ছোট ভাগিনার শখ পূরণ করতে বাইসাইকেল মার্কেটে ।১০% 🦊
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সকলে ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমি ভালো আছি। সকলে সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই কামনা করি এবং সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন সুস্থ ও সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি। সকলের প্রতি অনেক অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং। আমি আজকে আপনাদের সামনে আমার সাইকেল শোরুম ভ্রমণের কিছু ফটোগ্রাফি এবং অনুভূতি শেয়ার করতে চাই। আশা করছি সকলেই উপভোগ করবেন।
আমার ভাগিনা সাইফ। ওর অনেক দিনের শখ তাকে একটা বাইসাইকেল কিনে দিবো। যখনই আমি ঢাকা থেকে বাড়িতে যাই কিংবা তার সঙ্গে ফোনে আলাপ করি তখনই তার একটাই চাওয়া মামা আমাকে একটা সাইকেল কিনে দাও। তবে তার বয়স মাত্র 5 বছর। এই ছোট বয়সে ওকে সাইকেল কিনে দিলে হয়তো কোন সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সে কারণে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে তাকে সাইকেল কিনে দেওয়া হয় না। তবে এবার ঈদে যখন বাড়িতে যাই তখন আমাকে এমন ভাবে ধরল যে কোনোভাবে না করার উপায় নাই। তবে আমি বিষয়টি আমার আব্বুকে জানালাম এবং আমাদের পরামর্শ ক্রমে আমার ছোট্ট ভাগিনা সাইফ এর জন্য একটা সাইকেল কেনার আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
সাইকেল কেনার জন্য আমি আমার চাচাতো ভাই এবং আমার দুলাভাই একটা দিন নির্ধারণ করার পর আমরা একটি সাইকেল শোরুমে চলে যাই। সাইকেল শোরুমে যাবার পরে আমরা অনেকগুলো শোরুম ঘুরে ঘুরে দেখে ক্লান্ত। বিশেষ করে ঈদের কয়েকদিন পর দোকানগুলো কিংবা শোরুম গুলো এখনো ভালো করে ওপেন করা হয়নি। সেজন্য প্রতিটি শোরুম খোলা ছিল না এবং আমাদের অনেক ভোগান্তির মাধ্যমে সাইকেল কিনতে হয়েছিল এবং ভোগান্তিতে জড়াতে হয়েছিল। যাইহোক কি আর করার অনেক ঘুরে ঘুরে একটি সাইকেল শোরুমে আমরা প্রবেশ করলাম এবং আমাদের ছোট্ট একটি সাইকেল পছন্দ হলো।
ছোট্ট এই সাইকেলটি আমাদের পছন্দ হলো। তবে এখানে কথা হলো সাইকেলটি অনেক ছোট ছিল। এবং আমরা এই সাইকেলটি আমাদের ছোট্ট ভাগিনা এর জন্য নির্বাচন করলাম। সাইকেল নির্বাচন করার পর আমরা সাইকেলের দাম জানতে চাওয়ার পর আমাদেরকে দাম সম্পর্কে অবগত করা হলো। দাম যাই হোক আসলে সাইকেলটা ছিল দুরন্ত কোম্পানির। যেটা সচরাচর আমাদের দেশে খুবই বহুল প্রচলিত এবং ভালো মানের একটা পণ্য ্। যাইহোক সাইকেল এর গুণগত মান নিশ্চিত করলাম এবং আমরা পণ্যের সঠিক মূল্য যাচাই করার পর সাইকেলটিকে আমরা বাই করলাম।
সাইকেল কেনার পরে দোকান সহকর্মী আমাদেরকে সাইকেল এর যাবতীয় বিষয় সম্পর্কে অবগত করলো এবং সাইকেল পুনরায় যে সকল জায়গায় মেরামত করা প্রয়োজন সেগুলো ঠিক করে দিয়েছিল। যাইহোক সেই দোকান সহকারীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ তার সময় ব্যবহার করে আমাদেরকে আমাদের প্রিয় জিনিসটি হাতে তুলে দেওয়ার জন্য।
অবশেষে সাইকেল কেনার পরে আমরা একটা অটো রিক্সা ভাড়া করে এবং বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসি। একদিকে যেমন ভাগিনার জন্য সাইকেল কিনতে পেরে অনেক অনেক আনন্দিত এবং অনেকদিন পর চাচাতো ভাইদের সঙ্গে ঘুরতে পেরে অনেক অনেক ভালো লাগছিল। আর এটাই ছিল আজকের ব্লগিং এর বিষয়বস্তু।
চাইলে আপনারাও শেয়ার করতে পারেন আপনাদের ভ্রমণ কিংবা অসাধারণ মুহূর্তগুলো আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের কাছে। আমার বাংলা ব্লগ আপনার অপেক্ষায়।
Photographer | @steem-for-future | |
---|---|---|
Device | Samsung galaxy f22 | |
Edit | no | |
Blogger | creator | @steem-for-future |
Location | bangladesh |
This post was upvoted by @hustleaccepted
Use our tag #hustleaccepted and mention us at @hustleaccepted to get an instant upvote.
Also, you can post at our small community and we'll support you at Hustle Accepted
Visit our website at Hustle Accepted
ছোটদের সাইকেলের একটা শখ থাকেই বলে মনে করি। এমনকি সাইকেল পেলে ওরা ভীষণ খুশি হয়। আপনার ভাগিনার শখ পূরণ করেছেন দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। সাইকেলটা আমারও ভীষণ পছন্দ হয়েছে। বিষয়টি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
মামা হিসাবে আপনি বেশ ভালো ভাগিনা স্বপ্ন পূরণ করেছেন, ছোটবেলা প্রত্যেকটি বাচ্চারই একটা সাইকেলের শখ থাকে, আপনার ভাগিনা সাইকেলটি পেয়ে সত্যি খুব খুশি হবে।
আপনি আমার বাংলা ব্লগে কেন অনিয়মিত, তা আমাকে টিকেট কেটে জানাবেন , দয়াকরে । আমি জানতে চাই আপনার সমস্যা । ধন্যবাদ ।