ছেলেকে নিয়ে পার্কে ঘোরাঘুরির কিছুটা মুহূর্ত || ১০% পে-আউট 'লাজুক-খ্যাক' এর জন্য
♥️ হ্যালো বন্ধুরা ♥️ |
---|
"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার ছেলেকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কিছুটা সময় শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমার ছেলে খুব বায়না ধরছে তার আপুর স্কুলে যাবে। সেখানে যাওয়ার কারণ হচ্ছে আমার মেয়ের স্কুলের পাশে খুব সুন্দর সুন্দর ছোট ছোট কিছু পার্ক আছে। ওর আপুর স্কুলে যেতে পারলে পার্কেও যেতে পারবে এজন্য। তারপর আমিও বুঝতে পেরে তাকে একদিন নিয়ে গেলাম। মেয়েকে স্কুলে দিয়ে আমি আর আমার ছেলে পার্কে গেলাম।
আর আমার ছেলে তো পার্কে এসে খুবই খুশি। অবশ্য পার্কে কোন মানুষ ছিল না শুধু আমরা দুজনে কারন এই পার্কটা হচ্ছে ধান গবেষণার ভিতর। জন্য এ পার্কে তেমন কোন মানুষজন নেই। আমরা তো সকালবেলা গিয়েছি তখন তো অফিস টাইমা আর স্কুল টাইম বিকেলবেলা হলে আবার এ পার্ক গুলোতে অনেক বাচ্চারা খেলা করে। আমার ছেলে তো একা পার্কটা পেয়ে খুব আনন্দের ছিল। সে পার্কে অনেক রকম দোলনা, স্লিপার আরো অনেক ধরনের খেলার জিনিস ছিল। প্রথমে ও স্লিপারে উঠতে খুব ভয় পাচ্ছিল। আমি বললাম ভয়ের কিছু নেই আমি আছি তুমি ওঠো তারপর সাহস করে প্রথমে ঘোরানো একটি স্লিপার ওঠে খুব মজা পেয়েছে।
এরপর তো শুধু বারবার উঠছে আর স্লিপ খাচ্ছে। স্লিপার গুলোতে উঠে ও খুব মজা পেয়েছে।
এরপর ও আরেকটি সোজা স্লিপারে চলে গেল। সেই স্লিপারটা অবশ্য অনেক বড় ছিল। প্রথমবার উঠে বুঝতে পারেনি কন্ট্রোল করতে পারিনি বলে পড়ে গিয়েছে। তারপর আমি বললাম চলে এবার চলে যাই কিন্তু না ও যাবে না আরো কিছুক্ষণ থাকবে। অবশ্য তেমন একটা ব্যথা পাইনি আসলে বাচ্চারা তো এসব খেলা না পেলে সেখান থেকে আসতে চায়না।
তারপর ও দৌড়ে সেখানে দুটো ঝুলানো লোহার রিং ছিল। ওই রিংগুলো ধরে অনেকক্ষণ ঝুলল। ওকে দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব আনন্দ পাচ্ছে। ওর আনন্দ দেখে আমার খুব ভালো লাগছে। আসলে বাচ্চাদেরকে মাঝে মাঝে এরকম সময় দিলে কোথাও ঘুরতে নিয়ে গেলে বাচ্চাদের কাছে খুব ভালো লাগে।
আমার ছেলে আমাকে ডেকে বলছে বলছে আম্মু দেখো আমি ঝুলে লম্বা হয়ে যাচ্ছি। আসলে ও খুব আনন্দ পাচ্ছে এই পার্কে এসে।
তারপর ওখান থেকে আরেকটি ছোট স্লিপারে চলে গেল। আমাকে বলল এটা তো ছোট এখান থেকে আর পড়বো না একটু উঠে আমি তারপর আমি বললাম ঠিক আছে বেশিক্ষণ না অল্প কিছুক্ষণ আর সাবধানে স্লিপ খাবা। এভাবে সেদিন আমার ছেলেকে অনেকক্ষণ সময় দিলাম পার্কে। আসলে ঘরে বন্দি থাকতে কতক্ষণ বাচ্চাদের ভালো লাগে। শহরের জীবন মানে বন্দী জীবন। এজন্য আমাদের সবারই উচিত মাঝে মাঝে বাচ্চাদের ভালো ভালো জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া।
এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। ভুল মানুষ মাত্রই হয় যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই সুস্থ এবং ভালো থাকবেন।
ফটোগ্রাফার : @sshifa
ডিভাইস নেম:- গ্যালাক্সি A10s
গুগল ম্যাপ লোকেশন : XCR5+8V Gazipur
♥️ আমার পোস্টটি দেখা এবং পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ♥️ |
---|
আপু অনেক সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে বাচ্চাদের মাঝে মধ্যে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া উচিত। তাদের সাথে সময় কাটানো অনেক প্রয়োজন। পার্কটি অনেক ফাঁকা ছিল দেখে আপনার ছেলে সুন্দর ভাবে মজা করতে পেরেছে।স্কুলের পাশে এই ধরনের পার্ক থাকলে ভালো হয়।সত্যিই আপনার ছেলেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেই অনেক ইনজয় করেছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অফিস টাইম এবং স্কুল টাইম হওয়ার কারণে পার্ক বেশ ফাঁকা ছিল। যাই হোক আমাদের সকলের প্রিয় বাবুর আপুর স্কুলেও যাওয়া হয়েছে সাথে পার্কেও অনেক সুন্দর সময় কাটিয়েছে। এছাড়া বাচ্চাদেরকে মাঝে মাঝে যদি বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে তাদের মানসিক বিকাশ ঘটে এবং অনেক আনন্দ পায়। বাবুর জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপু।
এভাবে বাচ্চাদেরকে কিছু সময় দিয়ে তাদেরকে যেকোনো জায়গায় ঘুরাতে নিয়ে যাওয়া এবং কি তাদের সাথে সময় কাটানোর খুবই প্রয়োজন। কারণ তারাও বিভিন্ন জায়গায় যেতে চাই এবং তাদের পরিবারের সাথে সময় কাটাতে চাই। সত্যিই আপনার ছেলেকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে সেই অনেক মজা করেছে। আমাদের মাঝে আপনার কাটানো এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
দেখে বোঝা যাচ্ছে পার্কে গিয়ে অনেক খুশি। একসাথে দুই কাজ হয়ে গেলো স্কুল দেখা ও পার্কে ঘুরা। দেখে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এতো সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ পার্ক টা দেখে তো মনে হচ্ছে ভীষণ সুন্দর।একদম সবুজ ঘাসে ঘেরা।আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলোর প্রশংসা না করে পারলাম না কারণ অনেক বেশি স্বচ্ছ এবং সুন্দর এসেছে। স্কুলের পাশে এই ধরনের পার্ক তৈরি করাতে ভালই হয়েছে। অনেক অভিভাবকরাই তাদের বাচ্চাদের নিয়ে সময় কাটাতে পারবে। আপনার ছেলের আনন্দদায়ক মুহূর্ত ফটোগ্রাফি গুলো দেখে সত্যিই মন ভরে গেল। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাহ আপু পার্ক টি ফাঁকা দেখে বেশ ভালো লাগছে। বাচ্চারা সাধারণত পার্কে গেলে বেশ হাসিখুশিতে থাকে। আপনার ছেলেকে দেখে কিন্তু সে জিনিসটি লক্ষ্য করতে পেরেছি। বোঝাই যাচ্ছে আপনার ছেলে মহানন্দে আছে। মাঝে মাঝে ছেলে মেয়েদেরকে নিয়ে এভাবে ঘুরতে যাওয়া উচিত। আপনি কিন্তু এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন মেয়েকেও স্কুলে দিয়ে আসলেন ছেলেকে নিয়ে পার্কে গেলেন😁।
বাচ্চাদেরকে একটু সময় দিয়ে ঘুরাঘুরি এবং পার্কে নিয়ে গেলে এদের মনটা ভালো থাকে। আপনি যেই টাইমে পার্কে গিয়েছেন স্কুল এবং অফিস টাইম থাকায় লোকজন ছিল না। একদম নিরিবিলি পরিবেশে আপনার ছেলেকে নিয়ে ঘুরে আসলেন। খুব সুন্দর করে আপনি বর্ণনা দিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
আসলে বাচ্চারা এই ধরনের পার্কে গিয়ে ঘুরতে বেশি পছন্দ করে। এজন্য আপনার ছেলে আপুর স্কুলে যাওয়ার কারণ ও পার্কে ঘুরতে পারবে। মনে হচ্ছে ও ভীষণ ইনজয় করেছে। যদিও প্রথমে স্লিপারে উঠতে ভয় পাচ্ছিল। বাচ্চাদেরকে এই ধরনের সময় দিলে ওরা বেশ আনন্দে থাকে। অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন
বাহ আপনি আর আপনার ছেলে শুধু পার্কে। আর আপনার ছেলে দেখছি বিন্দাস ভাবে ঘুরছে আর মজা করছে। বেশ ভালো একটি আইডিয়া মেয়েকে স্কুলেও দেয়া হল আবার ঘুরাও হলো। আর হ্যাঁ আপু বাচ্চাদের সাথে এভাবে মাঝে মাঝে করবেন কারণ শহরের বাচ্চাদের বন্দি জীবনের কারণে খোলা ও মুক্ত পরিবেশে প্রতি আকাঙ্ক্ষা একটু বেশি থাকে।
আপু আপনি আপনার ছেলেকে নিয়ে পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপু আপনার ছেলে দেখতে অনেক কিউট। আপনার ছেলেকে দেখে মনে হচ্ছে অনেক আনন্দ করেছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পার্কে যাওয়ার মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।