কর্মক্ষেত্র যখন বিনোদনের মাধ্যম 👩🏭 ১০% বেনিফিশিয়ারি 🦊 @shy-fox🦊 কে
স্বাগতম #amarbanglablog এ আমার পক্ষ থেকে আমি @steem-for-future .. 10%বেনিফিশিয়ারি @shy-fox 🦊
আসসালামু আলাইকুম
সকলকে জানাই শুভ সন্ধ্যা
আশা করছি সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় এবং সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আজ আমিও অনেক অনেক ভালো আছি। সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভাল থাকুন সেই দোয়া এবং প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে। সৃষ্টিকর্তা যেন আমাদের সকলকে সুস্থ এবং সুন্দর রাখেন।
বন্ধুগণ
আমি আজ আপনাদের সামনে আলোচনা করতে এসেছি আমার অফিসের কিছু কাজ কর্ম নিয়ে। আমার আজকের মূল টপিক হল কর্মক্ষেত্র যখন বিনোদনের একমাত্র মাধ্যমআমি এই বিষয়ে আপনাদের সামনে আজ কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করছি। আশা করছি সকলের সাথে থাকবেন এবং আমার ব্লগ টি সুন্দর ভাবে উপভোগ করবেন। তাহলে চলো বন্ধুরা শুরু করা যাক।।।
মানুষের চাহিদার যেন শেষ নেই। মানুষের বিভিন্ন চাহিদাগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি মৌলিক চাহিদা রয়েছে।
- পোশাক
- খাদ্য
- বাসস্থান
- শিক্ষা
- চিকিৎসা
মূলত এই পাঁচটি মৌলিক চাহিদা নিয়ে মানুষের জীবন গঠিত। এই মৌলিক চাহিদাগুলো মানুষের জীবনে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এই মৌলিক চাহিদাগুলো ছাড়া মানুষ কখনোই সমাজে ভালোভাবে চলতে পারবে না
সমাজে সুন্দরভাবে চলার জন্য এবং আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণ এবং মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের কলকারখানায় এবং পোশাক শিল্প কারখানায় কিংবা অন্যান্য যে কোন কাজকর্ম করে থাকি। এ সকল কাজকর্ম করতে গিয়ে আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখিন হই কিংবা বিভিন্ন সময়ে আমাদের নানা ধরনের সমস্যা হয়।
আমাদের কাজকর্ম করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময়ে আমরা অনেক ক্লান্ত বোধ করি। এই ক্লান্ত বোধ করার কারণে আমাদের কাজের মন-মানসিকতা হারিয়ে যায় এবং আমরা সেখান থেকে কাজকর্ম ছেড়ে দেই।
এই কাজকর্মগুলো ছেড়ে দেওয়ার ফলে আমাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। যেমন আমরা খাদ্যের অভাবে পড়ি। চিকিৎসার জন্য টাকা পায় না। কিংবা আমাদের থাকার জন্য বাসস্থান পর্যন্ত আমরা নির্ণয় করতে পারিনা।।
উপরোক্ত সমস্যাগুলো সমাধানের আমাদের করনীয়
আমরা যদি আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে চায় তাহলে আমাদের অবশ্যই সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
আমাকে অবশ্যই আমরা যেখানে কাজকর্ম করে থাকি সেই কাজকর্ম জায়গায় বিনোদন থাকতে হবে। আমরা যেখানে কাজ করি সেই জায়গায় যদি প্রচন্ড পরিমানে বিনোদন থাকে তাহলে আমরা কাজের মাধ্যমে আনন্দ পাব সেই আনন্দকে আমরা অনুপ্রেরণা হিসেবে নিতে পারি।
আর সেই অনুপ্রেরণা কে কাজে লাগিয়ে আমরা খুব সহজেই কাজে মনোনিবেশ করতে পারি। সুতরাং কর্মক্ষেত্রে বিনোদনের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করতে কর্ম একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। আর আমরা যদি সেই কর্ম ক্ষেত্রে আনন্দ এবং বিনোদনের মাধ্যম দিয়ে কাটাতে পারি তাহলে তো কোন কথাই নেই।
সুতরাং কর্মক্ষেত্রে বিনোদনের গুরুত্ব অপরিসীম।
![]() | ![]() |
---|
দিনটি ছিল সোমবার। ফ্লোরে আমি কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। এমন সময় আমি একটু রেস্ট নেওয়ার জন্য বসে ছিলাম ফ্লোরে।
ঠিক এমন সময় আমাদের কর্মক্ষেত্রের ক্লিনার মামু আমাদের কাছে বেশ কয়েকটি মার্বেল নিয়ে আসলো। প্রায় 40 থেকে 45 টি মার্বেল হবে।
মার্বেল গুলো দেখে আমি খুব খুশি হয়ে গেলাম। কেননা ছোটবেলায় এই মার্বেল খেলা নিয়ে আমি অনেক মার খেয়েছি। চাচা বাবা-মা সবাই ছোটবেলায় এই মার্বেল খেলার জন্যে অনেক বকা দিয়েছে আমাকে এবং আমি অনেকভাবে লজ্জিত হয়েছি।
ফ্লোরে বিনোদন-এর ছোট্ট একটি গল্প
কিন্তু আমাদের ফ্লোরের ক্লিনার মামু যখন আমার কাছে 40 থেকে 45 টি মার্বেল নিয়ে আসলে তখন আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। তখন আমি এবং আমার আরো দুইটা মামু মিলে ফ্লোরে র ভিতরে অনেকক্ষণ সময় মারবেল খেললাম।
বেশ কিছুক্ষণ সময় মার্বেল খেললাম এবং আমি খুব আনন্দ উপভোগ করছিলাম। বেশ ভালো লাগছিলো আমার মার্বেল খেলতে। প্রায় দুই থেকে তিন বছর আগে আমি মার্বেল খেলেছিলাম বন্ধুদের সাথে। সময়ের অভাবে আমার আর মার্বেল খেলা হয় না। তাই অনেকদিন পরে মার্বেল খেলতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত ছিলাম।
ঘটনা থেকে শিক্ষা
যাইহোক এভাবে প্রায় ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ফ্লোরে মাহমুদের সাথে মার্বেল খেলার পর আমি পুনরায় কাজে যোগদান করলাম। কিন্তু আমি দেখলাম এই আধাঘন্টা সময়ের মতো মার্বেল খেলতে পেরে যেখান থেকে আমি অনেক বিনোদন পাইলাম। যার মাধ্যমে আমার শরীরে আর কোনো ক্লান্তি দেখা যাচ্ছিল না। পুরো ফ্রেশ মাইন্ডে আমি আবার আমার কাজ শুরু করে দিলাম এবং রাত আটটায় অফিস ছুটি হলে আমি খুব আনন্দের সাথে বাসায় ফিরে গেলাম।
কর্মক্ষেত্র বিনোদন কেন প্রয়োজন
কর্ম ক্ষেত্রে বিনোদনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আপনার কাজের ক্লান্তি দূর করতে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন। এবং আপনি আগামী দিনে যাতে আরো কাজ করার মানসিকতা তৈরি করতে পারেন সেজন্য কর্মক্ষেত্রে বিনোদনের গুরুত্ব অপরিসীম। সুতরাং আমাদের প্রত্যেকেরই কর্মক্ষেত্রে যথার্থ বিনোদনের প্রয়োজন হয় আমাদের কাজের মানসিকতা বৃদ্ধি করতে।
ব্যবহৃত কমিউনিটি
স্ক্রিনশট থেকে সংগ্রহীত
@amarbanglablog
শুধুমাত্র বাংলায় যারা ব্লগিং করতে চান তাদের জন্য এই ব্লগ। বাংলা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় এখানে স্বীকৃতি দেওয়া হয় না।
স্পেশালি ধন্যবাদ
আমার লোকেশন
https://w3w.co/advantage.reversed.appraised
প্রিয় রেগার্ডস
আমি মোঃ আকাশ আলী। একজন গার্মেন্টস কর্মচারী। পাশাপাশি স্টিমিট এ কাজ করতে খুব বেশি ভালোবাসি। বাংলা লেখা লেই করতে খুব ভাল লাগে। গরিব-দুঃখী এবং অসহায় মানুষদের কে সাহায্য করতে পারলে খুব বেশি ভালো লাগে আমার। পিতা মাতার দোয়া এবং সকলের ভালোবাসায় এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে চাই। আমি বিশ্বাস করি সৃষ্টিকর্তা আমার জন্য যতটুকু নির্ধারণ করে রেখেছেন আমি ঠিক ততটুকুই পাবে সময়ের ব্যবধানে। কঠোর পরিশ্রম সৌভাগ্যের চাবিকাঠি
এই ৩০ মিনিট আমি মনে করি আপনার মন এবং মাইন্ড রিফ্রেশ করে দিয়েছে ।
আসলেই কাজের ফাঁকে এমন কিছু করা উচিত যাতে করে আমাদের অন্য কাজে বোরিং না হয়ে যায়।
একটি সুন্দর দিন সাথী
আপনি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন। যেখানে আপনার স্মৃতিবিজড়িত গল্প ছিল। ছোটবেলায় মানুষ অনেক কিছু করে বিশেষ করে দুষ্টামি টা। একটু বেশি সেটা খেলাধুলা হোক বা অন্য কিছু তার জন্য বকাঝকা মারধোর বাধ্যতামূলক মা-বাবার থেকে। মানুষের জীবনে খাদ্য, বাসস্থান, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা, এই পাঁচটি জিনিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ জানা হলো মানুষের চলে না। আপনি দৈনন্দিন জীবনে যা কিছু করেন না কেন কর্মবিরতির পরে আপনার বাসস্থান খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা জায়গা। আর আপনি আরেকটা বিষয় বলছে কর্মজীবন যখন বিনোদনকেন্দ্র। আপনি যে কোন কর্মের সাথে জড়িত থাকেন না কেন সেখানে যদি বিনোদন না থাকে তাহলে ওই কর্মস্থলে কোন আনন্দ পাওয়া যায় না। কর্মস্থলে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সময় পেলে একদিন অবশ্যই তুলে ধরবো আপনাদের মাঝে।আপনার এত সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
সত্যিই কাজের ফাঁকে সবারই একটু হলেও বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন।তাতে মন ও শরীর দুটোই ভালো হয়ে যায়।মার্বেল খেলা খুবই মজার।ধন্যবাদ আপনাকে।
বন্ধুদের নিয়ে দিনটি খুব সুন্দর ও আনন্দময় কাটিয়েছেন ।ধন্যবাদ ভাই।
বন্ধুদের সাথে কেনে আমার আর কিছুই চাই না। বন্ধুদের সাথে সময় কাটাতে আমার খুব ভালো লাগে
ঠিক ভাই।