পৃথিবীটাকেই সুখের ঠিকানা বানিয়ে নিন

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

১০% 🦊

man-1550501__340.webp
Source
আসসালামু আলাইকুম। আবারো আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়ে গেলাম আমি @steem-for-future. বাংলাদেশ থেকে। আশা করছি সকলে সুস্থ এবং ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক অনেক। সকলের সুস্থ এবং ভাল থাকুন সেই দোয়া এবং শুভকামনা করি সব সময়। প্রতিদিনের মত আমি আজকে আপনাদের সামনে আলোচনা করব আমাদের জীবনের কিছু অসহায় মানুষদের জীবন কাহিনী এবং এর থেকে পরিত্রান পাওয়ার উপায় সমূহ নিয়ে। মূলত পক্ষে আমি আজকে সুখী থাকার মূল গল্প আপনাদের সামনে আলোচনা করার চেষ্টা করব আমার যথাসাধ্য চেষ্টা অনুযায়ী। চলুন বন্ধুরা শুরু করা যাক।।

পৃথিবীতে সৃষ্টি কর্তা মানুষকে অনেক ভালবেসে পাঠিয়েছেন এই দুনিয়ার বুকে। পৃথিবীতে সৃষ্টি কর্তা শুধুমাত্র মানুষকে কয়েকদিনের জন্য পাঠিয়েছেন। পৃথিবীতে মানুষ সৃষ্টিকর্তার এবাদত করবে এবং সেই এবাদত এর মাধ্যম দিয়ে সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জন করার মাধ্যম দিয়ে মানুষ আবারো তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে চলে যাবে সেটাই হবে মানুষের জন্য প্রধান এবং অসাধারণ একটি বিষয়ে। তবে সে ক্ষেত্রে মানুষকে পৃথিবীতে একক বংশ পরিক্রমা পাঠাননি। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা আমাদের সকলকে একই রকমের বৈশিষ্ট্য ধন-সম্পদ শক্তি দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠায় নি। প্রথমত বলতে গেলে সৃষ্টিকর্তার প্রত্যেককেই প্রত্যেকের গুণসম্পন্ন দিয়ে এ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। আমি যদি আপনাদেরকে ধনী এবং গরীব এর উদাহরণ হিসেবে দিতে চায় তাহলে হয়তো বিষয়টি ভালোভাবে ক্লিয়ার করতে সক্ষম হব।।

girl-2754233__480.jpg
উৎস

প্রথমে যদি বলতে চাই পৃথিবীতে সৃষ্টি কর্তা মানুষ দুইটি ভক্তি বিভক্ত করেছেন। প্রথমে যদি বলতে চাই তাহলে গরিব এবং অসহায় মানুষদের কথা বলতে চাই। সমাজে কিছু কিছু শ্রেণীর মানুষ আছে যারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে তাদের শুধুমাত্র একটু খাবারের জন্য। দিন এনে দিন খাই। হঠাৎ কোন কারণে তাদের যদি একটি দিনের কর্ম বন্ধ থাকে তাহলে তারা তাদের পেটে দু'মুঠো খাবার দিতে পারেনা। অথবা যেকোন বন্যা কিংবা খরা যদি পরিলক্ষিত হয় দেশে তাহলে তাদের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। তাদের থাকার জন্য নয় যথেষ্ট পরিমাণে বাসস্থান। ময়লা অথবা রাস্তার পাশে অথবা ট্রেন স্টেশনে তারা বসবাস করে থাকে। অর্থাৎ তাদের জীবন এমন পর্যায়ে যে হয়তো সেখান থেকে তারা মুক্তি পেলেই হয়তো তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পরিপূর্ণ হবে এবং তারা বেঁচে যাবে। আসলে এখানে কোন শান্তি নাই??

money-6163908__480.webp
উৎস

অপরপক্ষে পৃথিবীতে এমন মানুষ আছে যারা প্রতিনিয়তই আমাদের সমাজে ধনী হিসেবে পরিচিত। যাদের টাকা পয়সার কোন সমস্যা নাই। যারা প্রতিনিয়ত লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করছে এবং সেখান থেকে তারা ইচ্ছেমতো টাকা খরচ করছে। সারাদিন অনেক টাকা ইনকাম করেছে তারা।

তবে দিন শেষে গিয়ে দেখা যাচ্ছে হয়তো তাদের সকালের নাস্তা থেকে শুরু করে সারা দিন বিশ্রাম নেওয়ার সময় টুকু পর্যন্ত নাই। এত টাকা থাকার পরেও তার জীবনের নিরাপত্তা নাই। নিজের জীবনকে সুরক্ষিত রাখার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে সিকিউরিটি রাখা হচ্ছে। তারেই অর্থ সাথে সরকারের ঘরে আবার সবকিছু ব্যান করে না দেওয়া হয় সেজন্য সব সময় চিন্তা।

এই শত শত কোটি টাকা কিভাবে সংরক্ষণ করা যায় তাছাড়াও কিভাবে বাড়ি গাড়ি তৈরি করা যায় এই চিন্তা নিয়ে রাতে ঘুম আসে না। আবার এ টাকা গুলো সংরক্ষন করার জন্য যাদেরকে নিয়োজিত রয়েছেন তারা কি তাদের আমানত এর সঠিক ব্যবহার করবে কিনা সে বিষয় নিয়েও চিন্তিত। রাতে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েও ঘুম আসে না। এটা আবার কেমন জীবন। এত অর্থ থাকার পরেও কিসের এত অভাব।??

আসলে এমন হাজারো প্রশ্নের সম্মুখিন আমরা। সমাজে যারা খাইতে পাইনা চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট পরিমাণে অর্থ নাই থাকার জন্য ঘর নাই কিংবা দুমুঠো পেট ভর্তি করার মত অর্থ নাই এই জীবন রেখে কি লাভ??

আবার যদি অপরপক্ষে দেখানো যায় তাহলে দেখা যাচ্ছে টাকার চিন্তায় রাতে ঘুম আসে না। এতগুলো টাকা কিভাবে হেফাজত করে রাখা যায়। কিভাবে ব্যাংক ব্যালেন্স আরো বৃদ্ধি করা যায় অথবা আমার অর্থ-সম্পদ কেউ মেরে দিতে পারে এই চিন্তায় রাতে ঘুম আসেনা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে ও ??

সুখ আসলে তাহলে কোথায়?? কিভাবে পাওয়া যাবে এই সুখের দেখা। চলুন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করা যাক।।

uganda-4288793__480.webp
উৎস

আসলে সুখে থাকার একটা মূল মন্ত্র আছে। আর সেটা হল অল্পতেই খুশি থাকা। অর্থাৎ সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যতটুকু সম্পদ দান করেছে কিংবা আপনাকে যেভাবে রেখেছে আপনি ঠিক সেভাবেই খুশি থাকার চেষ্টা করুন। পাশাপাশি সবসময় চেষ্টা করুন নিজের অবস্থানকে আরও উন্নত করার। আপনি যদি একজন দরিদ্র কিংবা উপায়হীন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত হবে নিজের অবস্থানের উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করা এবং সেটি অবশ্যই শান্তির পথে। অর্থাৎ সব সময়ই নিজের মস্তিষ্ক এবং নিজের বুদ্ধির সঠিক প্রয়োগ ঘটান এর মাধ্যমে নিজের অবস্থানকে উন্নতি ঘটাতে হবে। অল্পতেই খুশি থাকার চেষ্টা করা এবং চাইলে সমাজের অসহায় এবং দরিদ্র মানুষগুলোকে সাহায্য করতে পারেন যদি আপনি সম্ভ্রান্ত পরিবারের ব্যক্তি হয়ে থাকেন। তা ছাড়াও অতিরিক্ত কোন কিছু আশা করা ভালো না। আপনি যদি অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকেন তাহলে দেখবেন অবশ্যই এর ভিতর সুখের দেখা মিলবে। আর যদি আপনার সুখের দেখা পেতে আপনি যত পেয়েছেন তার থেকে আরও বেশি চেয়ে থাকেন দেখবেন আপনার যাওয়ার অপেক্ষা পাওয়াটা যদি কিছুটা কম হয়ে থাকে তাহলে সেখানে আপনি অসুখী হয়ে যাবেন। অর্থাৎ আপনার যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই আশা করবেন এবং যদি লক্ষ্য থাকে ভালো কিছু করবেন তাহলে আপনার লক্ষ্যে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পরিশ্রম সময় এবং বিনিয়োগ করার মাধ্যমে এগিয়ে যান।এটাই হতে পারি আপনার সুখে থাকার মূলমন্ত্র।

sun-2574946__480.jpg
উৎস

আর আমি মনে করি এটাই হতে পারে সুখে থাকার মূল লক্ষ্য এবং মন্ত্র। সুতরাং নিজে জায়গা থেকে সুখী হতে হলে অবশ্যই সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে নিজের প্রয়োজন এবং সুবিধা অনুযায়ী। এবং যতটুকু পেয়েছেন ততটুকুতেই খুশি থাকা ভালো। যদিও আরও উন্নতি করতে চাইলে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকুন। তবে অতিরিক্ত লোভ করার মাধ্যম দিয়ে নয়। সন্তুষ্টি অর্জন করার মাধ্যম দিয়ে এগিয়ে যেতে পারলেই সফলতা এবং সুখী হওয়া সম্ভব।।

smile-1545243__480.webp
উৎস

ধন্যবাদ সবাইকে

গিফট #abb-comunity.gif

video image steem-for-future.jpg.gif

Sort:  
 3 years ago 

আপনার পোস্ট টি সত্যি ভাই চমৎকার ছিল ।আপনি অনেক বাস্তব একটা প্রসঙ্গ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পৃথিবীতে দুই শ্রেনীর মানুষ বসবাস করে তার ভিতরে একটি রয়েছে গরীব এবং একটি রয়েছে ধনী। এই দুই শ্রেনীর মানুষকেই আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তার অনেক যত্নসহকারে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। এই পোস্টটি ভালোবাসা এবং গরীব দুঃখী এবং ধনীদের নিয়ে বেশ চমৎকার একটি পোস্ট ছিল ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

একদম ঠিক কথা ভাই। তবে সুখী হতে চাইলে আমাদের সর্বপ্রথম মনের সুখ আনয়ন করতে হবে। মনের সুকান্ত না পারলে কখনো আপনি সুখী হতে পারবেন না। সুতরাং আমাদের সর্বপ্রথম মনের দিক থেকে সুখী হতে হবে এবং পরে অর্থনৈতিক।

ধন্যবাদ অসাধারণ মন্তব্য করে উৎসাহিত করার জন্য

 3 years ago 

ভাইয়া, আপনি খুব সুন্দর লিখেছেন।সত্যিই সৃষ্টিকর্তা যা দিয়েছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা আমাদের উচিত। সব সময় উপরের দিকে না তাকিয়ে নিচের দিকে তাকানো দরকার তাহলে অশান্তি বলে কিছু থাকবে না।যখন আমরা আমাদের থেকে উপরের লেভেলের মানুষের সাথে তুলনা করি তখনই অশান্তি শুরু হয়।আর যদি আমাদের থেকে নিচের লেভেলের মানুষের সাথে তুলনা দেই তাহলে মনে হয় অনেক শান্তিতে আছি।আলহামদুলিল্লাহ। তাই যার যার জায়গায় সন্তুষ্ট থাকা উচিত।ধন্যবাদ আপনাকে।

 3 years ago 

একদম যথার্থই বলেছেন আপু। আসলে আমাদের অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকা দরকার। এবং যারা আমাদের থেকে নিচের পর্যায়ের মানুষ আছে সব সময় তাদেরকে লক্ষ্য করা। তাহলে আমরা সুখী হতে পারব। আর যদি আমরা সব সময় উপরের দিকে চোখ রাখি তাহলে আমাদের সুখের মাঝে কিছু অশান্তি বিরাজ করবে। অনেক সুন্দর কথা বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে

 3 years ago 

সঠিক কথা যে অল্পতেই খুশি থাকে তার সুখ থাকে। তবে বাস্তবে অল্পতে খুশি হওয়া খুব মানুষ ই দেখা যাবে। বাস্তবে আমরা শুধু চাই আর চাই। কারন হচ্ছে মানুষের চাহিদার শেষ নেই । চাহিদা ছাড়া মানুষ হয় না। যাদের প্রচুর টাকা আছে তাদের সুখ নেই আর যাদের টাকা নেই তাদের প্রচুর সুখ আছে। এটাই বাস্তবতা। ভাল লাগলো লেখাটি পড়ে। ধন্যবাদ।

 3 years ago 

এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন শুভ ভাই

আসলে মানুষের চাহিদার কোনো শেষ নেই

এটা একটা স্বাভাবিক। তবে সেটি সীমিত আকারে থাকা ভালো। কেননা বাংলায় একটা প্রবাদ আছে

অতি লোভে তাঁতি নষ্ট

সুতরাং আমাদের যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু আশা করা দরকার।

ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। প্রীতি শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা অবিরাম

 3 years ago 

আমরা এই সুন্দর পৃথিবীকে অসুন্দর করে ফেলেছি। পরিবেশকে বিভিন্নভাবে ভাগ করে নিয়েছি যেটায় বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। আপনি সেই বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পেরে সুন্দর ধারণার মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরলেন। এটা পড়ে খুবই ভালো লাগলো আপনার জন্য শুভকামনা।

 3 years ago 

জি ভাইয়া

আমার সামান্য জ্ঞান থেকে আপনাদেরকে কিছুটা বলার চেষ্টা করেছি মাত্র। ধন্যবাদ আপনাকে অসাধারণ মন্তব্য করার জন্য

 3 years ago 

অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে । বেশ বাস্তব কথাগুলো বলেছেন । ভাল লাগল পড়ে , শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য ।

 3 years ago 

সার্থক আমার লেখা

অনেক অনেক ভালোবাসা এবং অবিরাম শ্রদ্ধা এবং প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইল। কষ্ট করে ব্লগটি পড়ার জন্য এবং মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 62555.95
ETH 2435.55
USDT 1.00
SBD 2.64