ট্রাভেল পোস্ট: শর্ট ট্রাভেল ও একটি মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার

in আমার বাংলা ব্লগyesterday

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি ছোট্ট ট্রাভেল ব্লগ শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আনন্দের পাশাপাশি আমাদের এই ভ্রমণে ছোট্ট একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সকলেই উপভোগ করতে থাকুন আশা করছি আপনাদের বেশ ভালো লাগবে।


20240819_095403.jpg


বৃষ্টির দিন। যেহেতু এখন বর্ষাকাল তাই প্রতিনিয়ত বৃষ্টি হচ্ছিল। সারাদিন শুধু বাড়িতে বসে থাকা। তাই আমার দূর সম্পর্কের মামা আমাকে বলেছিল আমরা যেন কোথাও ভ্রমণে যাই এবং ভ্রমনে গেলে আমাদের মন ভালো হয়ে যাবে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম বাঘা শাহী মসজিদ ভ্রমণ করতে যাব। কারণ আপনারা ইতিপূর্বেই বাঘা শাহী মসজিদ সম্পর্কে জানেন , প্রাচীন সভ্যতার অপরূপ নিদর্শন রয়েছে সেখানে। তাই আমিও প্রাচীন সভ্যতা সম্পর্কে জানতে সেখানে ভ্রমন করতে অনেক বেশি পছন্দ করি।

মসজিদ সম্পর্কে ভিডিওর মাধ্যমে আরো জানুন :

ইউটিউব থেকে

সকাল ৯ টার দিকে আমরা একটি চার্জার ভ্যান নিয়েছিলাম এবং দূর সম্পর্কের মামা ও আমার ছোট ভাই আমরা একসাথে বাঘা মাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। যদিও বর্ষাকাল তবে তারপরেও আবহাওয়া বেশ ভাল ছিল কখনো মেঘ আবার কখনো বৃষ্টি। রাস্তায় যেতে যেতে হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছিল তখন আমরা একটি কোম্পানির গোডাউন এর ভেতরে নিজেদেরকে অবস্থান নিয়েছিলাম এবং বেশ কিছুক্ষণ পর আমরা আবারো আমাদের যাত্রা শুরু করেছিলাম।


20240819_104801.jpg


প্রায় দেড় ঘন্টার ভেতরেই আমরা বাঘা শাহী মসজিদ ও মাজার প্রাঙ্গনে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছানোর পর আমাদের গাড়িটা পার্কিং করলাম এবং গাড়ি পার্কিং করার পর আমরা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বসেছিলাম।

যাইহোক অনেকদিন পর বাঘা বড় দিঘির পাশে বসে থাকতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। বর্ষাকালের ওয়েদার থাকা সত্ত্বেও হালকা বাতাস ছিল এবং হালকা রোদ ছিল। হালকা গরম পরিবেশ সাথে মুক্ত বাতাসে বসে থাকতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। এমন সময় আমি আমার দূর সম্পর্কের মামা ও আমার ছোট ভাইয়ের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম এবং বেশ ভালো লাগছিল আমাদের সেখানে ভ্রমণ করতে।


20240819_105031.jpg


আমার মত আরো অনেক মানুষ রয়েছে যারা সেখানে ভ্রমণ করতে এসেছিল। বিশেষ করে আমি বেশ কিছু সাধু দেখেছিলাম যারা তাদের ধ্যানব্রত পালন করার জন্য এখানে এসেছে এবং তারা বেশ সাদাসিধে স্বভাবের মানুষ।

বাঘা মসজিদ প্রাঙ্গনে রয়েছে শাহাদৌলা ডিগ্রী কলেজ।। কলেজের আশে পাশে থাকা স্টুডেন্টরা মাঝে মাঝেই সেখানে ভ্রমণ করে এবং আমি বেশ কিছু স্টুডেন্ট দেখেছিলাম যারা ভ্রমণ করছিল।

তাছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রাঙ্গণ থেকে সেখানে মানুষ ভ্রমণে আসে এবং আমি তাদের ভ্রমণ দেখছিলাম এবং আমি বেশ কিছু জিনিস উপভোগ করেছিলাম। বিশেষ করে বাঘা মাজার শাহী মসজিদ ও বাঘা বড়দিঘী সবকিছু মিলিয়ে সেখানে চমৎকার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এবং বিশেষ করে বেশ কিছু পর্যটক সেখানে ছিল।

আমরা দিঘিরপাশে বসেই অনেক আনন্দ করেছিলাম এবং আমরা সেখানে বসে ছিলাম এবং পুকুরে কিছু কলেজ স্টুডেন্টরা গোসল করেছিল তাদের গোসল করা দেখছিলাম।


20240819_104742.jpg


কিন্তু এর ভেতরে যে মারাত্মক একটি দুর্ঘটনা হয়ে যাবে আমরা কেউ তা বুঝতে পারিনি। স্টুডেন্টরা যারা পুকুরে গোসল করছিল তারা মসজিদ এর ছাদ থেকে পানিতে লাফ দিয়েছিল। প্রায় তারা ১০ জন ছিল এবং ইতিপূর্বেই পাঁচজন পানিতে লাফ দেওয়া শেষ করেছিল এবং তারা অনেক আনন্দ করছিল।

কিন্তু যখন ষষ্ঠতম ব্যক্তি পানিতে লাফ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল তখন পেছন থেকে একজন তার বন্ধু তাকে ধাক্কা দিয়েছিল। অপ্রস্তুত অবস্থায় সে মসজিদ এর ছাদ থেকে নিচে পড়ে গিয়েছিল এবং দিঘির সিঁড়ির ওপর পড়ে তার হাত কেটে গিয়েছিল। পাশাপাশি সে তার বুকে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছিল এবং সেখানে সে সেন্সলেস হয়ে গিয়েছিল। আমরা সকলেই ভেবে নিয়েছিলাম পঞ্চম তম ঐ ছাত্র মৃত্যুবরণ করেছে এবং তাকে তার সঙ্গীরা খুব দ্রুত পাশের সদর মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিল।

যেহেতু সেখানে আমাদের চার্জার ভ্যান ছিল আমরা সে কারণে আমাদের গাড়ি নিয়ে ওই অসুস্থ ব্যক্তিকে মেডিকেলে নিয়ে গিয়েছিলাম। যাইহোক অবশেষে চিকিৎসা করার পর দেখতে একটি ভালো হয়েছিল এবং আমরা তখন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলাম সকলেই।

ভ্রমণ কার্যক্রম আমাদের প্রায় শেষের দিকে। এরপর আমরা হালকা নাস্তা করেছিলাম বিশেষ করে বাঘাতে যদি আপনি আসেন তাহলে সব থেকে ভালো হয় রাজশাহীর চটপটি খেলে। তাই আমরা বেশ কিছু ফাস্টফুড ও চটপটি খেয়েছিলাম এবং আমরা পুরো দীঘির আশেপাশ অঞ্চল গাড়ি নিয়ে ভ্রমণ করলাম।

যেহেতু বর্ষাকাল তাই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছিল। আমরা একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলাম এবং বেশ কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শেষ হলো এবং আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম।


এভাবেই আমাদের ছোট্ট একটি ভ্রমণ কার্যক্রম শেষ হয়েছিল এবং আমরা মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলাম। তবে পরিশেষের সমস্ত সমস্যার সমাধান হয়েছিল এবং আমরা বাসায় ফিরতে পেরে অনেক অনেক আনন্দিত।


কেমন লেগেছে আমার শর্ট ভ্রমণের গল্প। আশা করছি বেশ ভালো লেগেছে। মূল্যবান সময় দিয়ে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।




VOTE @bangla.witness as witness



witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power


|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |



ezgif.com-video-to-gif (6).gif

আমি


আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।

উষ্ণ শুভেচ্ছা


20221105_225033.jpg

@steem-for-future

Sort:  

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.031
BTC 60913.22
ETH 2643.10
USDT 1.00
SBD 2.58