গফুর মিয়ার অপূর্ন স্বপ্ন (শেষ পর্ব)
প্রচন্ড গরমে দরদর করে ঘামতে ঘামতে গফুর মিয়া ধান কাটছিলো। আর মনে মনে চাইছিল আকাশে যদি একটু মেঘ আসতো। এর কিছুক্ষণের ভেতরে হঠাৎ করে দমকা বাতাসে চারপাশ ঠান্ডা হয়ে যায়। দেখতে দেখতে পুরো আকাশটা মেঘে ঢেকে যায়। সেই সাথে শুরু হয়ে যায় ঝড়ো বাতাস আর শুরু হয় আকাশে বিদ্যুৎ চমক। আকাশের অবস্থা দেখে গফুর মিয়া কিছুটা ভয় পেয়ে যায়। সে চিন্তা করে আজকের মত ধান কাটা বাদ দিয়ে সে বাড়ি ফিরে যাবে কিনা। পরবর্তীতে যখনই তার মনে পড়ে আর মাত্র একটা দিন কষ্ট করলেই তার সবধান কাটা হয়ে যাবে। তখন সে আবার ধান কাটায় মনোযোগ দেয়।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
কিন্তু আকাশে প্রচন্ড শব্দে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিলো। গফুর মিয়া মনে মনে ভয় পেতে থাকে। বজ্রপাতে তার আশেপাশের বেশ কয়েকজন কৃষক গত বছর মারা গিয়েছে। তবে এই ভয় ও গফুর মিয়াকে দমাতে পারে না। সে তার মতো করে ধান কাটতে থাকে। এদিকে আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে গফুর মিয়ার স্ত্রী তার বড় ছেলেকে পাঠিয়েছে গফুর মিয়াকে ডেকে বাড়িতে নেয়ার জন্য। গফুর মিয়ার ছেলে সেই বট গাছ তলায় এসে দাঁড়িয়ে গেছে তার বাবা তখনও ধান কাটছে। আর এদিকে প্রচন্ড শব্দে দূরে কোথাও বজ্রপাত হচ্ছে।
ছেলেটা যখন তার বাবারকে ডাকার জন্য সামনে আগাবে ঠিক তখনই সে চোখের সামনে দেখতে পেলো তার বাবার উপর বজ্রপাত হোলো। তার বাবা সাথে সাথে মাটিতে পড়ে গেলো। বজ্রপাতের প্রচন্ড শব্দে গফুর মিয়ার ছেলে ও অজ্ঞান হয়ে যায়। যখন তার জ্ঞান ফেরে তখন সে দেখে সে বাড়িতে শুয়ে আছে। আর তার বাড়িতে প্রচন্ড কান্নাকাটি চলছে। জ্ঞান ফিরতেই সে উঠে ঘরের বাইরে এসে দেখে তার বাবার লাশ বাড়ির উঠানে পড়ে রয়েছে। (সমাপ্তি)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।