😱স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার ,😱

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)

10% @shy-fox

png_20220204_121454_0000.png

প্রধান ফটোগ্রাফি @steem-for-future made by canva

আসসালামু আলাইকুম

সবাইকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমি আজ বেশ কয়েকদিন যাবৎ চাকরি থেকে অব্যাহতি নেওয়ার কারণে একা একা বোধ করছিলাম। সারাদিন শুধু রুমের ভিতর বসে থাকা আর খাওয়া। তাছাড়া মাঝেমাঝে অনলাইনে কিছুক্ষণ সময় দে আবার সেই একঘেয়ামি বসে থাকা। আর কত? সময় যেন যেতে চাই না। সুতরাং আমার এই ভাল না লাগার বিষয়গুলো কে দূর করার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশের বাড়িতে বেড়াতে যাবে। যেহেতু চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে সে কারণে হাতের পরিস্থিতি খুব একটা ভালো ছিল না। দেশের বাড়িতে বেড়াতে যাব বলে বলেই বেশ কয়েকদিন পার করে দিলাম। কিন্তু তারপর হঠাৎ 3 তারিখে আমার ফুফাতো ভাই আমাকে ফোন করে জানায় সে বাড়িতে যেতে চাই। আমি কি তার সাথে বাড়িতে যেতে প্রস্তুত আছে কিনা। সুতরাং আমি সে ক্ষেত্রে তাকে খুব দ্রুত জানিয়ে দিলাম আমিও আপনার সঙ্গে বাড়িতে যাব। সুতরাং প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল।

20220203_081104.jpg20220203_081130.jpg

সুতরাং সকাল ছয়টায় আমি ঘুম থেকে উঠলাম। ঘুম থেকে উঠার পরে খুব দ্রুত বা ব্রাশ করলাম এবং আমার কাপড় গুছিয়ে নিলাম। কাপড় গুছিয়ে নেওয়ার পরে আমি বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম।

প্রচন্ড অন্ধকার এবং রাস্তায় কোন প্রকার আলো ছিল না। ছিলনা কোন। খুব দ্রুত আমি হেঁটে হেঁটে মালিকের বাড়ি রাস্তা পর্যন্ত চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি আমার ফুপাতো ভাই আমার জন্য অপেক্ষা করছিল তার বাইক নিয়ে। সে আমার জন্য প্রায় 5 মিনিট অপেক্ষা করছিল। অবশেষে আমরা আমাদের কাপড় গুছিয়ে নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু করলাম। প্রচন্ড শীত এবং বাইক নিয়ে আসাটা সত্যিই অনেক কষ্টের একটা বিষয়। তার পরেও স্বপ্ন যখন বাড়ি যাবে সে ক্ষেত্রে আর কিছুই করার নাই। সুতরাং খুব দ্রুত প্রায়ই 100 কিলোমিটার গতিতে বাইক রাইডিং চলছিল।
20220203_081144.jpg
আমরা প্রাই সকাল দশটা বেজে পনের মিনিটে বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করি। সেতুর উপর দিয়ে বাইক নিয়ে আসছি আমাদের অনেক মজা লাগছিল।
সে ক্ষেত্রে আমার ফুফাতো ভাই অনেক আস্তে আস্তে বাইক ড্রাইভিং করেছিল। যাতে আমরা সমস্ত দৃশ্য গুলো উপভোগ করতে পারি।।
20220203_085938.jpg

20220203_085941.jpg

20220203_085938.jpg
আমরা প্রায় দুপুর 11 টার দিকে সেতু অতিক্রম করি। যেহেতু আমাদের সকালের নাস্তা হয়নি সেহেতু আমরা প্রচন্ড ক্ষুধার্ত ছিলাম। সেতু অতিক্রম করার পরে আমি এবং আমার ফুফাতো ভাই মিলে ছোট্ট একটি হোটেলে যাই।

সেখানে যাবার পর আমরা ব্রেকফাস্ট শেষ করি পরোটা এবং ডিম দিয়ে। কিছুক্ষণ পর আমরা সেখানে একটু বিশ্রাম করি এবং পুনরায় আমরা আমাদের যাত্রা শুরু করি। এভাবে প্রায় একঘন্টা অতিক্রম করার পর আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য স্থল এর কিছুটা পূর্বে অতিক্রম করি। যেহেতু ফুফাতো ভাই এবং আমার বাসায় একটু দূরে সেহেতু এখন আমাদের আলাদা হয়ে যেতে হবে এবং সিএনজি নিয়ে আমাদের বাসায় যেতে হবে।

সেজন্য আমার ফুপাতো ভাই আমাকে আমাদের উপজেলায় নামিয়ে দেয় এবং সে তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা করে। আমিও যথারীতি আমার বাড়িতে আসার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।

বেশ কিছুক্ষণ পর আমি একটি অটো রিস্কা নিয়ে আমার বাড়ির গন্তব্যস্থলে আসার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করি।।

20220203_120752.jpg
সুতরাং সে ক্ষেত্রে আমি একটা অটো রিস্কা নিয়ে সেখানে বসে পড়ি এবং আমার যাত্রা শুরু করি। অটো রিস্কা নিয়ে আবার যেতে বেশ ভালই লাগছিল। যদিও প্রচন্ড শীত তার পরেও আমি সোয়েটার খুলে ফেলে ছিলাম। সারা রাস্তা বাইক নিয়ে আসতে আসতে প্রচন্ড ধুলাবালি ভিতরে আমার শীতের পোশাক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সুতরাং আমি অটো রিস্কার নিয়ে মুক্ত হাওয়া খেতে খেতে আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।।

20220203_115527.jpg
রাস্তার ভিতর আস্তে আস্তে বেশ কিছু জিনিস আমার লক্ষ্য করলাম। গ্রামে প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র বিক্রি করা হয়েছিল একটি ভ্যান গাড়িতে। সুতরাং আমি সেখান থেকে অসাধারন একটি ফটোগ্রাফিক সংগ্রহ করলাম।
20220203_115501.jpg
গ্রামের মানুষগুলো যাতে সুন্দর ভাবে কাজ-কর্ম করতে পারে সেক্ষেত্রে বাঁশের তৈরি বিভিন্ন তৈজসপত্র আমার চোখে পরলো। একজন আধা বয়স্ক মানুষ তার ভ্যানগাড়িতে করে বিভিন্ন রকমের বাঁশের তৈরি তৈজসপত্র বিক্রি করছিল। ্্
আসলে এখন যুগের পরিবর্তনের কারনে এ সকল বাঁশের তৈরি জিনিস গুলো হয়তো খুব একটা চোখে পড়ে না। তারপরেও অনেক দিন পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসে এ সকল জিনিস গুলো দেখে আমার অনেক আনন্দ এবং অনেক অনেক ভাল লাগছিল।

20220203_115206.jpg

20220203_114109.jpg
রাস্তা নির্মাণে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে । সুতরাং রাস্তায় প্রচন্ড পরিমানে ধুলা এসব ময়লা ছিল। সুতরাং এই সকল ধুলাবালি যাতে মানুষের কোন ক্ষতি না করতে পারে সে জন্য রাস্তায় পানি দেওয়া হচ্ছিল। বিষয়গুলো আমার কাছে খুবই আনন্দ এবং উপভোগ্য মনে হচ্ছিল।
20220203_115720.jpg

20220203_115802.jpg

20220203_115836.jpg
তার পরেও আমাদের বাড়ির আঙিনায় রাস্তার পাশে প্রচুর পরিমাণে গাধা ফুল লাগানো হয়েছিল যে গুলো দেখতে অনেক সুন্দর। সুতরাং আমার গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো দেখতে দেখতে আমি অবশেষে দুপুর বারোটা বেজে ত্রিশ মিনিটে আমার বাসায় চলে আসি।

আর অবশেষে আমার মনে প্রশান্তি আসে এবং আমি আমার বাড়িতে এসে অনেক আনন্দ লাগে। সুতরাং আপনিও শেয়ার করতে পারেন আপনার বাড়িতে আসার অসাধারণ মুহূর্ত গুলো আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের কাছে।।
20220203_115839.jpg

up-down #steem-for-fiture.png

মাতৃভূমির টান একটা অসাধারণ জিনিস। আপনি আপনার মাতৃভূমি অথবা গ্রাম ছেড়ে যেখানেই যান আপনার মনে কখনোই তৃপ্তি থাকবে না। অর্থাৎ আপনার পাগল মন শুধু আপনার নিজের মাতৃভূমির দিকে ডাকবে সব সময়। সুতরাং মাতৃভূমির প্রতি টান সত্যিই অসাধারণ একটা জিনিস।

up-down2 #steem-for-future.png

📷📷ফটোগ্রাফার তথ্য 📷📷

Photography@steem-for-future
Editcaptured one
DeviceSamsung galaxy f22
Categorytraveling entertainment
W3Whttps://w3w.co/bullion.rocked.devotion
Imagehere

Screenshot_20220204-120512_Gallery.jpg

Screenshot_20220204-120654_Gallery.jpg

Screenshot_20220204-120747_Gallery.jpg

regards

গিফট #abb-comunity.gif

🆔🆔@steem-for-future✅🆔

ধন্যবাদ সবাইকে

Sort:  
 2 years ago 

আমার স্বপ্ন টাও বাড়ী যেতে চাইছে ভাই। কিন্তু পারছি না যেতে। আফোস লাগছে খুব। আসলে গ্রামের কাঁচা রাস্তা দিয়ে হেটে যাওয়ার ভিতর এক অন্যরকম আনন্দ কাজ করে। আপনার ছবি গুলো দেখে গ্রামকে খুব মিস করছি ভাই।

 2 years ago 

আমিও বেশ কয়েকদিন যাবৎ চেষ্টা করছিলাম আসার জন্য। অবশেষে বাড়িতে আসতে সক্ষম। অনেক অনেক ভালো লাগছে ভাই নিজের গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসতে পেরে।

আপনিও চেষ্টা করুন দেখুন আসা যায় কিনা। আসলেই নিজের গ্রামের মতো আর কোথাও আনন্দ পাওয়া যায় না।

 2 years ago 
আমার মন টা সত্যি কেমন জানি করছে। খুব জেতে ইচ্ছে করতেছে। ভাবতেছি সত্যি দুই একদিন এর ভিতর চলে যাবো নাকি। এখন যদিও একটু অসুস্থ আছি।
 2 years ago 

আসলে সব সময় সব আশা পুরন হয় না। সুতরাং আপনি
আগে সুস্থ হয়ে নিন তারপর সময়ের সুযোগ বুঝে বাড়িতে যাবেন।
শখ পূরণ করতে গিয়ে বেশি অসুস্থ হলে আমার সমস্যা।

 2 years ago 

জি ভাই তাও কথা। দেখি এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা সুস্থ আছি। খুব শিঘ্রই চলে যাবো বাড়িতে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল ভাই।

 2 years ago 

ভালোবাসা অবিরাম। সুস্থ হোক প্রতিটি মুহূর্ত। দোয়া এবং শুভকামনা

সত‍্যি বাড়ি যাওয়া মানে একটি স্বপ্ন। এই শীতের সকালে আপনি বাইকে করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন দেখছি। বাইকে করে আসতে ভালোই লাগে আবার খুব ঠান্ডাও লাগে। সুন্দর উপস্থাপন করেছেন স্টেপ বাই স্টেপ। শুভকামনা আপনার জন‍্য।

 2 years ago 

একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। বাইকে করে রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু এত যে ঠান্ডা লাগছিল সেটা বলার কথা নয়। তবে বাড়িতে গিয়ে যে আনন্দ পাব সেটা মনে করে ঠান্ডা কে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলাম।

আর আমার এই বাড়িতে আসার মুহূর্তটাকে আরো মধুময় এবং স্মৃতিময় করে তুলতে আমার বাংলা ব্লগিংয়ের মাধ্যমে শেয়ার করলাম।

উৎসাহিত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি

 2 years ago 

চলতে চলতে আর দুলতে দুলতে ভালো কিছু ফটোগ্রাফি আপনি শেয়ার করেছেন যেটা আপনার গ্রামে যাওয়ার পথে। শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার উপলব্ধিটা আসলে অন্যরকম। এটা আসলে মুখে বলে বোঝানো সম্ভব না ধন্যবাদ আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।

 2 years ago 

ধন্যবাদ ভাই ভাল লাগার জন্য। শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি অসাধারণ মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য। শুভকামনা এবং অনেক অনেক শুভেচ্ছা

 2 years ago 
আসলেই যারা বাইরে থাকে। বাড়ি আসার মধ্যে যে আনন্দ তা তারাই বুঝে একমাত্র। আপনি কিন্তু আসার পথে দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছে।ন অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনার জন্য শুভকামনা রইল
 2 years ago 

আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং শুভকামনা।
সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ

 2 years ago 

ছবি দেখেই বুঝতে পেরেছি এটা যমুনা সেতু। উপর থেকে প্রবাহমান এত বড় একটা নদীর দৃশ্য খুবই মনোমুগ্ধকর। আর ভুল না করে থাকলে আপনি নাটরের লালপুরের বাসিন্দা। আপনার সময় পরিবার নিয়ে ভাল কাটুক ভাইয়া।

 2 years ago 

একদম ঠিক বলেছেন। এটা যমুনা সেতু।
আর আমি নাটোরের বাসিন্দা। নাটোর আমার জন্মস্থান।

ধন্যবাদ আপনাকে পরিবার নিয়ে শুভকামনা জানানোর জন্য।
আপনিও অনেক অনেক সুস্থ এবং সুন্দর থাকুন আপনার পরিবারকে নিয়ে।
অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপনার প্রতি

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 59737.47
ETH 3186.24
USDT 1.00
SBD 2.43