স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার
Made by canva
আসসালামু আলাইকুম।
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ। আশা করি সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার অশেষ রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় আমিও ভাল আছি। সকলে সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই কামনা করি এবং সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন ইনশাল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক অনেক সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি। সকলের প্রতি অনেক অনেক প্রীতি শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং।
https://w3w.co/mulls.rudder.spindles
অবশ্যই টাইটেল দেখে বুঝতে পারছেন আমি আপনাদের সামনে আজকে ঈদে বাড়ি ফেরার আনন্দটা শেয়ার করতে চাই। স্বপ্ন যাবে বাড়ি আমার।
আসলে কথাটার মধ্যে লুকিয়ে আছে দীর্ঘদিনের বাড়িতে না ফেরার লুকায়িত কিছু কথা। যে কথাগুলো হয়তো কখনোই কাউকে বোঝানো সম্ভব হয় না। ঠিক আমিও বেশ অনেকদিন পরে দেশের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করার জন্য স্বপ্ন জমাই বাড়ির উদ্দেশ্যে। তবে বাড়ির উদ্দেশ্যে আসার জন্য আমাকে অনেকগুলো কষ্ট এবং স্বীকার ত্যাগ করতে হয় এবং অবশেষে দীর্ঘ 14 ঘন্টা জ্যাম ছাড়িয়ে আমাকে বাড়িতে আসতে হয়। তারপরেও শহরের যানজট এবং ধুলাবালি ছেড়ে দেশের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজনের সাথে ঈদ করতে পারার মজাটাই আলাদা। তাই আমিও শুরু করলাম আমার দেশের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করার জন্য যাত্রা।
https://w3w.co/cheekbones.stank.ascending
কিছুক্ষণ গাড়ি চলতে শুরু করার পরে শুরু হল নাজেহাল অবস্থা। এবারে ঢাকা শহরের সমস্ত কলকারখানা গুলো একসঙ্গে ছুটি হয়ে যাবার কারণে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম। কিছুক্ষণ গাড়ি চলতে থাকার পরে শুরু হল দীর্ঘ জ্যাম। যদিও আমরা সন্ধ্যার একটু পূর্ব মুহূর্তে আমাদের যাত্রা শুরু করি তারপরেও মাত্র ১০ মিনিট গাড়ি চলার পরেই শুরু হয় লম্বা জ্যাম।
কোনভাবেই যেন এই বিরক্তিকর মুহূর্তের শেষ নেই। বিশেষ করে লম্বা অনেক জ্যাম এবং তার সাথে ছিল অনেক ছটফটে গরম একটা আবহাওয়া।
https://w3w.co/cheekbones.stank.ascending
তাছাড়াও রাস্তাঘাটের অবস্থা আর কি বলব। একদিকে যেমন প্রচন্ড জ্যাম অপরদিকে প্রতিটি যানবাহনে ছিল চোখে পড়ার মতো ভিড়। আমরা ছিলাম বাস এর ভেতরে। তবে রাস্তায় যখন প্রচন্ড জ্যাম ছিল তখন আমাদের সামনে ট্রেন টপিক দিল এবং দেখতে পেলাম ট্রেন এর ওপর ভেতর পুরোটা ব্লক হয়ে রয়েছে। আসলে এতটা জ্যাম রাস্তায় সেটি বুঝে ওঠার ক্ষমতা সবার থাকে না বলে আমি মনে করি।
https://w3w.co/cheekbones.stank.ascending
আবার এই প্রচন্ড জ্যামের ভেতরে কারো কারো গাড়িতে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা। কেমন জানি একটা বিরক্তিকর অবস্থা সবার মধ্যে বিরাজ করছে। একদিকে রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম অপরদিকে এই আষাঢ় মাসেও যেন চৈত্র মাসের মত প্রচন্ড রোদের তাপ এবং প্রচন্ড গরম।। সবকিছু মিলিয়ে অনেক বিরক্ত ফিল করতে হচ্ছিল আমাদেরকে। সবার ভেতরে যেন বিরক্তিকর একটা আবহাওয়া বিরাজ করছে। যাইহোক এভাবে ফ্রাই ১৪ ঘণ্টা একাধারে জ্যামে পড়েছিলাম এবং এর কিছুক্ষণ পরেই জ্যাম ছেড়ে দিল। যাইহোক ধীরে ধীরে আমরা আমাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলাম কোন প্রকার বাধা বিঘ্ন ছাড়াই।
তবে সমস্যা ছিল রাস্তার ভেতরে আমাদের আরও একটা অ্যাক্সিডেন্ট এর হাত থেকে আমরা বেঁচে গিয়েছিলাম
। যাই হোক সবকিছু সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ তায়ালার রহমত ছিল বলেই সম্ভব হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে বাড়িতে আসার স্বপ্ন সবার থাকলেও রাস্তায় যে প্রচণ্ড জ্যাম এটা উপেক্ষা করে মাঝে মাঝে বাড়িতে আসতে মনে চায় না। তবে তারপরেও গ্রামের মানুষ গুলো এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে ঈদ করার মজাটাই আলাদা। এজন্যই এত ঝামেলা অপেক্ষা করেও দেশের বাড়িতে আসে ঈদ করতে। ইনশাল্লাহ এখন মোটামুটি অনেক ভালো আছি এবং ঈদ করা শেষে খুব শীঘ্রই আবার আমার কর্মস্থলে ফিরে যেতে পারবো এটাই প্রত্যাশা করছি। সকলকে ধন্যবাদ এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য। চাইলে আপনারাও শেয়ার করতে পারেন আপনাদের বাড়িতে আসার গল্পগুলো আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে। শুধুমাত্র বাংলা ভাষায় আপনার অনুভূতিগুলো জানতে অধীর আগ্রহে প্রকাশ করছে আমার বাংলা ব্লগ।