এক কাপ চা
আসসালামু আলাইকুম
হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি সকলে সুস্থ সুন্দর এবং ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতালার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকুন সেই কামনা করি এবং সকলেই আমার জন্য দোয়া করবেন আমিও যেন সব সময় সুস্থ এবং ভালো থাকতে পারি। সকলের প্রতি অনেক অনেক শুভকামনা শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আমার আজকের নতুন ব্লগ।
আমি আজকে আপনাদের সামনে চা নিয়ে একটি গল্প বলার চেষ্টা করছি। আর আমার গল্পের নাম এক কাপ চা।
এক কাপ চা। ঢাকায় এসে যখন রাতে চা খেতে বসেছিলাম তখন হঠাৎ করেই শৈশবের স্মৃতি মনে পড়ে গিয়েছিল। তখনই চিন্তা করেছিলাম শৈশবের সেই স্মৃতি নিয়ে এবং আমার চা খাওয়া নিয়ে ছোট্ট একটি গল্প আপনাদের সামনে শেয়ার করব। অবশেষে শেয়ার করতে পেরে অনেক অনেক আনন্দিত।
সকলেই কমবেশি আমরা চা পছন্দ করি। পাতার মাধ্যমে বিশেষ প্রক্রিয়াজাত করণ হয় এবং প্যাকেটজাত করার মাধ্যমে তা আমাদের হাতে এসে পৌঁছে যায়। শুধু পাতা দিয়েই চা তৈরি করা যাই তা নয়। চা তৈরি করতে হলে আপনাকে গরম পানি দুধ এবং চিনির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে চা তৈরি করতে হবে।। চাইলে আপনি চায়ের সঙ্গে লং আদা কিংবা অন্যান্য প্রয়োজনে উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন এর টেস্ট এবং উপকারিতা বৃদ্ধি করার জন্য।
চা একটি চমৎকার পানীয়র নাম।চা নিয়ে শত শত গল্প রয়েছে আমার জীবনে। বিশেষ করে আমি অনেক আগে থেকেই চা খেতে অনেক ভালোবাসি এবং সে আমার পছন্দের একটি পানীয়।
বেশ ছোটবেলায় আমার এখনো মনে আছে। বড় চাচা কিংবা দাদাদের সঙ্গে বাজারে গিয়ে চা পান করার আনন্দ গুলো এখনো আমাকে মনে করিয়ে দেয় চা কতটা স্মৃতিচারণ একটি বিষয়। বিশেষ করে কনকনে শীতের ভিতরে সকালবেলা গায়ে হালকা একটা টি-শার্ট পরিধান করে বড় চাচ্চুর সঙ্গে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম।
চাচ্চু আমাকে বলতো বাড়িতে গিয়ে শীতের পোশাক পরিধান করে আয়। তবে আমি কখনোই যেতাম না। কেননা আমার বাড়িতে যাবার হলে যদি আমার চাচ্চু আমাকে না নিয়েই বাজারে চলে যায় এবং তাহলে তো আমার চা খাওয়া আর হবে না। সুতরাং শীতের ভিতরেই পাতলা একটা টি-শার্ট পরিধান করেই চাচ্চুর সঙ্গে বাজারে চলে যেতাম।
বাজারে গিয়ে ঠান্ডা পানি দিয়ে কুলি করতাম কেননা সকালের ব্রাশটুকু পর্যন্ত করা হতো না। যাইহোক পানি দিয়ে কুলি করার পরে বড় চাচা দুই টাকা দিয়ে একটি বিস্কিট কিনে দিত। কোন রকমে বিস্কুটটা খাবার পরেই চা খাওয়ার জন্য অনেক বায়না ধরতাম। তবে চাচা এ বিষয় নিয়ে কখনোই আমাদের প্রতি বিরক্ত বোধ করেনি।
চা এবং বিস্কুট দিয়ে সকালের নাস্তা করতাম এবং প্রায় সকাল দশটায় এবং এগারোটা বেজে যেত। কিন্তু বাড়িতে আসার কথা চিন্তা করতাম না। এদিকে পরিবারের সবাই চিন্তা করতো কখন বাড়িতে আসবো এবং সকালে নাস্তা করব।
তো, প্রায় অনেক বেলা করে যখন চা্চুর সঙ্গে আবার বাজারে থেকে বাড়িতে ফিরতাম তখন বাড়িতে এসে পরিবারের মানুষগুলোর বকা খেতে হতো। এদিকে চাচী আম্ম া চাচাকে অনেক বকাবকি করত আমাকে কেন বাজারে নিয়ে গেছে এ বিষয় নিয়ে।
যাইহোক বেশ ভালো করেই সকলের চা এর আনন্দ উপভোগ করতাম। এরপর আবারও বিকেল বেলা বায়না ধরতাম চা খেতে যাবার জন্য। তবে কখনোই আমার কথাই তখন আর সায় দিত না। কেননা এখন আমার চাচা বাজারে যাবে এবং অনেক রাত হতে পারে ফিরতে। সুতরাং আমি গেলে হয়তো আমার ঠান্ডা লাগতে পারে সে কারণে আমাকে বাজারে নিয়ে যেত না।
কিন্তু আমি তার পিছু পিছু চুপি চুপি চলে যেতাম বাজারে। বাজারে যখন চাচ্চু চা অর্ডার করত তখন চুপি চুপি তার কাছে গিয়ে বসে থাকতাম এবং আবারও চা খাওয়ার জন্য বায়না ধরতাম।
এ বিষয় নিয়ে চাচ্চু আমাকে অনেক ধমক দিত এবং বলতো এত বড় সাহস কোথায় থেকে হয়েছে যে একা একা বাজারে আসার। যাইহোক চা পান করার পরে আবারো একা একাই রাতের বেলা বাসায় চলে আসতাম।
Photography | original |
---|---|
Device | Samsung galaxy f22 |
Edit | Adobe Photoshop express |
Location | gazipur bangladesh |
পোস্ট তৈরিতে ব্যবহৃত কমিউনিটি
@amarbanglablog
শুধুমাত্র বাংলায় যারা ব্লগিং করেন তাদের জন্য এই ব্লগ।
সাপোর্ট করুন আমাদের @bangla.witness কে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
#Photography #steemexclusive #bangladesh #food #tea #story #creativewriting