাবে চালাতে সক্ষম হই। অর্থাৎ সব সময় আমাদের জীবনের প্রতি যথেষ্ট পরিমাণে ভরসা রেখে এবং সেই ভরসা রুপোর কাজ সম্পাদন করতে পারলেই আমাদের জীবনটা রঙিন হতে পারে। তবে জীবনটাকে অতিরিক্ত রঙিন করতে গিয়ে আবার সবকিছু যেন গুলিয়ে না যায় সেদিকে বিষয় রাখাটা আমাদের অবশ্যই জরুরি একটি বিষয়। অর্থাৎ জীবন স্বাভাবিক থাকাটা মার্জনীয়। তাছাড়াও কেউ কেউ আবার জীবনের রং আনয়ন করা টা পছন্দ করে। তবে আমার মনে হয় এটা কোন দোষের কিছু না। সবসময়ই মার্জনীয় এবং ধৈর্য সহকারে যদি আপনি বিষয়গুলো উপলব্ধি করতে পারেন তবে অবশ্যই আপনি আপনার জীবনের রং পরিবর্তন করতে পারেন এবং সবসময় জীবনটাকে রঙিন রূপ দিতে পারেন।
জীবনটাকে রঙিন এবং মধুময় করে রাখতে হলে আমাদের অবশ্যই কঠিন ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। মনে করুন যেকোন কাজ করতে গিয়ে আপনি অল্পতেই রেগে গেলেন কিংবা ধৈর্য হারিয়ে ফেললেন। অর্থাৎ কাজ করার পূর্বে এবং কাজ করার সময় যদি আপনি যথেষ্ট পরিমাণে ধৈর্য এবং সময় দিতে না পারেন তবে অবশ্যই আপনার সফলতা হওয়ার ক্ষেত্রে বড় একটা বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ধৈর্য হলো আমাদের জীবনের সক্ষমতা অর্জনের প্রধান একটি বিষয়। যেকোনো কাজের মাধ্যম হতে পারে ধৈর্যের প্রধান একটা হাতিয়ার। অর্থাৎ আপনি যত বেশি ধৈর্যধারণ করতে পারবেন তত বেশি আপনার কাজের সফলতা শতকরা হার বৃদ্ধি পেতে পারে। অর্থাৎ আপনি যত বেশি ধৈর্যশীল হবেন তত বেশি সফল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং আমাদের কাজ করার সময় কিংবা কাজ করার পূর্বে যথেষ্ট সময় এবং তার সাথে ধৈর্যের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সুতরাং অল্পতেই ধৈর্য না হারিয়ে ধৈর্য ধারণ করে এবং নিজের স্ত্রীর মানসিকতা দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
ভরসা রাখুন আপনার নিজের প্রতি। জীবনের প্রধান এবং বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন এবং হাতিয়ার হচ্ছে ভরসা। ভরসা বলতে এখানে আমি আত্মবিশ্বাস এর কথা বলতে চাই। আপনি যদি আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন তবে দেখবেন যে কোন কাজ করার পূর্বেই আপনার কাজটি প্রায় 40% হয়ে যাবে। অর্থাৎ কাজ করার পুর্বে আপনার মনে যদি স্থির এবং সুনির্দিষ্ট আত্মবিশ্বাস থেকে থাকে তবে আপনি সেখান থেকে অবশ্যই সফলতা পেতে পারেন।
আর জীবনে বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন হচ্ছে সফলতা। যার জীবনে সফলতা নাই শেষ জীবন নিয়ে কখনওই সঠিক সুন্দরভাবে বেঁচে থাকা যায়না। সুতরাং সফলতা পেতে হলে আপনাকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী হওয়া জরুরী। আত্মবিশ্বাস এবং নিজের প্রতি ভরসা রেখে যদি কঠোর পরিশ্রমের ফল প্রকাশ করতে পারেন তবে দেখবেন জীবন টা পাল্টে যাবে নিমিষেই।
নিজেকে তৈরি করুন আরো একটু শক্তিশালীভাবে। কেননা আপনি যে আপনার জীবনকে পরিচালনা করছেন এবং সেখানে আপনাকে অবশ্যই কিছুটা হলেও নিজেকে শক্তিশালী হতে হবে। আপনাকে শক্তিশালী হতে হবে মানসিক দিক থেকে। তবে সেক্ষেত্রে শরীর এবং স্বাস্থ্যের যথাযথ উন্নতি প্রয়োজন। মন ভাল না থাকলে কখনও শরীর এবং অসুস্থতার অর্জন করা যায় না। এবং আপনি যদি সর্বপ্রথম আপনার শরীরকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই কিছু শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে। অর্থাৎ ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনি শারীরিক সুস্থতা অর্জন করতে পারেন। এবং সর্বোপরি আপনি যদি শারীরিক সুস্থতা অর্জন করতে পারেন তবে দেখবেন আপনার মনে কিছুটা প্রফুল্ল থাকবে এবং সেখান থেকে ভালো একটা মানুষের কত তৈরি হবে। যা আপনার জীবনকে পরিচালনা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
মাঝে মাঝে আপনার কিছুটা বিনোদনের প্রয়োজন আছে। কেরালা বিনোদন ছাড়া জীবনটা কেমন জানি একঘেয়েমি লাগে চলে। সুতরাং জীবনের এই অস্বস্তি দূর করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিনোদন পেতে হবে। তবে অবশ্যই চিন্তা রাখতে হবে যে সব সময় আপনার সুস্থ বিনোদনের প্রয়োজন। বিনোদন যেমন একদিকে আপনাকে আনন্দ দিতে পারে অপরদিকে আপনার মানসিকতা পরিবর্তন এবং আপনার আগামী দিনের কাজ করার সক্ষমতা অর্জন করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সুতরাং জীবনকে সামনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিনোদন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং মাঝে মাঝে নিজের মনকেই এবং নিজের জীবনকে প্রফুল্লতা দিতে অবশ্যই আপনার উচিত হবে কিছু চিত্ত বিনোদনের ব্যবস্থা করা।
সর্বোপরি একটা কথা বলতে চাই জীবনকে সমৃদ্ধ সুন্দর এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করতে আপনাকে অবশ্যই সঠিক ধৈর্যধারণ চিত্তবিনোদন এবং মানসিকভাবে প্রস্তুত করতে হলে কিছুটা শারীরিক ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের জীবনকে পরিচালনা করার চেষ্টা করুন। ইনশাল্লাহ জীবনটা কিছুটা হলেও সুন্দর হতে পারে। সকলের জীবনে সৃষ্টিকর্তায় সর্বস্তরে শান্তি এবং সুখময় করে তুলবে সেই দোয়া শুভকামনা এবং অভিনন্দন রইল সকলের প্রতি। ধন্যবাদ সবাইকে।
discord server
join us on discord server here
cc
@shy-fox @amarbanglablog @photoman
my w3w location code
https://w3w.co/readers.paddocks.extension
একদম ঠিক বলেছেন ভাই আমাদের পুরো মানব জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে আমাদের মন এই মনকে নিয়ন্ত্রণ করার একমাত্র হাতিয়ার হচ্ছে মস্তিষ্ক। আসলে এটাকে আমাদের অবশ্যই সঠিক ভাবে চালানো উচিত। আর যদি আমরা জীবনে সুখী হতে চাই জীবনকে সঠিক ভাবে চালাতে চাই তাহলে কিন্তু আমাদের অবশ্যই ধৈর্য ধরতে হবে। আপনার লেখাগুলো খুবই ভালো লাগছে ভাই ধন্যবাদ আপনাকে লেখাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
অনেক চমৎকার মন্তব্য করেছেন ভাই। মন্তব্যসমূহ শুনে অনেক ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
কথাগুলো বেশ ভালো ছিলো।আসলেই বেশি রঙিন করলে কেমন জানি গুলিয়ে যায়।আর ধৈর্য জিনিসটা অনেক বড়।যার যত বেশি ধৈর্য,সে পরবর্তীতে বেশি সুখী হয়।ধন্যবাদ
সুতরাং আমাদের অবশ্যই ধৈর্য ধারণ করা উচিত এবং সবকিছুতে সাধারন একটা ভাব নিয়ে আসা দরকার। যেখান থেকে আমরা সুন্দর একটা সুখী জীবন পেতে পারি।
আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত মানুষ যখন মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তখন সবকিছু তার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। তিন হাত বডিটাকে শাসন করার জন্য সবার আগে প্রয়োজন মস্তিষ্কে নিয়ন্ত্রণ। এত সুন্দর একটি লেখা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। অনেক কিছু শিখতে পারলাম আপনার এই আর্টিকেল থেকে।
সম্পূর্ণ আর্টিকেল ধৈর্য সহকারে পড়ে সুন্দর মন্তব্য দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগ পরিবার এর সাথে যুক্ত হবার জন্য।
আপনি একদম ঠিক একটা কথা বলেছেন। আমাদের পুরো জীবন কে নিয়ন্ত্রণ করে মন। আমাদের মন যদি ঠিক থাকে তাহলে কোনো কাজই আমাদের জন্য খারাপ নয়। এমনকি মন ঠিক থাকলেই আমরা অনেক আনন্দে থাকে। মন যদি ভালো না থাকে তাহলে যতই যায় করা হোক না কেন আমরা কোন কিছুতেই সফল হতে পারি না। আপনার আজকের বিষয়টি খুব ভালো লেগেছে।
সহমত প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে
। আসলে আমি মনে করি মন ভালো থাকলে সবকিছুই করা সম্ভব।
হ্যাঁ জীবনে সুখী হতে গেলে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয় ।যেটা সবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য অনেক কিছু ভেবে চিন্তে করতে হয় অনেক ভালো লিখেছেন পড়ে ভালো লাগলো।
ব্লক টি করে সুন্দর মন্তব্য দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। আসলে আপনাদের এই অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যগুলো আমার কাজ করার প্রতি আগ্রহ জন্মে
অনেক মূল্যবান ও ভারি ভারি কথায় প্রবন্ধটি উপস্থাপন করলেন ।যা মেনে চললে আমাদের অনেকের জীবনের কিছু হলেও ভুল ভ্রান্তি দূর হতে পারবে ।সুন্দর বক্তব্য দেয়া লেখাটি উপস্থাপন করার জন্য, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন আপনার লেখনীর মাঝে আমি বাস্তবিক কথা গুলো খুজে পেয়েছি, জীবনকে সুখী করতে চাইলে নিজের যা আছে তাই নিয়ে সর্বপ্রথম আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাই নিয়ে জীবন পরিচালনা করার রুটিন অনুযায়ী চলতে হবে,
কিন্তু এগুলোর প্রথমে ধৈর্য থাকা আবশ্যক। নিজের মনকে শক্তিশালী ও সতেজ রাখতে হবে সবসময়। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই , আপনার উপস্থাপনা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে ।
বাহ আপনার পোষ্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। সবাইতো সুখী হতে চায়। তবে অনেকে সুখের ছোঁয়া পায় না। আপনার প্রতিটা কথা খুবই অসাধারণ ছিল সুখী থাকতে হলে প্রথমত মন ভালো রাখতে হবে । আসলেই মনের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনার পোষ্টের কথাগুলো যদি কোন মানুষ মেনে চলে তবে সে জীবনে সুখী হবে এবং সফল ও হবে
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয় আর নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকলে সফলতা অর্জন করা কখনও সম্ভব হবে না।
খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আলোকপাত করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।