খাদ্য যেখানে বিনোদন 🌮🍔 ১০% বেনিফিসিয়ারি @shy-fox 🦊 কে
সবাইকে স্বাগতম #amarbanglablog এ আমার পক্ষ থেকে আমি @steem-for-future 10% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox 🦊কে
আসালামুআলাইকুম,
শুভ সন্ধ্যা। আশা করছি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সকলের সুস্থতা কামনা করছি। শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং খাদ্য যেখানে বিনোদন আজকের এই পর্বে আমি আপনাদের সামনে শেয়ার করব আমার বন্ধুদের সাথে সকল খাদ্য এবং শালবন হোটেল এর কিছু আপডেট রিভিউ নিয়ে। আশা করছি সবাই আমার সঙ্গে থাকবেন এবং আমার ব্লগটি উপভোগ করার চেষ্টা করবেন।
বন্ধুগণ
খাদ্য আমাদের জীবনে বেঁচে থাকার জন্য একমাত্র অবলম্বন। খাদ্য ছাড়া আমরা পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে পারবো না কোন সময়। শুধু মানুষ বলে নয়। পৃথিবীতে এমন কোন প্রাণী নেই যে কিনা খাদ্য ছাড়া এই পৃথিবীতে একটি দিন টিকে থাকতে পারে।
মানুষ ছাড়াও অন্যান্য যে কোন প্রাণীকে এই পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে হলে তাকে অবশ্যই খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্য আমাদের জীবনের জন্য একটি অপরিহার্য বিষয়। খাদ্য সারা পৃথিবীতে কোন প্রাণী টিকে থাকতে পারবে না আর এটাই বাস্তব ধর্মী কথা।
তবে এই খাদ্য যদি হয় বিলাসিতা অথবা শুধুমাত্র বিনোদন কেন্দ্র করে তাহলে কেমন হয়?? আসলে বন্ধুগণ। এটা সত্যিই আমাদের জীবনের জন্য একটি চরম বিপর্যয় কোন অবস্থা। কেননা খাদ্য কখনো বিনোদনের শিকার হতে পারে না। খাদ্যের মাধ্যমে আমরা বিনোদন এর মূল অংশ বিশেষ গড়ে তুলতে সক্ষম।
যে কোন অনুষ্ঠান পার্টি কিংবা যেকোন ধরনের পিকনিক স্পট বলেন আর যাই বলেন সেখানে অবশ্যই খাদ্যের যথার্থ সমাহার না থাকলে সেই অনুষ্ঠান কিংবা স্পট যেন বিলীন অবস্থা। পিকনিক বিয়ের অনুষ্ঠান কিংবা যে কোনো প্রার্থীকে অবশ্যই খাদ্যের যথেষ্ট পরিমাণে সরবরাহ থাকতে হবে এবং আমাদের বিনোদনের জন্য যথেষ্ট পরিমাণে কার্যকলাপগুলো সৃষ্টি করে রাখতে হবে।যদি আমরা খাদ্য ছাড়া কোন বিনোদন কিংবা কোনো অনুষ্ঠান করতে যাই তাহলে সেটি আমাদের মনের মত কখনোই সম্ভব নয়। সুতরাং যে কোন অনুষ্ঠান কিংবা যেকোন স্থানে কোন কিছু অ্যারেঞ্জমেন্ট করতে গেলে অবশ্যই সেখানে খাদ্য বিশেষ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।।।
সময়টা ছিল শুক্রবার। হঠাৎ বিকেলবেলা বন্ধুরে ফোন দিলাম ও বললো আমি বাহিরে আছি তুই বাইরে আয়। বন্ধুর কথা মত বিকেল পাঁচটার দিকে বাহিরে বের হলাম এবং বাহিরে এসে দেখলাম অন্যান্য বন্ধুরা সকলে একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিল।
সুতরাং আমি তাদের কাছে উপস্থিত হলাম এবং তাদের কাছে উপস্থিত হবার পর দেখতে পেলাম যে তারা একটি হোটেলে যাওয়ার জন্য মন স্থির করেছে এবং আমাকে তারা হোটেলে নিয়ে যাবে। সুতরাং বন্ধুদের কথা রাখার জন্য আমি তাদের সাথে হোটেলে যাওয়ার জন্য মন স্থির করলাম। আমরা যথারীতি তিনজন বন্ধু মিলে হোটেলে গেলাম এবং হোটেলে যাবার পর প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল।
আমাদের গাজীপুর শহরের বিখ্যাত হোটেল শালবন হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টসেখানে যাবার পর আমরা বন্ধুরা মিলে একত্রিত হলাম এবং হোটেলের ওয়াশরুমে যাওয়ার পর সবাই মিলে ফ্রেশ হলাম। ফ্রেশ হবার পর যথারীতি আমরা টেবিলে বসে পড়লাম এবং বন্ধুরা সবাই মিলে তারা ইচ্ছা করলো নান রুটি খাবে এবং তার সাথে গ্রীল।।
![]() | ![]() |
---|
বন্ধুরা মিলে অনেকক্ষণ হোটেলের টেবিলে বসে ছিলাম। কেননা এটি আমাদের গাজীপুর শহরের একটি বিখ্যাত হোটেল। প্রচুর পরিমাণে কাস্টমার থাকার কারণে ওয়েটারগুলো আমাদের সেবা দিতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিল। যাইহোক এমন সময় আমাদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাইট 5 থেকে 10 মিনিট বসে ছিলাম। বসে থাকার পর কিছুক্ষণ পরে একজন হোটেল সহকারি এসে আমাদের বললো
ভাই আপনাদের জন্য কি সেবা করতে পারি?
তখন আমরা যথারীতি তাদেরকে বেশকিছু মেনু কার্ড দেখে হোটেলে অর্ডার করলাম। আমরা যে সকল খাবার গুলো অর্ডার করেছিলাম তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য খাবারগুলোর কিছু নাম নিচে দেওয়া হল।
স্পেশাল মাখন নান রুটি
গ্রীল ছয় পিস
টক (তেতুল এবং টমেটো সস এর সংমিশ্রণে)
মাখন
স্প্রাইট
একটি বড় পানির বোতল
চিকেন রোল
কাবাব
এবং কোকাকোলা।
আমরা বন্ধুরা মিলে অনেকগুলো খাবার অর্ডার করলাম। এবং খাবার গুলো যখন একে একে আমাদের সামনেই পরিবেশন করা হচ্ছিল যথারীতি আমাদের মনের অবস্থা কেমন হচ্ছিল বলে আর বুঝাতে পারব না।
হোটেল কর্মচারী আমাদের খাবারগুলো টেবিলে পরিবেশন করার পর আমরা যথারীতি খাবারগুলো খেতে শুরু করলাম। বেশ ভালই লাগছিল আমাদের এই হোটেলে খাবারের আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো। বন্ধুরা সবাই মিলে খাবার খাচ্ছিলাম এবং অনেক ধরনের গল্প এবং আনন্দের মধ্য দিয়ে কিভাবে যে আমরা সকল খাবার গুলো খেয়ে শেষ করলাম নিজেরাই বুঝতে পারলাম না।
এদিকে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি অনেক সময় অতিক্রম হয়ে গেছে। প্রায় 30 মিনিট অতিক্রম হয়ে গেল এবং আমরা সমস্ত খাবারগুলো গ্রহণের পর যথারীতি হোটেল ত্যাগ করার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম এবং হোটেলের বিল পরিশোধ করলাম।
তবে একটা কথা হোটেলে সমস্ত বিলগুলো আমাকে পরিশোধ করতে হয়েছিল। বন্ধুদের আপদার তারা আমার কাছ থেকে এ সকল খাদ্য গুলো খেতে উৎসাহ প্রদান করেছিল কেননা আমি অনলাইন থেকে বাড়তি কিছু ইনকাম করতে সক্ষম।
বন্ধুরা এটি আমার কাছে ট্রিট হিসেবে গ্রহণ করল
কিছুক্ষণ পর হোটেল ত্যাগ করলাম এবং বাসায় চলে আসলাম।
খাদ্য সম্পর্কে কিছু কথা।
খাদ্য আমাদের জীবন বাঁচাতে একটি অন্যতম মাধ্যম। আমাদের খাদ্য সারা পৃথিবীতে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। পৃথিবীতে যতগুলো প্রাণী আছে সকল প্রাণীর জন্য খাদ্য বাধ্যতামূলক। যে কোন প্রাণী যদি পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চায় তাহলে তাকে অবশ্যই খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। খাদ্য গ্রহণ ছাড়া পৃথিবীতে বেঁচে থাকা অসম্ভব একটি বিষয়।
তবে খাদ্যগ্রহণ কোন অপরাধ নয়। অপরাধ হলো খাদ্যের অপচয় করা। আমরা আমাদের খাদ্যগুলোকে পরিমাণমতো গ্রহণ করব এবং পরিমাণ মতো ব্যবহার করব। আমাদের যতটুকু খাদ্য প্রয়োজন ঠিক ততটুকু খাদ্য আমরা রান্না করবো কিংবা সংগ্রহ করবো তার বেশি খাদ্য সংগ্রহ করা কিংবা রান্না করা ঠিক নয়। কেননা আপনি খাদ্য ইচ্ছেমতো খেতে পারেন কিন্তু কোন খাদ্য অপচয় করা আপনার পক্ষে উচিত হবে না।
কেননা পৃথিবীতে শত শত লোক আছে যারা খাদ্যের অভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। খাদ্য অপচয় করা থেকে আপনি যদি তাদেরকে সাহায্য করতে পারেন আর সেটি হবে আপনার জন্য মঙ্গলজনক একটি কাজ। সুতরাং সকলের উদ্দেশ্যে আমার একটি আবেদন।
আমরা কখনোই খাদ্য অপচয় করব না এবং যতটুকু পারি আমরা আমাদের খাদ্যগুলোকে অসহায় এবং গরীব দুঃখী মানুষের মাঝে বিতরণ করব
আরে যেন হয় আমাদের আগামীদিনের প্রত্যাশা
পোস্ট তৈরিতে ব্যবহৃত কমিউনিটি
@amarbanglablog (শুধুমাত্র বাংলা ব্লগিং করার জন্য এই ব্লগ। বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য চরম সুযোগ)
আমার w3w
W3W | https://w3w.co/tiptoes.sideboard.rotations |
---|
প্রিয় রেগার্ডস
আমি মোঃ আকাশ আলী। আমি একজন গার্মেন্টস কর্মচারী। পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করতে ভালবাসি। বাংলা আমার মাতৃভাষা সুতরাং বাংলা ব্লগিং করতে আমার খুব ভালো লাগে। গরিব-দুঃখী এবং অসহায় মানুষদেরকে খুব বেশি ভালোবাসি। সবসময় তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই এবং তাদের পাশে থেকে তাদের সেবা করতে চাই। আমি বিশ্বাস করি পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি।
নান রুটি আর গ্রিল খেতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে । কিন্তু আমি বেশিরভাগ সময়ে শুধুমাত্র গ্রিল খাই। কারণ ওটা আমার কোন কিছু ছাড়াই খেতে বেশি ভালো লাগে ।আর সাথে যদি কোক থাকে তাহলে তার কোন কথাই নাই।
তাহলে চলে আসেন আমাদের গাজীপুর শহরে একদিন। না হয় অনেক আনন্দ করে গ্রীন খাব একসাথে। শুধু গ্রিল অথবা কেক আপ্যায়ন করা যেতে পারে।
অনেকদিন হয় গ্রিল খাই না। আসলে না খাওয়ার কারণ হচ্ছে, আমি প্রায় এক বছর আগে প্রায় প্রতিদিন ই গ্রিল খেতাম। আর এমন প্রতিদিন গ্রিল খেতে খেতে গ্রিলের উপর এক প্রকার অনিহা চলে এসেছিলো।আজকে আপনার পোস্ট দেখে ভালোই খেতে ইচ্ছে করছে।
চলে আসেন আপু কোন এক ভালো রেস্টুরেন্টে। আসলেই গ্রিল খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আবার কোন কিছু অতিরিক্ত ভালো না
ভাই আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন বন্ধু মানেই আনন্দ-ফূর্তি তারমধ্যে খাওয়া এত মহানন্দ। শালবনবিহার ঘোরাফেরা হোটেলে যাওয়া নানরুটি গ্রিল খাওয়া আপনি অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন বন্ধুদের সাথে অনেক আনন্দ ফুর্তি করেছেন আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
তার থেকেও সুন্দর আপনার গঠনমূলক মন্তব্য। মন্তব্য আমাদের মাঝে ভাগাভাগি করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ
অনেক সুন্দর একটি পোস্ট করেছেন ভাই।খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে।নান রুটি আর গ্রিল চিকেন আমাকে ডাকছে 😛।খাবার গুলো বেশ সুস্বাদু এটা আমাকে আকৃষ্ট করেছে।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
সময়ের সুযোগ নিয়ে আপনিও একদিন চলে আসেন আমাদের গাজীপুর শহরে নান রুটি আর গ্রিল খাব একসাথে
হোটেলে যাওয়া নানরুটি গ্রিল খাওয়া আপনি অনেক সুন্দর একটা সময় কাটিয়েছেন। বন্ধুদের সাথে এরকম দিন কাটাতে খুবি ভালো লাগে।আমি মাঝে মাঝে বন্দুদের সাথে এই রকম আনন্দদের সময় পার করি।আপনার আনন্দ আমাদের সাথে৷ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন। শুভকামনা রইলো ভাইয়া।🌹🌹
মাঝে মাঝে এরকম বন্ধুদের নিয়ে রাতের খাবার খাওয়া কিংবা সন্ধ্যায় খাবার খাওয়া আনন্দটাই অন্যরকম। চমৎকার লেগেছে আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই আমারও খুব ভালো লাগে। তাই মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে ঘোরাঘুরি করি এবং সাথে কিছু খাওয়ার বিনোদন উপভোগ করি
নান রুটি আমার খুবই প্রিয় ভাইয়া। দেখে জিভে জল চলে আসলো। আপনি খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি আপনার বন্ধুদের সাথে অনেক সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। আপনার এই আনন্দঘন মুহূর্ত গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ভাই নান আর গ্রিল আহ কি যে লাগে 💓💓
সেই রিভিউ দিছেন শুভকামনা
আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং শুভকামনা রইল