সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহারে আমাদের সতর্কতা বাড়াতে হবে।।
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগ বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে সকলেই ভাল আছেন। ইনশাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও বেশ ভালো আছি।
তবে সকাল থেকেই মনটা খুব খারাপ। তার একটি কারণ হলো আমার এক বান্ধবীর একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়ে গিয়েছে এবং এরপর থেকে তার একাউন্টে হ্যাকার বিভিন্ন রকমের বাজে পোস্ট করছে।
বান্ধবী রিয়ার এটি অনেক পুরনো অ্যাকাউন্ট এবং সকলের কাছে পরিচিত। তবে হঠাৎ সকালে একটি পোস্ট দেখে আমার যথারীতি মাথা ঘুরে গিয়েছিল।
ফেসবুকে এসে আমার প্রিয় বান্ধবী একটি পোস্ট লিখেছিল সেখানে জঘন্যতম ভাষা ব্যবহার করা হয়েছিল। প্রথমে আমি বিষয়টি সত্য ভেবেছিলাম এবং আমার বান্ধবীকে সেই বিষয়ের উপর অনেক বাজে ভাবে অপমান করি এবং এরপর আমি তার সম্পর্কিত বিষয়গুলো জানার চেষ্টা করি।
অবশেষে আমার বান্ধবীরিয়া আমাকে অবগত করেছিল গতরাতে তার একাউন্টটি হ্যাকাররা হ্যাক করেছে এবং বিভিন্নভাবে তার ব্লগে পোস্ট লিখছে এবং প্রতিনিয়ত তাকে ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে।
সুতরাং আমি ওই অ্যাকাউন্টে গিয়ে একটি কমেন্ট করেছিলাম এবং সকল ফেসবুক ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্যে ব্যাপারটি অবগত করেছিলাম এবং হ্যাক হওয়া একাউন্ট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য প্রদান করেছিলাম একটি কমেন্ট করা মাধ্যমে।
যদিও হ্যাক হওয়া বিষয়টি অতীব সাধারন একটি বিষয় তবে তারপরেও এটি আমাদের জীবনের জন্য বড় বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। কারণ একটি ফেসবুক প্রোফাইল আপনার নিজের ব্যক্তিত্ব এবং আপনার পরিচয় বহন করে এবং মানুষের মাঝে আপনি কতটুকু ব্যক্তিত্ববান ব্যক্তি সেটি প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
আর তাছাড়া প্রতিনত আমরা আমাদের ফেসবুক অথবা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে আমাদের অনুভূতি শেয়ার আবেগ ভালো লাগা এবং ভালোবাসা শেয়ার করে থাকি।
তবে মাঝে মাঝে কিছু দুশ্চরিত্র মানুষ আমাদের অ্যাকাউন্ট গুলো হ্যাক করে ফেলে খুব সহজেই এবং সেখানে বিভিন্ন রকমের নিজেদেরকে মানুষের সামনে অসম্মানজনক কাজের জন্য প্রস্তুত করে দেয়।
সুতরাং বিষয়টি থেকে আমাদের অবশ্যই কোনো না কোনো শিক্ষা গ্রহণ করা দরকার।
আমরা যে সকল সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ব্যবহার করে থাকি আমাদের অবশ্যই সেই সকল প্লাটফর্ম গুলোতে যথেষ্ট সিকিউরিটি ব্যবহার করা দরকার।
কারণ যদি আমরা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ার সিকিউরিটি দিতে না পারি তাহলে আমাদের নিজেদের সর্বনাশ ডেকে আনব এবং আমাদের নিজেদের মানহানি হবে এবং সমাজে আমরা লজ্জিত হব।
তাছাড়াও বর্তমানে ব্যাংক ব্যালেন্স সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইনে সাহায্য নিতে হয়। আমাদের সামান্য ভুলের কারণে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলো হ্যাকাররা হ্যাক করে নিতে পারে এবং তাছাড়াও আমাদের নিজেদের অর্থনৈতিক ক্ষতি সাধন করতে পারে।
সুতরাং আমি মনে করি সোশ্যাল মিডিয়া গুলো ব্যবহার করার ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট সচেতনতা অবলম্বন করা উচিত এবং যতগুলো সিকিউরিটি সম্পর্কে আমাদের জানা আছে সমস্ত সিকিউরিটি গুলো আমাদের একাউন্টের জন্য কার্যকর করা জরুরী।
আশা করছি আমার এই চমৎকার ছোট্ট ব্লগ আপনাদের বেশ কাজে আসবে। তবেই সার্থকতা। ধন্যবাদ আপনাদেরকে মূল্যবান সময় দিয়ে পুরো ব্লগ ভিজিট এবং পড়ার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আমাদের সত্যিই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যাবহারে সতর্ক থাকতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কোন লিংক কিংবা সাইটে প্রবেশ থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনার বান্ধবীর সাথে যা ঘটছে তা এখন পর্যন্ত অনেক মানুষের সাথে ঘটেছে। যাইহোক বেশ ভালো একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন।
তবে শুরুতেই এতোগুলো ছবি না দিয়ে একটি ছবি দিয়ে পোস্ট করলে আমার মনে হয় পোস্টের গুনগত মান বৃদ্ধি পাবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
অবশ্যই ভাই। আগামীতে পোস্ট এর মান অবশ্যই পরিবর্তন করব।
তবে এটা পরীক্ষামূলক ট্রাই করলাম যে পোস্ট দেখতে কেমন লাগে।
আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন ভাই। আসলেই সোশ্যাল মিডিয়া গুলো আমাদের নিজেদেরকে রিপ্রেজেন্ট করে। তাই প্রতিটি সোশ্যাল মিডিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্ট্রং পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করা, টূ-স্টেপ ভ্যারিফিকেশন ব্যবহার করা এবং আরো অন্যন্য যে সকল ভাবে নিরাপত্তা দেয়া যায়, তা প্রত্যেকের ই নিশ্চিত করা উচিত।
অবশ্যই সিকিউরিটি আমাদের নিজেদেরকে আরও বেশি নিরাপত্তা বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা আমাদের নিজেরই ক্ষতি।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
আসলে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে যদি সতর্ক না থাকা হয়, তাহলে নিজেরই মানানি হবে। আর সেটাই ঘটেছে আপনার বান্ধবীর একাউন্টের সাথে।আসলে হ্যাকাররা অনেকভাবেই তাদের ফাঁদ পেতে থাকে। সেটা হতে পারে লিঙ্ক এর মাধ্যমে, বা অন্য কোনভাবে। এক্ষেত্রে নিজেকেই সতর্ক থাকতে হবে। আর নিজের একাউন্টের সর্বোচ্চ সিকিউরিটি নিশ্চিত করতে হবে। আমি মনে করি টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে রাখাটাই সর্বোত্তম। অন্তত কিছুটা হলেও আইডিকে নিরাপদ রাখা যাবে । ধন্যবাদ সবার উদ্দেশ্যে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। আমাদের সকলের সিকিউরিটির বিষয়টি সুনজরে দেখা উচিত। অন্যথায় নিজেদের মানহানির বিষয়টি আর ধরে রাখা সম্ভব হবে না।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
আমার এক বান্ধবীর ক্ষেত্রেও এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। পরে তার ভাইয়া টু স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু করে দেওয়ার পর থেকে আর এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘটে যাওয়ার পরে আর সচেতন হলে তো হবে না, আগে থেকেই সচেতন থাকা উচিত। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক কথা বলেছেন আপু। ঘটনা ঘটে যাওয়ার পূর্বে আমাদের সচেতনতা অবলম্বন করা জরুরী। তবে টু ফ্যাক্টর ভেরিফিকেশন টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।