3RD- GENDER- নাটকের রিভিউ ||| ১০% @shy-fox কে
Made by canva
থার্ড জেন্ডার- তৃতীয় লিঙ্গ
আসলে থার্ড জেন্ডার বলতে এখানে সমাজের তৃতীয় লিঙ্গের মানুষকে বোঝানো হয়েছে। নারী এবং পুরুষ ছাড়াও আমাদের সমাজে আরো একটি লিঙ্গের মানুষ রয়েছে। যাদেরকে আমরা সমাজে হিজড়া বলে সম্মতি করি। আসলে সমাজে নারী এবং পুরুষ ছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের যে মানুষ রয়েছে তারাও আমাদের মত মানুষ। সুতরাং আমরা সকলে সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি।
সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি হিসেবে আমাদের অবশ্যই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা সহানুভূতি এবং সহমর্মিতা দেখিয়ে চলা উচিত। তবে আমাদের সমাজে কিছু কিছু মানুষ আছে যারা তৃতীয় লিঙ্গের এই মানুষগুলোকে দেখে অবহেলা করে কিংবা তাদের প্রতি কোন প্রকার সহানুভূতি দেখানো তো দূরের কথা তাদের প্রতি অবহেলা এবং অবিচার করে।
সুতরাং আমি আজকে আপনাদের সামনে থার্ড জেন্ডার নাটকের রিভিউ নিয়ে হাজির হলাম। আশা করছি এই নাটকটি দেখলে আমাদের মনুষ্যত্ব পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি আশাবাদী।
প্রয়োজনীয় তথ্য
নাটকের নাম | থার্ড জেন্ডার |
---|---|
দৈর্ঘ্য | ৩৬.১৫ মিনিট |
নাটকটি সম্পাদনায় | সাদ্দাম ইয়াসিন |
অভিনয় করেছেন | মুশফিক ® ফারহান, শাওন, তানজিম হাসান অনিক, সিয়াম নাসির, একে নাদিম, রকি, রত্না এবং আরো অনেকে |
চিত্রগ্রহণ | ফুয়াদ আলমগীর |
গল্প কাহিনী ও সংলাপ | মারুফ রশিদ বান্না |
প্রযোজক | club11 |
কাহিনী সংক্ষেপে,
প্রথমে এই মানুষটির নাম নাটকে উল্লেখ করা হয়নি। তবে নাটকের মাঝে এই অভিনেতার নাম স্নিগ্ধা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে আমি সংক্ষেপে গল্পে একে স্নিকধা নাম দিলাম। সর্বপ্রথম স্নিগ্ধা নামের এই অভিনেতাকে নাটকের সর্বপ্রথম রাখা হয়। এবং সে ছেলে হওয়া সত্ত্বেও মেয়ে মানুষের মত ব্যবহার করে এবং এর জন্য এর বাবা অনেক রাগান্বিত এবং অনেক রাগ দেখায় একে। এবং তাকে স্বাভাবিক ব্যবহার করতে বলে সবার সাথে এবং স্বাভাবিক মানুষের মত চলতে বলে।।
অপরদিকে স্নিগ্ধার সাথে রাস্তার অন্যান্য ছেলেগুলো বাজে বিহেভ করে। সব সময় মজা এবং ঠাট্টা করে স্নিকধার সাথে। তারাও যে সমাজের মানুষ এটা কখনোই কল্পনা করে না। ঠাট্টা এবং বিদ্রূপ করে সবাই তাদেরকে।।
অবশেষে স্নিগ্ধা এবং তার বন্ধু যদি 1 জায়গায় মিলিত হয় এবং তাদের ব্যর্থতার কথা বলে। সমাজে তাদের কেউ মূল্যায়ন করে না এ বিষয়ে তারা অনেক দুঃখ প্রকাশ করে এবং অবশেষে তারা তাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে চাই।
অবশেষে স্নিগ্ধা এবং জ্যোতি প্রতিশোধ নেওয়া শুরু করে। তারা অত্যাচারী মানুষদের ওপর প্রতিশোধ নেয় এবং তাদেরকে বিভিন্ন ভাবে অপমান করে বিভিন্ন সময়।
বিষয়টা স্নিগ্ধার বাবা দেখে ফেলে। এবং স্নিগ্ধাকে অনেক মারধোর করে এবং অপমান করে তাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। স্নিগ্ধা বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়।
অবশেষে স্নিকধা এবং যদি পুনরায় তাদের জীবন গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়। দুই বন্ধু মিলে কঠোর হয়ে যায় এবং জীবন পরিচালনা করার জন্য তারা আবারও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
তারা আবারও রাস্তার পাশের মানুষগুলোকে বিরক্ত করতে থাকে এবং তারা জনসমাজে প্রভাবশালী হয়ে জীবন যাপন করতে পারে সেই অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে যুদ্ধ শুরু করে।
অবশেষে একটি বাসায় সন্তান জন্মগ্রহণ করে। সেই বাসার মালিক ছিল প্রভাবশালী। এবং সেই বাসায় তারা তাদের সন্তানকে আশীর্বাদ করতে গেলে তাদেরকে অন্যায় ভাবে মারধর করে।
সুতরাং এক্ষেত্রে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে হয় স্নিগ্ধা এবং জ্যোতিকে। অবশেষে তারা আরো কঠিন থেকে কঠিন পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়।
প্রভাবশালী যে ব্যক্তি স্নিগদা এবং জ্যোতিকে বাসা থেকে অপমান করে বের করে দিয়েছিল সেই লোকের প্রতি অনেক অবিচার করে তারা।
অভিসার সহ্য করতে না পেরে সেই প্রভাবশালী মানুষটি জ্যোতি এবং স্নিগ্ধার কাছে এসে তার ভুল স্বীকার করে এবং ক্ষমা প্রার্থনা করে। তারা দুই বন্ধু সেই প্রভাবশালী মানুষটাকে ক্ষমা করে দিলেও প্রভাবশালী মানুষটা আবার অন্যরকম একটা ঝামেলা বাড়ানোর চেষ্টা করে।
স্নিগ্ধা এবং জ্যোতিকে পুলিশের ভয় দেখায় এবং পুলিশকে ধরিয়ে দেয়। পরে স্নিকধা এবং যদি আবারো পূর্বের অবস্থানে ফিরে যাই।।
কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদেরকে আবার পূর্বের মতো অপমানিত হতে হয় সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের কাছে। তাদের জীবন এভাবেই চলছিল।
কিন্তু হঠাৎ একদিন সেই প্রভাবশালী মানুষটাকে সমাজের কিছু সন্ত্রাসী আক্রমণ করে এবং তার জীবন নেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এদিকে সেই প্রভাবশালীর জীবন রক্ষা করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জোতিএবং তার বন্ধু।
পরে দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে সেই প্রভাবশালী ব্যক্তি থেকে রক্ষা করে। অন্যান্য মানুষগুলো যেখানে পাথরের মতো মোবাইলে ভিডিও করতে ব্যস্ত সেখানে জ্যোতি এবং তার বন্ধু মানুষের প্রতি ভালোবাসা দেখে সেই প্রভাবশালী মানুষটিকে বাঁচানো র চেষ্টা করে।
অবশেষে পুলিশ সমস্ত ঘটনা জানতে পারে এবং স্নিগ্ধা এবং জাতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং স্যালুট জানিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।
অবশেষে সেই প্রভাবশালী মানুষটাও তার কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং তাদের কাছে ক্ষমা চাই এবং বলে তারা আমাকে আবার নতুন জীবন দান করল।
এবং যদি এবং স্নিকধা তাদের লিঙ্গের মানুষের কাছে মিলে যায় এবং স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে। আর এই ছিল নাটকটির প্রধান রিভিউ।
ব্যক্তিগত মতামত
শিক্ষা
আমরা কখনোই মানুষকে অবহেলা করবো না। কে ধনীকে গরীব কিংবা কে কোন পরিবেশ থেকে এসেছে সেটা দেখার আমাদের কোন সময় নাই। আমাদের একটাই পরিচয় থাকা উচিত আমরা সকলে মানুষ। অর্থাৎ মানুষ হিসেবে মানুষের কর্তব্য পালন করতে হবে। মানুষকে অবহেলা করা উচিত নয়।নাটকটি দেখে এই শিক্ষাই উপনীত হওয়া যায় যে আমাদের প্রত্যেকের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে এবং প্রত্যেকের প্রতি ভালোবাসা সহমর্মিতা দেখে সমাজে একে অপরের পাশে টিকে থাকতে হবে। তবেই সত্যিকারের সমাজ বিনির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সহায়তা হবে।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটি দেখে রীতিমতো আমার চোখ থেকে পানি বের হয়ে গিয়েছিল। যেটা আমার মনুষ্যত্ব বিকাশে অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি। সুতরাং নাটকটি কে আমি
১০/১০ দিলাম ✅
বিশেষ দ্রষ্টব্য
সমস্ত চিত্রগুলো ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
নাটকটির ইউটিউব লিংক
চাইলে এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।
3RD- GENDER- নাটকের রিভিউ দেখে অনেক ভালো লাগলো। নাটকটি যদিও আমি দেখিনি। তবে আপনার রিভিউ পরে দেখা হয়ে গেলো। ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া
শুধুমাত্র রিভিউ দেখে সম্পূর্ণ মজা পাওয়া যায় না। তার পরেও আপনি কিন্তু চাইলে এই নাটকটি দেখে নিতে পারেন। অনেক ভালো লাগবে। একদম বাস্তব চিত্র নিয়ে একটি তুলে ধরা।
নাকটি যদিও একটি মজার নাটক ,কিন্তু এই নাটকটি দেখে কিছু শিক্ষা অর্জন করা যায়। যা একটি সমাজের চোখে অঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। আমি এই নাটক দেখে অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছি। আপনার এই নাটকের রিভিউর জন্য শুভকামনা রইল
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। নাটকটি আমাদের প্রধান মনুষত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সাহায্য করে। নাটকটি সত্যিই অনেক চমৎকার এবং শিক্ষনীয়। আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি নাটকটি রিভিউ দেখার জন্য
খুবই সুন্দর একটা নাটকের রিভিউ আপনি আমাদের মাঝে প্রদান করেছেন ভাইয়া। আপনার এই নাটকের রিভিউটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এই নাটকটি আমি অনেকদিন আগে দেখেছিলাম নাটক দেখে অনেক মজা পেয়েছি। আপনিও অনেক সুন্দর হবে নাটকটি রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এমন সুন্দর একটা নাটকে তিনি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
শুধু মজার নাটক নয়। এখান থেকে আমাদের কিছু শিক্ষামূলক বিষয় থেকে যায়। সেটা হলো আমাদের মনুষত্ব বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষ হয়ে কখনোই মানুষের প্রতি অবহেলা করা ঠিক নয় এটাই ছিল প্রধান ফোকাস।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ নাটকের ইউটিউব দেখার জন্য
থার্ড জেন্ডার নাটকটির কিছু অংশ ফেসবুকে দেখেছিলাম। কিন্তু সম্পূর্ণ নাটকটা কখনো দেখা হয়নি। নাটকটা অনেক মজার। আপনি নাটকটি অনেক সুন্দর করেই শুরু করেছেন। পড়ে অনেক ভালো লাগলো। কিন্তু নাটকটা যে এতটা দুঃখের তার আগে ভাবি নি। মানুষকে কিভাবে অবহেলা করা হয় তাই নাটকের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ফেসবুকে শুধুমাত্র নাটকের প্রধান অংশবিশেষ দেখানো হয়। যেটি আপনি দেখেছেন। তবে মানুষ হয়ে যে আমরা মানুষকে অবহেলা করি তার প্রধান বিষয় এখানে উল্লেখ করা। খুবই জঘন্য ছিল মানুষ হয়ে মানুষকে অবহেলা করার বিষয়টি।
ধন্যবাদ আপনাকে রিভিউটি পড়ার জন্য