Lifestyle: রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে ভ্রমণে একদিন
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুদের শুভেচ্ছা। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলেই বেশ ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আজ আমি আপনাদের মাঝে রাজশাহী রেলস্টেশন ভ্রমণের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে চাই। সকলকে আমন্ত্রণ করছি আমার আজকের এই ব্লগ উপভোগ করার জন্য। সাথেই থাকুন।
ভ্রমণ করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে তার পরেও আমি যে রাজশাহী রেল স্টেশন ভ্রমণে একদিন বের হয়েছিলাম সেই ভ্রমণটি আমাকে বেশ যন্ত্রণা দিয়েছিল। কারণ প্রিয় মানুষটি যখন পরিবারের মাধ্যমে আমাকে প্রচুর ভাবে আঘাত দিয়েছিল তখন আমি প্রচুরভাবে মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলাম এবং আঘাত পেয়েছিলাম। তাই আমি আমার সেই কষ্ট ভুলে যাওয়ার জন্য একটি হঠাৎ করেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যদিও আমি সই ভ্রমণের জন্য কোন ভাবেই প্রস্তুত ছিলাম না তবে তারপরেও আমাকে ভ্রমণে বের হতে হয়েছিল।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে আমি কোনরকম ঔষধ খেয়েছিলাম এবং হালকা নাস্তা করেছিলাম। হালকা নাস্তা করে আমি সাধারণ ড্রেস পরিধান করেই বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম এবং আমি আব্দুলপুর রেলওয়ে স্টেশনে চলে গিয়েছিলাম রাজশাহীর উদ্দেশ্যে। কারণ আমার মনের অবস্থা ইতিমধ্যে অত্যন্ত খারাপ এবং আমার মনের ভেতরে কেন জানি খুব বেশি খারাপ লাগতে শুরু হয়েছিল।
তবে এই খারাপ লাগার ভেতরেও একটি আনন্দের বিষয় ছিল আর তা হলো আমি বিনা টিকিটে রেলওয়ে ভ্রমণ করেছিলাম যা সত্যিই হাস্যকর। কারণ এত সিকিউরিটি কে আমি কিভাবে ফাঁকি দিয়ে স্টেশন ত্যাগ করেছিলাম এটি সত্যি আমি আশ্চর্য হয়েছিলাম বিষয়টি পরবর্তীতে।
আমি সকাল দশটায় ট্রেন যাত্রা শুরু করি এবং প্রায় দেড় ঘন্টার ভেতরে আমি রাজশাহী উপসহরে গিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম। রাজশাহী পৌঁছানোর পর আমি সেখানে স্টেশনে বসে ছিলাম এবং স্টেশনে বিভিন্ন মানুষের কার্যক্রম দেখছিলাম। একদিকে যেমন মন খারাপ অপরদিকে অসহায় মানুষগুলোকে দেখে মনের ভেতরে কিছুটা শান্তি পেয়েছিলাম। কারণ পৃথিবীতে আমার থেকেও আরো অনেক বেশি মানুষ রয়েছে যারা আমার থেকে বেশি অসহায়। তাদের জীবনযাত্রার মান আমাকে বেশ দুঃখিত করেছিল এবং আমি তাদের জন্য দোয়া করেছিলাম। স্টেশনে তারা অসহায় মানুষ রয়েছে তাদেরকে দেখে আমার বেশ খারাপ লেগেছিল এবং আমার জীবনের প্রতি সব অভিযোগ হারিয়ে গিয়েছিল।
প্রায় দুই ঘণ্টা আমি সেখানে বসে ছিলাম। এরপর আমি স্টেশনে কিছু অসহায় মানুষদেরকে দেখার পর যখন আমার সমস্ত অভিযোগ নিমিষেই শেষ হয়ে গিয়েছিল তখন আমি বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। তবে আমি টিকিট কাউন্টারে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে বলে ট্রেন আসতে আরো তিন ঘন্টা সময় লাগতে পারে।
সুতরাং আমি স্টেশন প্লাটফর্ম ত্যাগ করলাম এবং আমি এবার বাসে যাত্রী অর্থাৎ আমার যাত্রা শুরু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলাম।
রাজশাহী শহরটা বেশ পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন। অটো রিক্সা নিয়ে যখন আমি রাজশাহী শহর ভ্রমণ করছিলাম তখন শহরের মুক্ত বাতাস আমাকে বেশ আনন্দ দিয়েছিল। একদিকে অন্তরে প্রচন্ড কষ্ট এবং অপরদিকে শহরের এই নিরিবিলি পরিবেশ আমার মনে যেন খুশির দোলা দিয়েছিল। আমি এবার রিস্কা থেকে নেমে একটি চায়ের দোকানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে চা-বিস্কুট দিয়ে হালকা নাস্তা করলাম। হালকা নাস্তা করে এবার আমি অনাবিল বাসের জন্য টিকিট কাউন্টারে গেলাম।
রাজশাহী রোড থেকে বাঘা পর্যন্ত আমি টিকিট ক্রয় করেছিলাম 95 টাকা দিয়ে। তবে রাজশাহী শহরের আবহাওয়া আমাকে বেশ আনন্দিত করেছিল এবং আমি বাসে আহরণ করেছিলাম বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বাড়িতে পৌঁছাতে আমার প্রায় বিকেল পাঁচটা বেজে গিয়েছিল এবং আমার এই ছিল তিক্ত ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। যদিও অনেক কষ্ট নিয়ে রাজশাহী স্টেশনে গিয়েছিলাম শহর উপভোগের জন্য তবে স্টেশনে কিছু মানুষের জীবনযাত্রার মান আমার অন্তরের সমস্ত অভিযোগ দূর করে দিয়েছিল এবং অবশেষে আমি বাড়ি ফিরেছিলাম। যাইহোক যেখানে কষ্ট সেখানেই সৃষ্টিকর্তার রহমত ও স্বস্তি রয়েছে।
যদিও অন্তরে অনেক কষ্ট ছিল তবে তারপরেও ভ্রমণের মাধ্যমে আমি আমার কষ্টগুলোকে দূর করার চেষ্টা করি। আশা করছি আজকের এই তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আপনাদের ভালো লেগেছে। উপভোগ করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
|250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
আমি
আমি মোহাম্মদ আকাশ সরদার
। জাতীয়তা বাংলাদেশী। আমি ব্লগিং করতে অনেক বেশি ভালোবাসি। যদিও আর্ট আমার অনেক বেশি পছন্দ তবে আর্টওয়ার্ক কাজের জন্য আমার হাত একদম বাজে। ভ্রমণ এবং ফটোগ্রাফি আমার সব থেকে প্রিয় বিষয়। নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ এবং নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে বেশ ভালো লাগে। অসহায় মানুষদেরকে সাহায্য করতে পারলে মনের ভেতরে আনন্দ আসে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে মানুষের সেবা করতে চাই এবং সকলের প্রিয় ব্যক্তি হয়ে এই সমাজে বসবাস করতে চাই।
https://x.com/steemforfuture/status/1823200362658160884?t=qRxjyGyNoN4Adl8PZyn5mw&s=19