দীর্ঘ ৭ বছর পর , পাট থেকে আঁশ ছাড়ানো অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারে সে কারণে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি লাইফস্টাইল ব্লগ লেখার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আমি আজকে ব্লগের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করেছি পার্ট থেকে আঁশ ছাড়ানোর অভিজ্ঞতা। সকলেই উপভোগ করতে থাকুন আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।
দীর্ঘ সাত বছর আমি গ্রাম ছেড়ে শহরে থাকতাম। শহরে থাকাকালীন আমি গ্রামের অনেক বিষয়বস্তু অনেক মিস করেছি এবং তার মধ্যে অন্যতম হলো গ্রামের পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর একটা চমৎকার দিন।
ছোটবেলায় যখন আমি গ্রামে থাকতাম তখন এই আশ ছাড়ানোর অভিজ্ঞতা আমার বেশ ভালো ছিল। গ্রামের ভেতরে আমি খুবই একজন নামি মানুষ ছিলাম এবং খুব ভালোভাবে আমি আমার কাজ করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
একটি মানুষের বিভিন্ন গুণাবলী থাকে এবং আমারও ঠিক একটি নির্দিষ্ট গুণাবলী রয়েছে। আমি অন্যান্য কৃষিকাজ করতে না পারলেও কিন্তু পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর অভিজ্ঞতাটা খুব ভালোভাবে আয়ত্ত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। যদিও পরে আমি ঢাকায় চলে গিয়েছিলাম তবে তার পরেও ট্রেনিং আমার খুব ভালোভাবেই দেওয়া ছিল।
গত তিন মাস পূর্বে আমি আমার গ্রামের বাড়িতে এসেছি। গ্রামের বাড়িতে আসার পর বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছিল। পাট কাটা থেকে শুরু করে সেগুলো পরিবহন এবং প্রায় বেশ কিছু কার্যক্রম আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। কৃষি জমি থেকে পাট কাটা শেষ করে সেগুলো পরিবহন করা হয়েছিল এবং সেগুলো একটি পুকুরে পানির নিচে পচানোর জন্য সমস্ত কার্যক্রম শেষ করা হয়েছিল।
তবে যখন প্রায় ১৫ থেকে ১৮ দিন হয়ে গিয়েছে এখন সেগুলো কতটুকু কার্য সম্পন্ন হয়েছে তা দেখার বিষয়
। আমার চাচাতো ভাই আমাদের পুকুরে নেমে পার্টগুলো দেখেছিল এবং অবশেষে আমরা বুঝে ছিলাম পাটগুলো পরিপূর্ণরূপে পৌঁছে গিয়েছিল এবং এগুলো এখন সোনালী আঁশ ছাড়ানোর সময় হয়েছে। তাই সকালে আমি এবং আমার চাচাতো ভাই পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর জন্য আমাদের পুকুরে নেমে গিয়েছিলাম।।
যেহেতু অনেকদিন থেকেই কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ততা নাই তাই পুকুরের পানিতে নামতে বেশ খারাপ লাগছিল। কারণ পুকুরে পাট ডোবানোর পর পুকুরের পানি একদম কালো হয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ হয়ে যায়। তবে যেহেতু তারপরেও দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাবো এবং সে কারণে আমি আজকে পুকুরে নেমে সোনালী আঁশ ছাড়াতে চাই।।
যথারীতি ঘুম থেকে ওঠার পরে আমি পুকুরে নেমেছিলাম এবং পাট থেকে সোনালী আঁশ ছাড়াতে শুরু করেছিলাম। অনেকদিন পর যখন এই নোংরা পানিতে নেমেছিলাম প্রথম অবস্থায় শরীরের ভেতরে একটা ঘৃণা ভাব চলে এসেছিল। তবে যাই হোক তারপরেও অবশেষে বেশ কিছুটা সময় অতিক্রম হওয়ার পর সেই একই কাজ নোংরা পানিতে করতেই বেশ ভালো লাগছিল। এখন আমি পাটকাঠি ও সোনালী আঁশ আলাদা করছি এবং পাশে আমার চাচাতো ভাই আমাকে সেই কাজের জন্য হেল্প করছিল এবং আমরা দুজনে একসঙ্গে অনেক আনন্দময় একটি দিন উপভোগ করছিলাম।।
অনেকদিন পুকুরের এই কালো পানিতে কাজ করতে যদিও খারাপ লাগছিল তবে বিষয়টি আমি বেশ উপভোগ করছিলাম। ঢাকায় থাকার ফলে দীর্ঘ সাত বছর আমি পাটকাঠি থেকে সোনালী আর ছাড়ানোর অভিজ্ঞতা থেকে অনেক বেশি দূরে ছিলাম। অবশেষে আবারো সেই একই কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে পেরে অনেক ভালো লাগছে।
পাটকাঠি থেকে সোনালী আর ছাড়ানো হয়ে গিয়েছিল এবং আমরা বেশ কিছুক্ষণ সময় বিশ্রাম করেছিলাম। তবে মাঝে মাঝে মাথার উপরে প্রচন্ড রোদ এসে আমাকে বিরক্ত করছিল এবং বিষয়টির জন্য আমি বেশ বিরক্ত বোধ করছিলাম।
প্রায় সকাল ১১ টায় আমাদের কাজের সমাপ্তি হওয়ার সময় এসে গিয়েছিল। এদিকে আমাদের সোনালী আঁশ ছাড়ানো হয়ে গেল এবং চমৎকার একটি দিনের অভিজ্ঞতা উপভোগ করেছিলাম।
তবে এখানে একটি বিষয় আমার কাছে এখনো বেশ বেদনার। কারণ বেশ অনেকদিন পর কৃষিকাজ করার ফলে পুরো শরীর প্রচন্ড ব্যথা হয়েছে। তবে আমি আশাবাদী খুব শীঘ্রই এই ব্যথা দূর হবে।
যাইহোক অনেকদিন পর সোনালী আঁশ ছাড়ানোর অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালই উপভোগ করেছিলাম। হালকা শরীরর ব্যথা ও হালকা আনন্দ মন সব কিছু মিলিয়ে বেশ ভালো একটা দিন উপভোগ করা গেল।
কেমন লেগেছে আমার সাত বছর পর পাটকাঠি থেকে সোনালী আঁশ ছাড়ানোর অভিজ্ঞতা।? আশা করছি আপনারা বেশ উপভোগ করেছেন। মূল্যবান সময় দিয়ে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
**
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/steemforfuture/status/1832679635466805642?t=iiIYPNotpzkw-7V2sRERWQ&s=19
গ্রামের এইসব দৃশ্য দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আর এভাবে গ্রামের মানুষগুলো পাট থেকে আঁশ ছাড়িয়ে সেগুলোকে বাজারে বিক্রি করে। আপনি এই কাজে অংশগ্রহণ করেছিলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। সেই সাথে নিজের অভিজ্ঞতা বেশ সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এগুলো শুধু আঁশ নয় । সোনালী আঁশ। আর হ্যাঁ এগুলো প্রক্রিয়াজাত করার পর বাজারে বিক্রি করা হয়ে থাকে। ধন্যবাদ আপু
অনেকদিন পর পানিতে নেমেছেন তো আর যেখানে পাট ধোঁয়া হয় সেই জায়গাটা পার্ট পোঁচে নোংরা হয়ে যায় । তবে কিছুক্ষণ পর আপনার বেশ ভালো লেগেছিল এটাই অনেক। যাইহোক অনেকদিন পর সোনালী আঁশ ছড়ানোর কারণ অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন পড়ে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু। প্রথমে নামতে অনেক খারাপ লাগছিল। যাই হোক পরবর্তীতে ঠিক হয়েছে। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
যেহেতু আমিও গ্ৰামের মধ্যে বেড়ে উঠেছি, তাই আমাকে ও আমার বাবার সাথে এই কাজ করতে হয়েছিল। আপনি দেখছি আপনার পাঠ গুলো থেকে পাঠ ছেলার অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে বেশ ভালো লাগলো আমার কাছে অনেক বেশি।
আমিও গ্রামে বড় হয়েছি। তবে দীর্ঘদিন শহরে থাকার ফলে গ্রামের এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অনেক বেশি মিস করতাম। অবশেষে কালকে আবার উপভোগ করতে পেরে বেশ ভালো লাগছে।
গ্রামের কাজ আর শহরের কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। তাই আপনি দীর্ঘদিন এসকল কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন না।পাট থেকে আঁশ ছাড়ানোর অভিজ্ঞতা সম্পর্কে সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ভাইয়া। ধন্যবাদ আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন। শহরের কাজ এবং গ্রামের কাজের ভেতরে বেশ পার্থক্য রয়েছে। বিষয়টি সত্যি অনেক বেশি উপভোগ করেছিলাম। ধন্যবাদ ভাই
$PUSS টোকেন না থাকলে পোষ্ট কিউরেশন করা হবে না আর পরবর্তীতে।
বিষয়টি আমার মাথায় আছে ।