হার মানার নাম জীবন নয়, জীবন তো হলো সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার নাম। 🦊 ১০% @shy-fox কে
Original image image made by canva by @steem-for-future
আসসালামু আলাইকুম। হ্যালো #amarbanglablog .
আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আলহামদুলিল্লাহ। আমি আজকে আবারো আপনাদের সামনে উপস্থিত হলাম জীবন সংক্রান্ত কিছু বিষয় বলার। আসলে আমরা প্রত্যেকেই জীবন নিয়ে পৃথিবীতে নানা দেশ থেকে নানা পর্যায়ে বসবাস করে আসছি অনেক দিন যাবত। আমাদের পূর্বপুরুষদের পর্যায় কাল থেকেই আমরা এখনও টিকে আছে বিভিন্ন ধরনের পেশা এবং বিভিন্ন ভাবে। তবে আমাদের সমাজে এই বিষয়ে অনেকেই অনেক মত প্রকাশ করে থাকেন।
উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে আমি বলব আপনি যদি কোন সম্ভ্রান্ত পরিবারের ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো আপনার বাবার দুই থেকে চারটা গাড়ি থাকতে পারে কিংবা থাকতে পারে বিশাল অট্টালিকা। আপনার হতে পারে মাসের পকেট খরচ 10000 টাকার ওপরে অথবা আপনি ভালো রেস্টুরেন্ট ছাড়া খেতে পারেন না। এসি রুম ছাড়া আপনি ঘুমাতে পারেন না।
এবং অপরদিকে আপনি একটু খেয়াল করে দেখতে পারবেন
অপরদিকে আমার নিজের কথাই বলি। মনে করুন আমি একজন মধ্যবিত্ত অথবা নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান। মাসে 10000 টাকা খরচ করার কথা তো দূরে থাক। হয়তো আমার মাসে 10000 টাকা ইনকাম করতে গায়ে বেধে যায়। অথবা এসি রুম তো দূরের কথা,!!! বৃষ্টির দিনে হয়তো আমার ঘরের টিনের ফুটো দিয়ে বৃষ্টি পড়ে। তাছাড়াও আমার ঘরে কোন প্রকার এসি কিংবা সাধারণ গরম নিবারণের জন্য বৈদ্যুতিক পাখা পর্যন্ত নাই। স্কুলে কিংবা বাজারে যেতে হলে আমাকে অবশ্যই পায়ে হেঁটে যেতে হয় এবং খুব সাধ্যের মধ্যে বাজার করতে হয়।
লক্ষ্য করুন
আমরা পৃথিবীতে এসেছি একইভাবে এবং চলে যাব সবাই একই ভাবে। তাদের সৃষ্টিকর্তা আমাদের মাঝে বেশ কিছু ব্যবধান দিয়ে দিয়েছেন এই পৃথিবীর ভিতরে। আমাদের এই পৃথিবীতে মাত্র দুই দিনের বলা হয়। এই দুইদিনের পৃথিবীতে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করে এবং বিভক্ত করে দেওয়া হয়েছে। কাউকে সম্ভ্রান্ত পরিবারে পাঠিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা এবং কাউকে পাঠিয়েছেন নিম্নবিত্ত পরিবারের। তবে এটা আমাদের জীবনের জন্য স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এটা মাত্র সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে পরীক্ষা ক্ষেত্র হিসেবে পাঠিয়েছেন।।।
তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের শক্ত মনোবল নিয়ে পৃথিবীতে চলতে হবে। আপনি যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন না কেন আপনার কর্ম হতে হবে ভালো। অর্থাৎ
জন্ম হোক যথা তথা কর্ম হোক ভালো
সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সেই পরিবারে পাঠিয়েছেন না কেন আমাদের কখনই উচিত নয় সৃষ্টিকর্তার উপর নিরাশ হওয়া। বরং যত কষ্টই আসুক সৃষ্টিকর্তাকে মনে পানির দিকে তাকে খুশি রাখতে পারলে আমাদের সার্থকতা।
ঠিক তেমনি বেশ কিছু মানুষের সন্ধান পেয়েছি আমার। যাদেরকে আমি প্রতিনিয়ত জীবন যোদ্ধা হিসেবে দেখে থাকি। চলুন আপনাদের সামনে আর কিছু জীবন যোদ্ধাদের গল্প শুনিয়ে আসি। এর আগে আমি বেশ কয়েকটি গল্প বলেছিলাম এবং এটি আমার আজকের তৃতীয় পর্ব।।
চলুন আরেকটু বিষয় বলার আগে ফটোগ্রাফি সম্পর্কে দুই একটা কথা বলে আসি আপনাদের সামনে
- এই মানুষটাকে একবার দেখুন। কোন একটা অ্যাকসিডেন্ট হওয়ার কারণে তার একটি হাত কেটে ফেলতে হয়েছে। কিন্তু এই মানুষটা কিন্তু তার জীবন চলার পথে এখনো অসহায় হয়ে পড়ে নি। তার যে একটা হাত নাই এটা সে কখনো মনে করে না। কেননা সৃষ্টিকর্তা তার গায়ে দিয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে শক্তি এবং দিয়েছে শক্তিশালী মনোভাব। সুতরাং যতই ঝড় আসুক সে তার জীবন গাড়ি কখনোই থামাতে কিংবা থাকতে ইচ্ছুক নই। একটু কষ্ট করে হলেও তার জীবনের চাকা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেই ক্ষেত্রে এই ব্যক্তি কিন্তু আমাদের জীবনের জন্য চরম এক অনুপ্রেরণা হতে পারে।।
![]() | ![]() |
---|
- দেখুন এই ব্যক্তি টা কে। বয়স প্রায় 65 থেকে 70 বছর হবে। কিন্তু এই বয়সেও এই বৃদ্ধ মানুষটা তার জীবনের চাকা পূর্বের মত চালিয়ে নেওয়ার জন্য এখনো বৃদ্ধ বয়সে রাস্তায় হেঁটে হেঁটে মশারি বিক্রি করছে। বৃদ্ধ ব্যক্তি যে মশারি বিক্রি করছে এটা শুধু তার মশারি বিক্রি নয়। এটি তার বিশাল একটা ব্যবসা এবং যেখান থেকে সে তার মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করে থাকে।
চাইলে সেই ব্যক্তিটি কিন্তু তার এই ছোট্ট ব্যবসাটি বাদ দিয়ে বাসায় বসে বসে খেতে পারতো। কিংবা মানুষের কাছে গিয়ে হাত পেতে টাকা নিয়ে তার জীবন চালাতে পারতো। তবে সে ক্ষেত্রে এখানে এই বিষয়ে তার কোন নজরদারী কিংবা খেয়াল নাই। যেহেতু তার গায়ে বলা সে ব্যবসা করার এবং সৃষ্টিকর্তা তাকে শক্তিশালী মনোভাব দেওয়ার কারনে সে এখনও তার মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করার জন্য ব্যবসা কাজে নিয়োজিত রেখেছেন নিজেকে। সেলুট জানাই প্রিয় দাদুকে।।
- ছবিটি সংগ্রহ করা ছিল বেশ কিছুদিন আগে। তখন প্রচন্ড গরম ছিল। গরমের ভিতর তখন আমি অফিস থেকে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম মাথায় বড় একটা মাছের বাক্স নিয়ে মাছ বিক্রি করছে এক মাছ বিক্রেতা। প্রচন্ড রোদের ভিতর সে তার জীবিকা নির্বাহ করার জন্য মাছ বিক্রি করছে এবং তার পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সে জীবন যাপন করছে। আসলে এইসব লোকগুলো আমাদের সমাজে যদিও অবহেলিত তার পরেও আমি মনে করি এসকল লোক গুলো আমার কাছে একটা যোদ্ধা। কেননা তারা তাদের প্রতিনিয়ত ও কর্মকান্ড গুলো খুব স্বাচ্ছন্দে করে থাকে।
মানুষ যখন প্রচন্ড ব্যস্ত তখন এই মানুষটা নিজেকে লুকিয়ে রেখেছে তার কাজের মধ্য দিয়ে। এত বড় বড় মেশিন চালিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করছে। সারাদিন কাজ শেষে হয়তো দেখা যাবে তার পকেটে মাত্র 400 থেকে 500 টাকা দিন মজুরী দেওয়া হয়েছে। এতেই তার মাসিক সাংসারিক খরচ হলে এবং ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চিকিৎসা খাদ্য বস্ত্র সবকিছু চালাতে হয়।
আসলে এর থেকে বড় যোদ্ধা আর পৃথিবীতে হতে পারে না?? শুধু দেশের জন্য যুদ্ধ করলেই যোদ্ধা বলা হয় না বরং যারা প্রতিনিয়ত তাদের জীবনকে কঠোর সংগ্রাম এবং সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য প্রতিনিয়ত লড়ে যাচ্ছে তাদেরকে যোদ্ধা বলা যায়। কেননা এসকল মানুষগুলো তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য প্রতিনিয়ত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবং সেখান থেকে তারা তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে সক্ষম। সমাজের শুধুমাত্র গরীব কিংবা নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই জীবন যুদ্ধ নয়। বরং সমাজের প্রত্যেকটি মানুষ সেটা হতে পারে ধনী কিংবা মধ্যবিত্ত সকলেই তার জীবনের জন্য এক একটা জীবন যোদ্ধা
ফটোগ্রাফার | owner | @steem-for-future |
---|---|---|
Device | Samsung galaxy f22 | |
Edit | captured one | no edited |
Location | Gazipur | w3w |
আমিও একমত আপনার সাথে, হার মানার নাম জীবন নয়, জীবন তো হলো সংগ্রাম করে বেঁচে থাকার নাম।জীবন হলো সংগ্রাম করে প্রতিটা সেকেন্ড উপলব্ধি করে বেঁচে থাকার নাম। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং আপনার সুস্বাস্থ্য কামনা করি সব সময়।
অনেক অনেক অভিনন্দন ভাই আপনাকে। একমত হওয়ার জন্য আবারো ভালবাসা রইল অন্তরের অন্তস্থল থেকে। আপনাদের মন্তব্য গুলো সবসময় আমাকে অনুপ্রাণিত করে।
ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
হাত কাটা মানুষটিকে দেখে সত্যি আমার অনেক কষ্ট লাগছিল বেচারার অ্যাক্সিডেন্টের কারণে একটা হাত কাটা পড়েছে । সত্যি ভাইয়া আপনি আমাদের মাঝে একটা বাস্তবিক পোস্ট তুলে ধরেছেন। বাস্তব জীবনের অনেক অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা এই পোষ্টের মাধ্যমে নিতে পারলাম ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে এমন চমৎকার একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমারও অনেক খারাপ লাগে ভাই। সামান্য একটা এক্সিডেন্ট এর কারণে মানুষটার হাত কাটা যায়। তবে তার পরেও সে কিন্তু থেমে নেই? আমাদের মতোই স্বাভাবিক জীবন-যাপন করছে এবং এ নিয়ে তার কোন অভিযোগ নাই।
মাঝে মাঝে মনে হয় এ সকল মানুষগুলোর কাছে গিয়ে স্যালুট করি। তবে একটা কথা ঠিক বলেছেন ভাই এসব মানুষ গুলো সত্যি আমাদের জীবনের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণা এবং শিক্ষনীয় কিছু গল্প
ছবিগুলো সংগ্রামী মানুষের। বেশ ভালো লাগলো ছবিগুলো। তবে তাদের জীবন সংগ্রাম চলছে নানা প্রতিকূলতার মাঝেও। এসমস্ত মেহনতি মানুষেরা এগিয়ে যাবেন এটাই প্রত্যাশা।
ভালো পোস্ট উপস্থাপনা ছিল।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য 💌
ঠিক বলেছেন ভাই। এগুলো আমাদের জীবন সংগ্রামী মানুষ। ছবিগুলো অনেক চমৎকার ছিল। আমিও চাই সবসময় তাদের পাশে থেকে তাদের সাহায্য করা আর এটা আবার আগামী দিনের প্রধান চাওয়া।
ধন্যবাদ উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য এবং পাশে থেকে সুন্দর মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য।
আপনার প্রতি রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং কৃতজ্ঞতা
থেমে যাওয়া মানে হেরে যাওয়া। জীবনে কখনো থেমে যাওয়া যাবেনা যত বাধাই আসুক। আপনি খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন কথাগুলো।
বিষয়গুলো বুঝতে পারার জন্য ধন্যবাদ। পুরো বিষয়গুলো যে করেছেন এবং বুঝতে পেরেছেন এক্ষেত্রে আমার পোস্টে সার্থকতা পেয়েছে। সার্থকতা পেয়েছে আমার লেখার।
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ব্লগ ঘুরে দেখার জন্য। এবং সুন্দর কমপ্লিমেন্ট করার জন্য
হার না মানা জীবন নয় এমন শিরোনামে যে গল্পটি রচনা করেছেন তা ছিল জীবন্ত শিক্ষণীয়। আপনি আপনার গল্পে বাস্তব জীবনের কিছু চিত্র অলংকৃত করেছেন। জীবিকা নির্বাহে এমন পরিশ্রমই যোদ্ধাদের লাল সালাম।
ভাই প্রতিটি ফটোগ্রাফি হৃদয়ে গেঁথে যাওয়ার মত। সত্যিই এই ধরনের মানুষদের দেখলে অসহায় না বরং আমার কাছে অনেক বেশি সম্মানীয় এবং শ্রদ্ধাভাজন মনে হয়। কারণ তারা শত কষ্টের মাঝেও হেরে যায় নি বরং জীবন সংগ্রাম করে এখনো টিকে আছেন। আপনার পোষ্টের ক্যাপশন টি দারুন হয়েছে।
একদম ঠিক কথা ভাই। প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমাদেরকে চরম এবং বাস্তবতা শিক্ষা দেয়। তারা আমাদের কাছে অসম্মানী তো নয় সব সময় তারা আমাদের কাছে সম্মানিত এবং শ্রদ্ধা ভাজন।
এরা সত্যিই অনেক সংগ্রামী।
যারা প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করে যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই সুশ্রী মন্তব্য প্রদান করার জন্য। যেখান থেকে আমার কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পায়