গ্রাম্য বাজার ভ্রমণ
তবে আমি আজকে আপনাদের মাঝে অনেক পুরনো একটি ব্লক শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। প্রায় অনেকদিন আগে আমি আমার দেশের বাড়িতে যখন ঈদ উদযাপন করতে গিয়েছিলাম তখন আমি জীবনে প্রথম বাজার করার অনুভূতি অর্জন করেছিলাম।
মূলত ঢাকা শহরে প্রতিদিন বাজার বসলেও গ্রামগুলোতে সপ্তাহে মাত্র দুইটি দিন বাজারের জন্য নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। তো আমাদের অঞ্চলে প্রতি মঙ্গল এবং শনিবার সাপ্তাহিক হাট বসে এবং সেই সাপ্তাহিক হাটে আমরা আমাদের নিত্য প্রয়োজনীয় সবজি এবং প্রতিদিনের বাজার করে থাকি।
যেহেতু আমি অনেকদিন পর দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছি এবং গ্রামে বাজার করা হয় না তাই বাজারে যেতে আমার কেমন জানি লজ্জা করছিল। তবে তার পরেও আমি আমার দাদি এবং দাদার খাবারের জন্য বাজার করার জন্য বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং আমাকে একটি সাইকেল নিয়ে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয়েছিল।
বাজারের শুরুতেই সেখানে সবজি বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে যেহেতু তখন অল্প অল্প শীতকাল শুরু হয়েছে মাত্র এবং শীতকালে প্রচুর সবজিতে বাজার পরিপূর্ণ ছিল।
প্রথমে আমি বাজারে প্রবেশ করেছিলাম এবং 10 টাকা দিয়ে এক কেজি শাকের আঁটি সংগ্রহ করেছিলাম।
বাজার করতে কেমন জানি আমার লাগছিল তবে তার পরেও আমি বাজারের ভেতরে একটি কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করলাম এবং বাজার করছিলাম।
মূলত বাজারের প্রতিটি দৃশ্য আমার অনেক ভালো লাগছিল। শহরে যেমন বড় বড় বিল্ডিং এর ভেতরে বাজার বসানো হয় তবে গ্রামের বাজার সম্পন্ন আলাদা।
মাটির রাস্তা এবং রাস্তার দুই পাশে মানুষ বিছানা পেতে তার উপরে সবজি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বিক্রি করছিল। দেখে আমার বেশ ভালো লাগছিল এবং আমি সত্যি অনেক অনেক আনন্দিত হয়েছিলাম এতদিন পর বাজার করতে পেরে।
এছাড়াও আমার ভালো লেগেছিল গ্রামের সেলুন গুলো দেখে। এখানে প্রায় দুইটি সেলুন এবং একজন চেয়ারে বসে চুল কাটছিল এবং অপরজন মাটিতে বসে সেভ করছিল। গ্রামের সেলুন দেখে আমি অনেকটা আশ্চর্য হয়েছিলাম যদিও আমি গ্রামে বসবাস করছিলাম অনেক দিন পূর্বে এবং ঢাকায় থাকার পর দীর্ঘ সাত বছর পর এমন অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পেরে আমার অনেক অনেক আনন্দ লাগছিল।
আমি একটি লাউ কিনেছিলাম এবং সঙ্গে একটি মাছ কিনেছিলাম। এরপর আমি আমার দাদির জন্য পান সুপারি এবং চুন কিনেছিলাম।
বাজার করা শেষ হলে আমি বাজার থেকে বাদাম ও পেঁয়াজি ক্রয় করি এবং পুনরায় আমি আমার সাইকেলের কাছে এসে সাইকেল নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।
যদিও এটি অনেক অল্প বাজার তবে তারপরেও আমি প্রায় সাত বছর পর যখন দেশের বাড়িতে গিয়ে বাজার করেছিলাম তখন আমার অভিজ্ঞতাটা বেশ ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে অনেকদিন পর গ্রাম্য পরিবেশে বাজার করার অভিজ্ঞতা আমাকে বেশ আনন্দ দিয়েছিল এবং আনন্দ দিয়েছিল গ্রামীণ মানুষের জীবনযাত্রার মান সম্পর্কে।
আশা করছি পুরো ব্লগ আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে। চাইলে আপনার গ্রামীণ অনুভূতি এবং যেকোনো বিষয় সম্পর্কে আমার বাংলা ব্লগের কাছে লিখতে পারেন। আমার বাংলা ব্লগ আপনার অভিজ্ঞতা অনুভূতি এবং ক্রিয়েটিভিটি সম্পর্কে জানতে আগ্রহী
গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন ভাইয়া। সত্যি অনেক ভালো লাগে। অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটে। আমাদের এখানেও শুক্রবার ও সোমবার হাট বসে। আগে ছোটবেলায় যেতাম আব্বুর সাথে অনেক মজা হত। আস্তে আস্তে যতই বড় হচ্ছি সে আনন্দটা হারায় যাচ্ছে। দাদীর জন্য যেমন পান সুপারি কিনলেন আমরাও হাটে গেলে দাদীর জন্য পান সুপারি কিনতাম। সেই স্মৃতিগুলো আজও মনে পড়ে। গ্রাম্য পরিবেশে বাজার করতে অনেক ভালো লাগে। সব চেনা পরিচিত মুখগুলি ভেসে ওঠে। ভালো ছিল ভাইয়া আপনার ব্লগটি
স্মৃতিগুলো অনেক মনে পড়ে। তবে দিনগুলো আর কখনোই ফিরে পাওয়া সম্ভব না। ধন্যবাদ ভাই পুরো ব্লগ ভিজিট করার জন্য এবং আপনার চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
ভাই আপনাদের এলাকায়ও আমাদের এলাকার মতো শনি আর মঙ্গলবারে হাট বসে এটা যেন অনেক ভালো লাগলো। অনেকদিন আগে ঈদের ভেতর বাড়িতে গিয়ে জীবনের প্রথম হাটে গিয়ে বাজার করার অনুভূতি শেয়ার করেছেন এটা অনেক ভালো লাগলো ভাই। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন ভাই। অনেকদিন পর দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে যখন বাজারে গিয়েছিলাম কিছু কেনার জন্য তখন আমার অনুভূতিটা সত্যিই অসাধারণ ছিল।
আপনাদের চমৎকার মন্তব্য গুলোকে আমি সাধুবাদ জানাই।
আসলে বলতে গেলে আমাদের এখানেও প্রতি শনিবার এবং মঙ্গলবার হাট বসে থাকে। তবে হ্যাঁ আমাদের এলাকাটা শহর হওয়ার কারণে অন্যদিনও অনেক জিনিসই পাওয়া যায়। যাই হোক সাত বছর পর গ্রাম্য হাটে গিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
গ্রামের হাটগুলো ভ্রমণ করতে আমার বেশি ভালো লাগে। যাইহোক শুনে ভালো লাগলো আপনাদের ওখানে গ্রাম্য হাট একই দিনে।