চেন্নাই সুপার কিংস বনাম কলকাতার নাইট রাইডার্স ম্যাচের রিভিউ।
স্ক্রিনশট নেয়া হয়েছে Cricket Fast চ্যানেল থেকে
জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানেরা শুরু থেকেই কলকাতার বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন। রাচীন রবীন্দ্র মাত্র ৮ বলে ১৫ রান করে আউট হয়ে যান। পরবর্তীতে চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড ডারেল মিচেলের সাথে ৭০ রানের একটি পার্টনারশিপ উপহার দেন। অপর প্রান্ত থেকে ড্যারেল মিচেল দলীয় ৯৭ রানে আউট হয়ে গেলেও চেন্নাই এর ক্যাপ্টেন রুতুরাজ গাইকোয়াড শিবম দুবেকে সাথে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান। অবশ্য একেবারে শেষের দিকে এসে শিবম দুবে তার উইকেট হারিয়ে ফেলেন। বাকি কাজটুকু শেষ করতে চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানদের আর বেশি সময় লাগেনি। শেষ পর্যন্ত চেন্নাই ম্যাচটি ৭ উইকেটে জিতে নেয়।
দুর্দান্ত বোলিং এর জন্য রবীন্দ্র জাদেজা ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন। তিনি চার ওভারে ১৮ রান খরচায় তিন উইকেট নেন। সেই সাথে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান ও দারুন বোলিং করেছেন। মুস্তাফিজ চার ওভারে ২২ রান দিয়ে দুটি উইকেট শিকার করেন। এই দুটি উইকেট শিকারের ফলে মুস্তাফিজুর রহমান তার পারপেল ক্যাপটি আবার ফিরে পেলেন। এখন পর্যন্ত মোস্তাফিজুর রহমান এই টুর্নামেন্টের সেরা উইকেট শিকারির তালিকায় এক নম্বরে রয়েছেন। এই ম্যাচটি মোটামুটি একপেশে হয়েছে। তেমন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই ম্যাচে চোখে পড়েনি। যেই ভেনুতে খেলা হয়েছে সেটা চেন্নাইয়ের হোম ভেনু যার ফলে চেন্নাই কিছুটা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। কারণ এই ভেন্যুর সাথে চেন্নাইয়ের প্লেয়াররা খুব ভালোভাবে পরিচিত। অপরদিকে কলকাতার প্লেয়ারদের কাছে ভেন্যুটা ছিল একেবারেই অপরিচিত। যার ফলে তাদের সেখানে মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়েছে। আর এই সুজোগটা চেন্নাই সুপার কিংস দারুন ভাবে কাজে লাগিয়েছে। এই জয়ের ফলে চেন্নাই আবার জয়ের ধারায় ফিরলো।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
অনেক সুন্দর একটি খেলার রিভিউ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার রিভিউ পড়ে। কারণ এই খেলাটা আমার দেখা ছিল না,আপনার মাধ্যমে বেশ জানতে পারলাম।