জেনারেল রাইটিং : আমার শৈশবের আনন্দময় স্মৃতি : ধুলাবালির খেলা
আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভাল আছি। আমরা যেন সবসময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি।
আজ আমি একটি জেনারেল রাইটিং ব্লগ শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। তা ছিল আমার শৈশবের স্মৃতি নিয়ে। শৈশবে স্মৃতিগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল ধুলাবালি নিয়ে খেলাধুলা। আজকে আমি ধুলাবালি নিয়ে খেলা ও আমার শৈশবের স্মৃতি মূলক একটি ব্লগ শেয়ার করছি সকলের উপভোগ করুন।
আপনার শৈশবের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। শৈশবে মাঝে মাঝে এমন কিছু স্মৃতি রয়েছে যেগুলো জীবনের শেষ প্রান্তে গিয়েও হয়তো আমাদের মনে রয়ে যাবে। কারণ শৈশবের দিনগুলো যে এত মধুর ছিল হয়তো সেই দিনগুলো আর কখনোই ফিরে আসবে না। কিন্তু শৈশবের সেই দিনগুলোকে আমরা অনুভব করতে পারি এবং অনুভব করার মাধ্যমে আমরা আমাদের মনের আনন্দ ফিরে পেতে পারি শুধুমাত্র স্মৃতি হিসেবে।
ঠিক আমারও শৈশবের মধ্যে অন্যতম একটি স্মৃতি ছিল ধুলাবালি ও কাদা নিয়ে খেলা করা। শৈশবে খেলা করার জন্য একমাত্র প্রধান উপকরণ ছিল ধুলাবালি।
খেলা করছিলাম এমন সময় দুপুর হয়েছে এবং প্রচন্ড রোদ সে দেখে কোন খেয়াল ছিল না। দুপুরে আজান হয়েছে এবং মা তখন খেলার আম বাগানের নিচ থেকে ডেকে এনে গোসল করানো শেষ করে দুপুরের খাবার খেতে দিয়েছে। খাবার খেতে দেওয়ার পর মায়ের নির্দেশনা ছিল দুপুরে যেন রৌদ্রে কোথাও বের না হয়ে যায় এবং একটু ঘুমিয়ে থাকি।
তবে চোখ বন্ধ করে থাকি এবং তখনই মা এসে দেখে তার সন্তান ঘুমিয়ে গিয়েছে। যখনই মা সংসারের কোন কাজে চলে যেত তখনই শুরু হয়ে যেত উঠে দৌড় দেওয়ার পালা। কারণ ইতিপূর্বেই আম বাগানের নিচে আরো বন্ধুরা অপেক্ষা করছে কাদামাটি নিয়ে খেলার জন্য কিংবা ধুলা ছুড়াছুড়ি খেলা করার জন্য।
ইতিপূর্বেই বাগানে গিয়ে দেখে অনেকগুলো বন্ধু একত্রিত হয়েছে এবং তারা খেলা শুরু করে দিয়েছে। তাদের সাথে খেলতে গেলে অনেক বাহানা ও অনেক কথা সইতে হয়তো। কারণ আমি ইতিপূর্বেই আসতে দেরি করেছি এবং আমার সাথে যে ব্যক্তির জুড়ি মিলানো হতো সে এখন আর নাই। কারণ আমাদের মাঝেও তখন দল ভাগাভাগি করে আবার আমরা আমাদের খেলা কার্যক্রম শুরু করতাম।
বন্ধুদের সাথে খেলার কার্যক্রম শুরু হয়ে যেত। এক দিক থেকে আমরা কয়েকজন এবং অপর দিক থেকে আরো কয়েকজন বন্ধু মিলে ধুলাবালি সংগ্রহ করতাম এবং কিছুক্ষণ পর আমরা তা একপক্ষ অপরপক্ষের দিকে ছুড়াছুরি শুরু করে দিতাম।
কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ আগেই মা গোসল করিয়ে পুরো শরীরে সরিষার তেল মাখিয়ে দিয়েছে সে বিষয়ে কোন লক্ষ্য ছিল না। ছিলনা কোন লোভ-লালসা ছিল না কোন নিজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার সচেতনতা।
সকাল থেকে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে কখন তা বুঝে উঠতে পারতাম না। পুরো শরীর যেন ধুলাবালিতে সাদা হয়ে গিয়েছে।
দুপুর থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলাধুলা করতাম এবং ধুলাবালি নিয়ে খেলাধুলা করতে অনেক বেশি আনন্দ হতো। সন্ধ্যা পর্যন্ত খেলার পর বাসায় গিয়ে দৌড়ে হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসতাম এবং তখন যেন সমস্ত পাপ ক্ষমা হয়ে যেত।
সত্যি শৈশবের স্মৃতি আমাদেরকে আজীবন আনন্দিত করে এবং সেগুলো সত্যি অনেক আনন্দময় হয়ে থাকে। আমার মতো আপনার কি শৈশবে ধুলাবালি নিয়ে অথবা অন্য কোন স্মৃতি এখনো আপনাকে আনন্দ দেয়। চাইলে আপনিও আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের মাধ্যমে আপনার শৈশবের স্মৃতিগুলোকে ভাগ করে নিতে পারেন। পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার দিনটা শুভ হোক।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://x.com/steemforfuture/status/1823563740027261059?t=6n0zhYP2MZ3RuRgphcMUdw&s=19
একদম জীবনের বাস্তবতার অতীত কিছু স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে। একদম ঠিক কথা বলেছেন সারাদিন খেলাধুলার পর রাতে যখন হাত মুখ ধুয়ে পড়তে বসতাম তখনই মনে হতো জানো বাবা মায়ের দৃষ্টিতে পাপ মোচন হয়ে গেল। আর কত না আনন্দদায়ক ছিল আমাদের দিনগুলো। বিভিন্ন খেলাধুলায় ব্যস্ত থাকতাম আমরা। এখন তো সে সমস্ত খেলাধুলা আর নাই বললেই চলে।