সংগ্রামী মানুষ গুলোর জীবন এবং তাদের জীবিকার বাস্তব আলোকচিত্র
আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা।
স্বাগতম @amarbanglablog
আজ আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি বাস্তব জীবনের কিছু চিত্র তুলে ধরার জন্য। মানুষ পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করার পর বিভিন্নভাবে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। আমি আজ দেখাবো কিছু সংগ্রামী জীবিকা নির্বাহ কারী মানুষগুলোকে, যারা প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে এবং জীবন যাপন করছে। চলুন শুরু করা যাক
ফটোগ্রাফি নম্বর 1
একজন কলা বিক্রেতা
তখন সময় সকাল আটটা। বাজারে গিয়েছিলাম কিছু আম কেনার জন্য।আম কিনতে বাজারে প্রথমে ঢুকতে আমি দেখতে পেলাম একজন বয়স্ক মহিলা কিছু কলার কাঁধে নিয়ে বসে আছে। দেখে খুব খারাপ লাগলো। অসহায়ত্বের মুখ নিয়ে বসে আছে রাস্তার পাশে। ভাই কলা নিয়ে যান গো ভালো কলা। কিন্তু কে শোনে কার কথা।কেউ পিছু ফিরে চায় আবার কেউ না শোনার ভান করে চলে যায় সামনের দিকে।
জীবনসংগ্রামে একটি অপরাজিত সৈনিক এর নাম ফেরিওয়ালা
ফটোগ্রাফি নম্বর 2
এলোমেলো বাজার
এই আন্টিকে দেখুন।তার কাছে আপনি যে বাগাটি করতে যাবেন না কেন তার বাজারের মূল্য মাত্র 10 টাকা। শুনে অবাক হচ্ছেন। সত্যিই তাই।বড় বড় দোকানদাররা তাদের মাল গুলো যখন বাসায় করে এবং সেখান থেকে অপ্রয়োজনীয় এবং মালগুলো যখন ফেলে দেয় তখন এমন বৃদ্ধ আন্টিকে দেখা যায় সেগুলো দলের ভেতরে করে নিয়ে আসে এবং পুনরায় সেগুলো বাসায় করার পর নিয়ে বসে থাকে বিক্রি করার জন্য।
সুতরাং জীবন সংগ্রামী দ্বিতীয় সূত্রটি প্রকাশ করা হলো
ফটোগ্রাফি নম্বর ৩
আবারো সেই এলোমেলো এবং 10 টাকার দোকান
ফটোগ্রাফি নম্বর ৪
ফটোগ্রাফি নম্বর ৫
একজন বেগুন বিক্রেতা
*বেগুন বিক্রি করছিলেন।সেই সময় আমি তার কাছে গিয়েছিলাম এবং একটি ফটো সংগ্রহ করার জন্য আমার মোবাইলের ক্যামেরা বের করলাম। সাথে সাথে সে বলল ভাই ছবি উঠানো যাবে না। এক্ষেত্রে আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই কেন? সে বলল ভাই আপনারা বড়লোক মানুষ, তাই আমাদের এই ছোট জীবনে কখনোই রং তামাশা করবেন না। আমি তাকে,অবশেষে বোঝাতে সক্ষম হলাম এটি একটি ব্লগ তৈরি করব এবং এখানে কোন প্রকার রং তামাশা সুযোগ নেই।
সুতরাং তার কথা শুনে মনে হল খুব কষ্টের সাথে জীবন যাপন করছে। কেননা এখন বর্ষাকাল,এবং আমি যে বাজারে গিয়েছিলাম সেই বাজারটি এখনো কাঁচা মাটির বাজার। বৃষ্টি হলে প্রচুর পরিমাণে কাদা লেগে যায় পুরো বাজার জোরে। তাছাড়াও এই বেগুন বিক্রেতা প্রচুর পরিমাণে কষ্ট করে জীবন যাপন করছে। আমি তার কথাগুলো শুনে স্পষ্ট ধারণা পেতে সক্ষম হয়েছিলাম।।
ফটোগ্রাফি নম্বর 6
চাচাকে দেখুন। লেবু বিক্রি করছিল।।।
বেশ কয়েকশো লেবু নিয়ে তার মুখের দিকে তাকিয়ে আছে।কখন একজন ক্রেতা এসে তার লেবু কিনবে এবং সে আনন্দে বসে আছে একজন ক্রেতার দোকানে আগমন করার আশায়। আমি সেই চাচার কাছে গেলাম এবং একটি ছবি সংগ্রহ করে সাথে সাথে চলে আসলাম।কেননা চাচা আবার মনে করতে পারে যে আমাদেরকে নিয়ে রং তামাশায় মেতে আছে কিছু বৃত্তবান ব্যক্তিকে। সুতরাং,চাচা যাতে কোনভাবেই কষ্ট না পায় সে কারণে শুধুমাত্র একটি ছবি সংগ্রহ করে চলে আসলাম সেখান থেকে।।
জীবন যোদ্ধার এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়ে এটি
ফটোগ্রাফি নম্বর 7
একজন মরিচ বিক্রেতা
আমাদের সমাজে হাজার হাজার মানুষ আছে যারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করার জন্য প্রচুর পরিমাণে কষ্ট করে রাখছে।তারই ধারাবাহিকতায় তিনি হচ্ছেন একজন মরিচ বিক্রেতা। তিনি কঠোর পরিশ্রম করে তার জীবন জীবিকা নির্বাহ করছেন এবং জীবন যুদ্ধে দিন পার করে যাচ্ছেন।
আমি এবং আমার বন্ধু মিলে যখন এই পাশ দিয়ে হেটে যাচ্ছিলাম তখন সে আমাকে বলল কাকা দয়া করে একটু আমার মরিচের বস্তাটা ধরবেন প্লিজ। তখন আমরা তাকে সাময়িক এজন্য একটি সুযোগ দিলাম এবং তাকে একটু হেল্প করলাম এবং তাকে হেল্প করার পরে চলে আসলাম
ফটোগ্রাফি নম্বর 8
একজন চা বিক্রেতা
আমাদের দেশে এমন কোনো মানুষ নেই যে সে যা পছন্দ করেনা।কিন্তু একজন চা ওয়ালা কে যে কত পরিশ্রম করতে হয় আমরা হয়তো কেউ সে সম্পর্কে জানেনা।একজন চা বিক্রেতা কে অবশ্যই কঠোর পরিশ্রমই হতে হবে এবং তার পরিবারকে ও কঠোর পরিশ্রমকে হতে।পরিবার এবং একজন সাহাবী কে তামিলে প্রতিনিয়ত এই জীবন যুদ্ধে ধরে যাচ্ছে।
জীবন সংগ্রামের আরও একটি অধ্যায়ের রচনা করা হলো এই চা বিক্রেতা কে নিয়ে নিয়ে।।
ফটোগ্রাফি নম্বর ৯
মনোহারী জিনিস বিক্রয়
*বিশেষ করে এটি হচ্ছে একটি মনোহারী দোকান। মনোহারী বলতে সাধারণত যে সকল দোকানে বিভিন্ন প্রকারের জিনিসগুলো বিক্রয় করা হয় সেসব দোকান কে বোঝায়।এই দোকানের পাশ দিয়ে যখন হেটে যাচ্ছিলাম তখন কিছু পুলিশ এই দোকানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল এবং দোকানের চোখের দিকে যেন আড়ি আড়ি করে তাকাচ্ছিল। কিন্তু কেন এই জঞ্জাল??
তারা তো এই দেশের নাগরিক। অন্যান্য বড় বড় ব্যবসায়ীদের যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় কিন্তু এ সকল ব্যবসায়ীদের কোনভাবে সমাজে মূল্যায়ন করা হয় না। কিন্তু কেন এই বৈষম্য তা?? জানতে চাই দাও জাতির কাছে
ফটোগ্রাফি নম্বর 10
একজন মুচি
***সমাজের সব থেকে বড় মাপের অবহেলিত মানুষ গুলো হল এই মুচি।তারা সারাদিন বসে থেকে রোদ্রের মধ্যে যদি একটা ছেড়া জুতা পায় তাহলে সেটি মেরামত করার জন্য উঠে বসি লেগে পড়ে।আমাদের যখন জুতা ছিড়ে যায় তখন আমরা অবশ্যই একজন ভাল জুতা সেলাই করার মানুষের খোঁজ করি।।
কিন্তু সমাজের সব থেকে বড় অবহেলিত এই পেশার মানুষ গুলো। তাদেরকে সমাজে কোনো রকমের দাম দেওয়া হয় না।আমি জানতে চাই তারা কি কোন হারাম ইনকাম করছে কিংবা কোন মানুষের টাকা মেরে খাচ্ছে??
কিন্তু সমাজে এরা কেন এত অবহেলিত??
মানুষ সবাই এক রকম হতে পারে না।সৃষ্টিকর্তা সবাইকে একই রকম ধন সম্পদ দিয়ে সৃষ্টি করেনি। সুতরাং সমাজে গরিব আছে বলেই ধনী মানুষের এত কদর রয়েছে। সুতরাং ধনী-গরীব সেটি বড় কোন কথা নয়।একজন মানুষ যদি হালাল পথে ইনকাম করে খায় তাহলে সেটা খারাপ কোন বিষয় নয়।
খেটে খাওয়ায় মানুষদের ছবিগুলি সত্যি অসাধারণ হয়েছে :) অনবদ্য
অসংখ্য ধন্যবাদ বস, সাপোর্ট করার জন্য। আশা করছি খেটে খাওয়া এবং মেহেনতি মানুষ গুলোর পাশে থেকে তাদের সাহায্য করতে পারব।
সকলের সহযোগিতা কাম্য করছি
@rme