ঈদে বাড়ি ফেরার গল্প
ক্যানভা
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
গত ১৬ ই জুন ২০২৪ । দেশের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করার জন্য গাজীপুর শহর থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম ছিল। চমৎকার এই ঘটনা অবলম্বনে আজকে আমি প্রচন্ড জ্যামে বাড়ি ফেরার গল্প শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। সকলে উপভোগ করুন।
মানুষের প্রয়োজনে তাগিদে বিভিন্ন কাজ করে খেতে হয় মানুষকে। তবে দীর্ঘ এক বছর পর পর যখন ঈদে ছুটি হয়ে যায় সকল কার্যক্রম তখন সকলের ইচ্ছা থাকে পরিবার ও গ্রামের মানুষগুলোর সাথে ঈদ উদযাপন করা।
ঠিক আমিও একই বিষয় উপলব্ধি করেছিলাম। দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকার পর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে আসলাম ঈদ উদযাপন করার জন্য। তবে আমরা যেদিন রাস্তায় বের হয়েছিলাম রাস্তায় এতটা জ্যাম ছিল যে বেশ যায়যায় অবস্থা ছিল।
আমরা ১৬ তারিখ রাত্রে বের হয়েছিলাম প্রায় রাত আটটায়। সকলে মিলে অনেক আনন্দ করি এবং ঈদে পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য গ্রামের বাড়িতে আসি এবং বেশ ভালো লেগেছিল। তবে আমাদের যাত্রা পথে প্রচন্ড জ্যাম এবং অতিরিক্ত গরমে আমাদের শরীরের সমস্ত এনার্জি শেষ হয়েছিল এবং আমরা প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।
রাস্তায় আমাদের মত আরো হাজার হাজার গাড়ি রয়েছে যেগুলো জ্যামে ঘন্টার পর ঘন্টা পড়েছিল। প্রায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে আমাদের ৬ ঘন্টা সময় অতিক্রম করতে হয়েছিল। এটি সত্যি দুঃখজনক বিষয় যে, রাস্তায় এত ফ্লাইওভার থাকা সত্ত্বেও প্রতিটি রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম ছিল। এর অন্যতম এবং মূল কারণ ছিল দেশের ঘুষ প্রথা এখনো চালু থাকা
প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশ শুধুমাত্র সামান্য কিছু টাকার জন্য গাড়িগুলোকে আটকে রাখছে। অপরদিকে, সেই সকল গাড়িগুলো সঠিক সময়ে স্থান ত্যাগ করতে না পারার কারণে পেছনে রাস্তাগুলোতে প্রচন্ড জ্যাম পড়ছে।
১৬ তারিখ রাত্রে বের হয়েছিলাম এবং পরের দিন সন্ধ্যা সাতটায় আমরা যমুনা ব্রিজ অতিক্রম করি। তবে যমুনা ব্রিজ অতিক্রম করার পর আমরা একটি তেল পাম্পে এসে আমাদের গাড়িতে তেল পরিপূর্ণ করেছিলাম এবং আমাদের যাত্রা আবারো শুরু হয়েছিল।
তবে রাস্তার ভিতরে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। বিশেষ করে একটা প্রাইভেট কার আমাদের গাড়িকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়েছিল এবং সেই গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে গিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে আবারও একই সমস্যা দেখা দিয়েছিল। আমাদেরকে রাস্তার ভিতরে বেশ অপমানিত হতে হয়েছিল। পিছন থেকে তারাই আমাদেরকে ধাক্কা দিয়েছিল এবং অবশেষে তাদের ক্ষমতার জোরে আমাদেরকে অপমানিত হতে হয়েছিল। তবে তারপরে কিছুই করার ছিল না।
প্রায়, ১৭ ঘণ্টা জার্নি করার পর আমরা সকালে একটি রেস্টুরেন্টে এসেছিলাম এবং সামান্য হালকা কিছু খাবার খেয়েছিলাম। পুরো রাত জার্নি করার পর সকলের অবস্থা বেশ বাজে ছিল।
তাছাড়াও অত্যন্ত গরমে শরীর প্রায় অসহনীয় ব্যথা ও চোখে প্রচন্ড ঘুম ছিল। চারিদিকে শুধু স্বপ্নের মতো দেখা ছিল।
এরপর আমরা সকালে নাস্তা শেষ করেছিলাম এবং বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যাইহোক প্রচন্ড জ্যাম অতিক্রম করে আমরা অবশেষে আমাদের বাসায় ফিরতে পেরেছিলাম।
যদিও ঢাকা শহরে আমরা প্রয়োজনের তাগিদে চাকরি করি তবে এর পরেও আমাদের যে মাতৃভূমির টানে দেশে ফিরতেই হবে।
আসলে অনেকদিন পর পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করার মজাই আলাদা। তবে যাই হোক ঈদের দ্বিতীয় দিন এই ব্লক শেয়ার করলাম।
১৮ ঘন্টা জ্যাম অতিক্রম করে ধুলাবালির ভেতরে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে আসার মজাই ছিল আলাদা। অবশেষে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপন করতে পেরে এখন বেশ ভালো লাগছে।
ধন্যবাদ সবাইকে আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে আজকের এই ঈদে বাড়ি ফেরার গল্প উপভোগ করার জন্য। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। চাইলে আপনি ও আপনার লাইফস্টাইল এর যেকোন ব্লগ আমাদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন। উপভোগ করার জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1802860197146194088?t=PChZwTqYO-xeQ88kJp2vCA&s=19