আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২১ || আমার অংশগ্রহণ: পটলের কোপ্তার মজাদার রেসিপি
১০% পে-আউট 'লাজুক খ্যাক'এর জন্য
💞 হ্যালো বন্ধুরা 💞
"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই খুব ভালোই আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। আজকে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির প্রতিযোগিতা - ২১ শেয়ার করো তোমার সেরা ইউনিক পটলের রেসিপি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহন করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। আর আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির দাদা সহ সকল এডমিন মডারেটরদেরকে এবং @hafizullah ভাইয়া কে ধন্যবাদ জানাতে চাই এতো সুন্দর একটি কনটেস্টের আয়োজন করার জন্য।
সত্যি খুব সুন্দর একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। আর এই প্রতিযোগিতায় আজকে আমি খুব সুন্দর একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম।
আজকে আমি পটলের কোপ্তার মজাদার রেসিপি তৈরীর মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। এই রেসিপিটি খেতে খুবই সুস্বাদু। আমার কাছে খুবই ভালো লাগেছে। পটলের কোপ্তা যে খেতে যে এত মজা হবে তা বুঝতে পারিনি খেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এই রেসিপিটি ভাত অথবা পোলাও দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগবে। আবার বিকেলের নাস্তা হিসেবেও খেতে ভালো লাগবে। রেসিপিটি খেতে সত্যিই খুবই সুস্বাদু এবং মজাদার। আপনার আমার রেসিপিটি দেখে ট্রাই করে দেখতে পারেন খেতে অসম্ভব ভালো লাগবে। তাই আজকে আপনাদের সাথে এই পটলের কোপ্তার মজাদার রেসিপি তৈরীর প্রত্যেকটি ধাপ শেয়ার করছি। আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরন সমুহ: |
---|
- পটল
- আলু
- বেসন
- পেঁয়াজ
- কাঁচা মরিচ
- ধনে পাতা
- আদা বাটা
- রসুন বাটা
- গরম মসলা গুড়া
- লবণ
- সয়াবিন তেল
ধাপ - ১
- প্রথমে আমি পটলগুলোকে ভালো করে ধুয়ে গ্লেটার দিয়ে গ্লেট করে নিলাম ।
ধাপ - ২
- গ্লেট করা পটল গুলোর মধ্যে সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম।
ধাপ - ৩
- কিছুক্ষণ পর আমি হাত দিয়ে চেপে চেপে পটল গুলোর পানি বের করে নিলাম।
ধাপ - ৪
- এরপরে এগুলোর মধ্যে ছোট দুটো সিদ্ধ আলু মোতে দিলাম।
ধাপ - ৫
- এরপর আমি এগুলোর মধ্যে পরিমাণ মতো পেঁয়াজ কুচি ও কাঁচা মরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৬
- এরপর আমি এগুলোর মধ্যে ধনে পাতা এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৭
- এরপর আমি এগুলোর মধ্যে সামান্য পরিমাণ আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৮
- এরপর আমি এগুলোর মধ্যে হাফ চামচ গরম মসলা গুড়া এবং দুই চামচ বেসন দিয়ে দিলাম।
ধাপ - ৯
- এরপর এগুলোকে আমি ভালোকরে মেখে নিলাম।।
ধাপ - ১০
- এরপর এগুলোকে আমি হাতের মধ্যে নিয়ে গোল গোল করে কোপ্তা তৈরি করে নিলাম।
ধাপ - ১১
- এরপর আমি চুলার মধ্যে একটি ফ্রাইপেন বসিয়ে দিলাম। ফ্রাইপেন এর মধ্যে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে তেলটা গরম হওয়ার জন্য কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম।
ধাপ - ১২
- এরপর আমি গরম তেলের মধ্যে আস্তে আস্তে করে সবগুলো কোপ্তা দিয়ে দিলাম।
ধাপ-১৩
- সবগুলো কোপ্তা ভালো করে উল্টোপাল্টে ভেজে নিলাম।
ধাপ-১৪
- এরপর লাল লাল হয়ে গেলে কোপ্তাগুলো একটি ছাঁকনির সাহায্যে উঠিয়ে তেল ঝরিয়ে নিলাম। এভাবেই তৈরি হয়ে গেল পটলের কোপ্তার মজাদার রেসিপি।
শেষ ধাপ
- তারপর একটি প্লেটে সুন্দর করে পটলের কোপ্তা গুলো নিয়ে চারপাশে কাঁচামরিচ দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করলাম।
আমি আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
শুভেচ্ছান্তে:@sshifa |
---|
💞 আমার পোস্টটি দেখা এবং পড়ার জন্য সবাইকে অনেক ধন্যবাদ 💞 |
---|
প্রথমেই সব থেকে ভালো লাগলো আপনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। পটলের কোপ্তার আমি আগে কখনো খাইনি আমার কাছে একদমই নতুন লেগেছে আপনি খুবই সুন্দর ভাবে তৈরি করে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া একদিন ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন খেতে খুবই ভালো লাগবে সত্যি খুব মজাদার ছিল পটলের কোপ্তাটি। এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
পটলের খুবই মজার একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটি তো আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এভাবে পটল দিয়ে কোপ্তা তৈরি করে খেলে যে খুব মজার হবে আপনার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শুভকামনা রইল।
আপনি খুব সুন্দর করে মন্তব্যটি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর উৎসাহ মূলক মন্তব্যটি করার জন্য।
প্রথমে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।পটলের কোপ্তার মজাদার রেসিপি আপনি অনেক সুন্দরভাবে তৈরি করেছেন ।আসলেই রেসিপিটা দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। এমন ধরনের রেসিপি খেতে অনেক ভালো লাগে।
সত্যিই আপু রেসিপিটা খুবই সুস্বাদু হয়েছে আপনার সুন্দর মন্তব্য দেখে খুব ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যটি করার জন্য।
আপু বেশ সুন্দর ও ইউনিক একটি রেসিপি দেখলাম। পটলের কোপ্তা কখনো খায়নি। আজ আপনার পোস্টের মাধ্যমে শিখতে পারলাম। এর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন আপু 🙂।
আপু একদিন ট্রাই করে দেখবেন খেতে সত্যি কিন্তু খুব মজাদার। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য আপনার জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।
পটলের কোপ্তার রেসিপি তৈরি করে আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সত্যি আপনার রেসিপি দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। এরই মাধ্যমে আমাদের চলমান কনটেস্টে আপনি অংশগ্রহণ করেছেন। এত সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি গঠনমূলক মন্তব্যের মাধ্যমে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনার জন্য রইল অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
প্রথমেই আপনাকে জানাই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য শুভেচ্ছা। আপনার পটলের কোপ্তার মজাদার রেসিপি দারুণ ছিল। দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। সকাল সকাল এমন রেসিপি দেখলে কার না জিভে জল আসে হাঃহাঃ।আপু এভাবে একদিন বাসায় ট্রাই করব।ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই ভাইয়া একদিন ট্রাই করে দেখবেন খেতে কিন্তু সত্যিই খুব মজাদার ছিল। গরম ভাত দিয়ে খেতে খুবই ভালো লেগেছিল আমার কাছে। সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আপনাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য।পটলের কোপ্তার মজাদার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসছে আমার। সকালে উঠেই প্রথম আপনার রেসিপিটা আমার চোখে বাঁধলো । অসাধারণ ছিল রেসিপিটা র ধাপগুলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
রেসিপিটা কিন্তু খেতে খুবই দারুণ ছিল ভাইয়া একদিন বাসায় ট্রাই করে খেয়ে দেখবে খেতে খুব ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া এত সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহিত করার জন্য।
আপু আপনার পটলের কোপ্তার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে যে ভীষণ মজাদার হয়েছে। একদম ইউনিক একটি রেসিপি শিখে নিলাম আপু। কারণ পটল দিয়ে এই ধরনের কোপ্তা বানানো যাবে এটা আমি এই প্রথম জানলাম। দেখেই বোঝা যাচ্ছে ভীষণ মজাদার হয়েছে। আশা করছি আপনি প্রতিযোগিতায় ভালো একটি স্থানের অধিকারী হবেন। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
আপু বাসায় একদিন ট্রাই করে দেখবেন অবশ্যই খেতে খুব ভালো লাগবে গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পটলের বিভিন্ন ধরনের রেসিপির সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। আপনার রেসিপিটি খুবই লোভনীয় লাগছে ।আসলে এভাবে পটলের কোপ্তা কখনো খাওয়া হয়নি ।।ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভাইয়া খেতে খুব ভালো লাগবে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্যের মাধ্যমে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপনার রেসিপি টা অনেক সুন্দর হয়েছে আর কালার টি দেখে মনে হচ্ছে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু ছিল।পটল দিয়ে যে এত সুন্দর রেসিপি তৈরি করা যায় এটা আপনার পোষ্ট না দেখলে জানতে পারতাম না। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
আপু সত্যি বলতে পটলের এই কোপ্তা রেসিপিটি খেতে খুবই ভালো লেগেছিল। আপনি একদিন বাসায় ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন খেতে অবশ্যই ভালো লাগবে। চমৎকার একটি মন্তব্যের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।