আসসালামু আলাইকুম।

সবাইকে স্বাগতম #amarbanglablog এ আমার পক্ষ থেকে আমি @steem-for-future . 10% বেনিফিসারী হিসেবে @shy-fox কে যুক্ত করা হলো ।

আশা করি সকলেই ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের অনেক অনেক দোয়া এবং আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি। সকলেই সুস্থ সুন্দর এবং ভাল থাকুন সকলের প্রতি শুভকামনা এবং অফুরন্ত শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগিং। আমি আজকে আপনাদের সামনে জীবনের বেশ গুরুত্ব পূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে বলার জন্য উপস্থিত হয়ে গেলাম। আশা করছি সকলেই উপভোগ করবেন।।

হঠাৎ আজ কেন জানি মনটা অনেক অস্থির। সাজানো-গোছানো এই জীবনটা মাঝে মাঝে এমন পর্যায়ে এসে নৌকার মতো স্রোতে যেমন দিগ্বিদিক হারিয়ে ফেলে এমন পর্যায়ে চলে এসেছে। সবকিছুতেই যেন ঘোলা ঘোলা একটা ভাব। আমি যতই সুখের সন্ধান খুঁজে বেড়াই কিংবা যতই মনকে প্রশান্তি দিতে চাই সবকিছু তে যেনো কিসের একটা অপূর্ণতার গন্ধ থেকে যায়। যদিও আমি ফ্রেশ মনের মানুষ সব সময় ফ্রেশ থাকতে ভালোবাসি। তারপরেও সামান্য বিষয়ে জানো আমার মনটাকে খুব সহজেই ভেঙে ফেলে এবং আমি খুব সহজেই আমার অবস্থান থেকে নড়বড়ে হয়ে যাই। যেকোনো বিষয়ে যে আমি কঠোরভাবে মোকাবেলা করতে পারব সেখানে যেন কিসের একটা বড় বাধা চলে আসে। যতই চেষ্টা করি ঝড়ঝাপটা নিজেকে টিকিয়ে রাখব কিন্তু কখনো সেটি সম্ভব হয়ে ওঠেনা। অর্থাৎ সব জায়গাতেই সামান্যতম নড়বড় অবস্থা হলেই আমি যেন দিশেহারা হয়ে পড়ি।

আমি আমার প্রকৃতি এবং আমার জীবনের দৃষ্টিকোণ থেকে মনে করে পৃথিবীতে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকাটা অনেক সহজ। তবে মাঝে মাঝে আমার চিন্তার সাথে বাস্তব জীবনটা কোনভাবেই মিলাতে পারিনা। কেন জানি সবকিছুতেই নেগেটিভ চিন্তাধারা কাজ করে এবং আমার চিন্তাধারার সাথে বাস্তব কখনই মেলাতে পারিনা। আমি সবসময়ই বাস্তবকে নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই। যদিও স্বপ্ন ছাড়া জীবন চলে না তারপরেও আমি স্বপ্ন দেখি না ঘুমিয়ে। আমি বিশ্বাস করি ঘুম এর ভেতরে আমরা যেটা দেখি এটা আমাদের কল্পনা। ঘুম ভাঙলেই যেমন আমাদের কল্পনা শেষ হয়ে যায় ঠিক তেমনি আমরা যদি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কল্পনা করি তবে সেটি সত্যিই অনেক দুর্বিষহ। পর্থা সেটা কখনো স্বপ্ন হতে পারে। তাই আমি আমার জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য সবসময় বাস্তবমুখী চিন্তা ধারা করে থাকি এবং বাস্তব কে বিশ্বাস করি। তবে এই বাস্তব কে বিশ্বাস করে জীবন চালানোটা আমার মনে হচ্ছে যতটা সহজ মনে করেছিলাম তার থেকে অনেক কঠিন।।

আমার দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে আমি যতই সোজা এবং বাস্তব জীবন নিয়ে চলতে চাই আসলে বাস্তবতা অনেক কঠিন। আমি এমন একটা জীবন চাই যেখানে থাকবে নির্ভরযোগ্যতা শান্তি এবং পারস্পরিক ভালোবাসা এবং সহানুভূতি। মানুষ হয়ে মানুষের প্রতি থাকবে না কোন অফিসার কিংবা অবহেলা। মানুষের প্রতি মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকবে সব থেকে বেশি। সবার প্রতি আন্তরিকতা থাকবে হৃদয়ের গভীর থেকে যা কখনোই কোনো টুকরো আঘাতে ভেঙ্গে যাবে না। আসলে মানুষের প্রতি মানুষের সহানুভূতি এবং ভালোবাসা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক যদি মধুর না হয় তবে সেখান থেকে সত্যিই ভাল ভাবে বেঁচে থাকাটা সম্ভব না। বিশেষ করে আপনার মুখের সামনে আমি আপনাকে যতই বন্ধু কিংবা ভাই কিংবা যে কোন আত্মীয় সম্বোধন করি ভেতরে যদি আপনার প্রতি আমার এত টুকু ভালোবাসা কিংবা শ্রদ্ধা না থাকে আসলে সেই জায়গাতে টিকে থাকাটা সত্যিই অনেক কঠিন হয়ে যায়। যদিও বাহিরে বাহিরে আপনাকে অনেক ভালোবাসি কিংবা আপনাকে অনেক সম্মান করি তবে সেটি যথার্থ নয়। অর্থাৎ অন্তর থেকে আপনার প্রতি আমার ভালবাসা কতটুকু এটি হল বাস্তব এবং নিতান্তই খাঁটি প্রেম।। সুতরাং সব সময় আমাদের অন্তর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং জীবনকে সুন্দর এবং সুখময় করতে হলে যতটুকু করছি অবশ্যই আমাদের অন্তর দিয়ে করতে হবে।।

বাহিরে আপনার জন্য অফুরন্ত ভালবাসা এবং ভেতরে আপনার প্রতি আমার যদি অফুরন্ত ঘৃণা হিংসা কিংবা ক্রোধ থাকে আসলে এই বিষয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ ভালোবাসাটা না থাকাই উচিত। তবে মানুষের জীবনে চলার পথে যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে আমি মনে করি সেটি সরাসরি সংশোধন করানোর জন্য বলাটাই উত্তম। অর্থাৎ আপনি যদি কোনো ভুল করে থাকেন কিংবা আপনার বন্ধু যদি কোন ভুল করে, তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই তার সমালোচনা না করে তাকে ভুল ধরিয়ে দিলে হয়তো সে কখনোই এই ভুল আর করবে না। অর্থাৎ একদিকে যেমন আপনার বন্ধুত্বের সম্পর্ক অটুট থাকল এবং আপনি একজন পরিছন্নতা বন্ধু এবং পরিষ্কার মনের বন্ধু র সম্মান রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকলেন।

তবে আমরা যদি সমাজে এবং সুন্দরভাবে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে টিকে থাকতে চাই তবে আমাদের অবশ্যই উচিত হবে একে অপরের প্রতি সহানুভূতি ভালোবাসা এবং সম্মান প্রদর্শন করা।

মানুষ মাত্রই ভুল হতে পারে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই তাকে সেই ভুল সম্পর্কে অবগত করা। অযথা আপনি যদি সেই ভুলের কারণে তার সঙ্গ ত্যাগ করেন কিংবা সেই ভুলের কারণে মানুষের কাছে সমালোচনার সম্মুখীন করেন আপনার সেই প্রিয় মানুষটাকে অবশ্যই এটি খুবই নিন্দনীয় একটি কাজ। অর্থাৎ যেকোন কাজে আমরা যদি সহানুভূতিশীল এবং নিজের দিক থেকে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ কিংবা নিজের দিক থেকে বিষয়টি নিতে পারি তাহলে হয়তো বিষয়টি আরও সহজ হয়ে যাবে।

আর এভাবে যদি মানুষের প্রতি সহানুভূতি এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমরা সমাজে এবং এই বহির্বিশ্বে টিকে থাকতে চাই কিংবা টিকে থাকতে পারি তবে আমাদের বেঁচে থাকার সার্থকতা হাসিল হবে। সুন্দরমন তৈরি করতে হবে এবং আমাদের একে অপরের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে চলতে পারলেই আমরা সঠিক পথ প্রদর্শন করতে পারব। হয়তো আমার সামান্য ভুলের কারণে আমার বন্ধু কিংবা আমার ভাই সঠিক পথ থেকে বিপথগামী হয়ে যেতে পারে। সুতরাং সর্বক্ষেত্রে আমাদের একে অপরের ভুল গুলো মার্জনার দৃষ্টিতে দেখা উচিত এবং সে যেন পথভ্রষ্ট না হয়ে যায় সেদিকে কঠোরভাবে নজর রাখা জরুরি।

সুতরাং আমরা তখনই সঠিক পথে চলতে সক্ষম হব যখন আমাদের অন্তর পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন করতে পারব। আমরা মানুষকে বাহিরে যতটুকু সম্মান ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা জানাবে আমাদের অন্তর থেকে ততটুকু ভালবাসা প্রয়োগ করতে হবে। আপনি যদি মুখে ভালোবাসা এবং অন্তরে বিষ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চান তবে সেখান থেকে কখনোই শান্তি পাওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ সঠিক পথে চলতে হলে আমাদের একটি বিষয়ে কঠোর ভাবে নজর রাখতে হবে আর তা হলো মানুষের ভুলগুলোকে ক্ষমা করে দেওয়া। কেউ যদি অন্যায় কোন কাজ করে থাকে তাকে সেই অন্যায় সম্পর্কে অবগত করা এবং অযথাই মানুষকে নিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন না করা। সর্বপ্রথম নিজের আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে পারলে আমি মনে করি আমাদের চলার পথ আরো সুন্দর সুগম এবং সু প্রশস্ত হবে এবং আমরা শান্তিময় জীবন যাপন করতে সক্ষম হব। আত্মশুদ্ধি ও আমাদের প্রধান চাওয়া।

ধন্যবাদ সবাইকে।