দুই বন্ধুর দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয় লাভ (প্রথম পর্ব)
কলিং বেলের শব্দ শুনে সাকিবের মা দরজা খুলে দেখে সাকিব দরজায় দাঁড়িয়ে আছে। দরজা খুলতেই সাকিব মাকে সরিয়ে ঘরে ঢুকে গেলো। ঘরে ঢুকেই ব্যাগটা কাঁধ থেকে নামিয়ে দৌড়ে ড্রয়িং রুমে গিয়ে টেলিভিশন ছেড়ে বসলো। সাকিবের মা সাকিবকে যে জিজ্ঞেস করলো কিরে হঠাৎ করে এই সময়ে বাসায় ফিরে আসলি যে? সাকিব তাকে বলল আজকে বাংলাদেশ বনাম শ্রীলংকার ক্রিকেট ম্যাচ রয়েছে। তখন সাকিবের মা বুঝতে পারলো ছেলের তাড়াতাড়ি বাড়িতে আসার কারণ।
অন্যান্য দিন তো দুপুর গড়িয়ে যায় তার বাড়ি ফিরতে ফিরতে। সাকিবের মা জানে তার ছেলে ক্রিকেট পাগল। বাংলাদেশের খেলা থাকলে তার ছেলেকে টেলিভিশনের সামনে থেকে সহজে উঠানো যায় না। তিনি ছেলের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন খুধা লেগেছে নাকি? কিছু খাবি? ছেলে বলল হ্যাঁ কিছুটা ক্ষুদা লেগেছে। হালকা কিছু নাস্তা দাও। কিছুক্ষণ পরেই সাকিবের মা নাস্তা নিয়ে সাকিবের সামনে রাখতে রাখতে বললো। তোকে যে বলেছিলাম আমাদের জমিটার মিউটেশন করতে হবে।
কতদিন হয়ে গেলো তোকে এই বিষয় নিয়ে বলছি। তোর কাছে এই সমস্ত কাজের কোনো গুরুত্ব নেই? সাকিব টেলিভিশনে থেকে চোখ না সরিয়েই বলল ঠিক আছে কালকে তোমার মিউটেশনের কাজ করে দেবো। তারপর সাকিবের মা জিজ্ঞেস করলেন তোর পাসপোর্ট করার কতদূর? সাকিব বললো পাসপোর্ট অফিসে এখনো যেতে পারিনি। সাকিবের মা তখন তাকে কিছুটা কড়া ভাষায় তিরস্কার করলো।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
সাকিব তো দেখছি আমার মতোই ক্রিকেট খেলার পাগল। আর বাংলাদেশের ম্যাচ কি মিস করা যায় নাকি। তবে প্রয়োজনীয় কাজগুলোও সঠিক সময়ে করা উচিত। কারণ জমির মিউটেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। যাইহোক গল্পটা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়।