দুই বন্ধুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ (চতুর্থ পর্ব)
তখন তিনি সাকিবকে জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার? কি করতে এসেছেন এখানে? সাকিব তখন বলল আমি এখানে আমাদের জমির মিউটেশন করাতে এসেছি। তখন সেই লোকটা বলল মিউটেশন করাতে হলে অনেকগুলো কাগজপত্র থাকতে হয়। সব কাগজপত্র কি এনেছেন? তখন সাকিব তার সাথে থাকা কাগজপত্র দেখালে লোকটা বলল এখানে আরো কাগজপত্র লাগবে। সেগুলো নিয়ে আসেন তারপর মিউটেশন করতে পারবেন।
সাকিব তখন তাকে জানালো আর তো কোনো কাগজপত্র তাদের কাছে নেই। তখন সেই লোকটা বললো তাহলে আমার কিছু করার নেই। সরকারি নিয়ম যেটা আমি সেটাই আপনাকে বললাম। সাকিব বুঝতে পারলো এখানে ঝামেলা আছে। টাকা ছাড়া এখান থেকে কাজ করা যাবেনা। সে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিল পিওনের সাথে আবার কথা বলে কিছু কম দিয়ে কাজটা করা যায় কিনা সে চেষ্টা করে দেখবে। তারপর সেই অফিস থেকে বের হয়ে সাকিব তার বন্ধুকে নিয়ে চলে গেলো পাসপোর্ট অফিসে।
পাসপোর্ট অফিসের সামনে যেতেই সেখানে কয়েকজন দালাল সাকিবকে ঘিরে ধরলো। তারা সাকিবকে বলতে লাগলো কি ব্যাপার পাসপোর্ট করবেন নাকি? সাকিব বলল হ্যাঁ পাসপোর্ট করতেই এখানে এসেছি। তখন সেই দালালেরা বলতে লাগলো আমাদেরকে টাকা দেন আর কিছু আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে যান। এক মাসের ভেতর পাসপোর্ট আপনার হাতে পৌঁছে দেবো। আপনাকে কোনো কষ্ট করতে হবে না। তখন সাকিব জিজ্ঞেস করল আপনার আমার কাজ আপনারা কেনো করে দেবেন? (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ভূমি অফিসে গিয়ে অল্প টাকা দিয়ে মিউটেশন করতে চাইলে তারা এমনই করে থাকে। এই কাগজ সেই কাগজ চেয়ে মাথা একেবারে খারাপ করে দেয়। তাছাড়া প্রতিটি পাসপোর্ট অফিস তো দালালেরা দখল করে রেখেছে। তাদের মাধ্যমে জমা না দিলে পাসপোর্ট হয় ই না। তাদের সাথে পাসপোর্ট অফিসের প্রতিটি কর্মকর্তার হাত থাকে। যাইহোক দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।