বৃদ্ধ দাদার জীবন কাহিনী। ১০% 🦊
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো @amarbanglablog
আশা করি সকলে ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই কামনা করি এবং সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন সব সময় সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি। সকলের প্রতি অনেক অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং
ইতিপূর্বেই আমি আপনাদেরকে অবগত করেছিলাম যে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপভোগ করার জন্য আমি আমার দেশের বাড়িতে বেড়াতে যাই। দেশের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে এমন একটি ঘটনা আমার হৃদয় কাড়ে যা সত্যিই বলে বোঝানোর মত না।
শীতের টাইটেল দেখেই হয়তো আপনারা অবাক হয়ে গেছেন যে এত বছরের একজন বৃদ্ধ আবার কিভাবে এখনো পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারে।?? আমার এই ঈদের ভিতর আনন্দঘন মুহূর্তটাকে আরো একটু সুন্দর এবং সাবলীল করে তোলার জন্য প্রচন্ড গরম এর ভেতরে আমি এবং আমার ছোট ভাই এবং কাকা মিলে একটি আম গাছের ছায়া নিচে সেলফি তুলছিলাম এবং কার ক্যামেরার সেলফি কত সুন্দর সে নিয়ে তর্ক বিতর্ক করছিলাম.। এমন সময় হঠাৎ আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল আমার সেই ১০০+ বছরের দাদার অসাধারণ মায়াবী মুখটা।
সে আমার দিকে অধীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল এবং আমাদের সেলফি সংক্রান্ত ঝামেলা গুলো উপভোগ করছিল। যদিও তার বয়স অনেক বেশি তবে মনে অনেক অনেক আনন্দ এবং উপভোগ রয়েছে। তবে আমি আমার সেই দাদার দিকে তাকিয়ে মুচকি একটা হাসি দিলাম এবং বললাম কি দাদা একটা সেলফি তুলে দিব নাকি?? সে আমার দিকে তাকিয়ে চমৎকার একটা হাসি দিল এবং আমি তাকে অনেকগুলো ফটোগ্রাফি করে দিলাম এবং দেখে সে অনেক অনেক খুশি হয়েছিল।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আপনিও হয়তো অনেক অনেক খুশি হবেন। এত বৃদ্ধ একটা মানুষ এবং তার এই মায়াবী মুখ দেখে সত্যি অনেক অনেক ভালো উপভোগ হচ্ছিল আমার। তবে এই আনন্দের ভিতরে একটা দুঃসংবাদ হল সে কিন্তু একজন অনাহারি মানুষ।
অনাহারি বলতে সে অনেক পরিশ্রম করে এই বৃদ্ধ বয়সে এখন পর্যন্ত। আমার যে দাদী ছিল সে অন্য একটি ফ্যাক্টরিতে অর্থাৎ হোটেলে রান্নাবান্নার কাজ করে। মাঝে মাঝে বাড়িতে আসে এবং যখন বাড়িতে থাকে না তখন আমার দাদাকে দেখার জন্য কোন মানুষ নাই। খেয়ে না খেয়ে তাকে জীবন যাপন করতে হয়। আসলে এই বয়সে এসে এমনকি তাকে রান্নাবান্নার কাজ পর্যন্ত করতে হয়। তার যদিও একটি ছেলে সন্তান আছে তার পরেও এই বৃদ্ধ বাবার প্রতি বিন্দুমাত্র নজর নাই।
আসলে আমার এই পোস্ট করার একটা মাত্র উদ্দেশ্য।একটু যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন এই বৃদ্ধ মানুষটির মতো সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যদি পৃথিবীতে বাঁচিয়ে রাখে তাহলে আপনিও একদিন বৃদ্ধ হয়ে যাবেন। তবে এই শেষ বয়সে এসে আপনি যদি এই বৃদ্ধ মানুষটির মতো অসহায় হতে না চান তাহলে আপনার অবশ্যই উচিত হবে এই যৌবন বয়সটাকে কাজে লাগানোর। অযথাই এদিকে ওদিকে সময় নষ্ট না করে সঠিক জায়গায় সময় বিনিয়োগ করা এবং ভবিষ্যতের জন্য কিছু সংগ্রহ করে রেখে বাকি জীবনটা সুন্দর করে কাটিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে আমি এই পোস্ট করি। তবে বেশ ভালো ছিল আমার সেই দাদার অসাধারণ ফটোগ্রাফি গুলো। যেগুলো প্রতিনিয়ত আমার নজর কাড়ে। তবে অবশ্যই বিষয়টি থেকে বিন্দুমাত্র নিজের জীবন সম্পর্কিত যদি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি তবে আমার এই পোস্ট সার্থকতা অর্জন করতে পারে। ধন্যবাদ সবাইকে।
Photography | original | |
---|---|---|
Device | mobile | Samsung galaxy f22 |
Photographer | owner | @steem-for-future |
Edit | no | |
W3W location | whats3world |