"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? নিশ্চয় আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই খুব ভালো এবং সুস্থ আছেন। আল্লাহর রহমতে আমিও খুব ভালোই আছি। আপনারা তো জানেন রান্না করতে খুব পছন্দ করি। তাই আমার বাংলা ব্লগে আজকে আমি আপনাদের সাথে আরো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হলাম।
আমার আজকের রেসিপি হচ্ছে বুন্দিয়া বানানোর মজাদার রেসিপি। এই রেসিপিটি খুব সহজে তৈরি করা যায়। এই বন্দিয়া গুলো ইফতারিতে খেতে খুবই ভালো লাগে। বুন্দিয়া ছাড়া তো ইফতারি খেতে ভালই লাগে না। তাই জন্য রোজার মাস আসলে আমি ঘরে সব কিছু তৈরি করি আর সেই সাথে বুন্দিয়াগুলো ঘরে নিজের হাতে তৈরি করি। তাই আজকে আমি আমার বুন্দিয়া বানানোর রেসিপিটির প্রত্যেকটি ধাপ আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। আপনারা ইচ্ছা করলে আমার রেসিপি দেখে বাসায় ট্রাই করে দেখতে পারেন এটা খেতে আসলেই খুব সুস্বাদু। আশা করছি আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
- বেসন
- বেকিং পাউডার
- চিনি
- লেবু
- প্রথমে আমি একটা বাটির মধ্যে পরিমাণ মতো বেসন নিয়ে নিলাম। এরপর আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো বেকিং পাউডার দিয়ে দিলাম।
- এরপর আমি এর মধ্যে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে দিলাম। এরপর আমি সবগুলো একসাথে ভালো করে মিক্সড করে নিলাম।
- এরপর আমি এগুলো দুটো আলাদা আলাদা বাটিতে ভাগ করে নিলাম। তারপর আমি একটা বাটির মধ্যে ফুড কালার মিশিয়ে সেটা কালার করে নিলাম।
- এরপর আমি চুলার মধ্যে একটা করাই বসিয়ে পরিমাণ মতো তেল দিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর তেলটা গরম হলে তেলের উপর একটি ছিদ্র ছিদ্র চামচ ধরে চামচের উপর গোল চামচ দিয়ে গুলে রাখা বেসন গুলা আস্তে আস্তে দিয়ে দিলাম।
- কিছুক্ষণ পর বুরিন্দা গুলো ভাজা হয়ে গেলে সেটা ছাঁকনি দিয়ে একটা বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
- এরপর আমি অন্য বাটির গুলে রাখা বেসন গুলো দিয়েও বুড়িন্দা বানিয়ে নিলাম।
- এরপর চিনির শিরা তৈরি করার জন্য আরেকটি পাতিল নিয়ে এর মধ্যে পরিমাণ মতো চিনি দিয়ে দিলাম।
- তারপর চিনির মধ্যে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে চুলায় কিছুক্ষণ বসিয়ে রাখলাম।
- এরপর পানিটা চিনির পানিটা বলক আসলে এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ একটু লেবুর রস দিয়ে দিলাম যাতে চিনির শিরাটা জমে না যায়।
কিছুক্ষণ চুলায় রেখে এর মধ্যে তৈরি করে রাখা বুন্দিয়া গুলো দিয়ে দিলাম। তারপর ভালো করে নেড়ে চেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ চুলার উপর রেখে দিলাম যাতে চীনের শিরা গুলো বুন্দিয়ার ভেতর যায়।
- এরপর আমি একটা প্লেটে ঢেলে সুন্দর করে গরম গরম পরিবেশন করলাম। এই রেসিপিটি ইফতারিতে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে।
আমি আশা করি আমার রেসিপিটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো এবং সুস্থ থাকবেন।
ইফতারিতে বুন্দিয়া না থাকলে যেন ভালই লাগে না। আপনি বুন্দিয়া বানানোর খুব সহজ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। এভাবে চাইলে বাসায় সবাই বুন্দিয়া বানিয়ে খেতে পারে। আপনার বুন্দিয়া গুলো দেখতে বেশ রসালো লাগছে। অনেক ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বাইরে থেকে কিনে বুন্দিয়া অনেক খাওয়া হয়েছে তবে আমার যতটুকু মনে আছে আমি কখনোই বাড়ি বানানো বুন্দিয়া খাইনি। আশা করি বাড়িতে বানানো বুন্দিয়া গুলো বেশ স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুস্বাদু বুন্দিয়া বানানোর রেসিপিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইফতারের সময় বুন্দিয়া না হলে যেন ইফতার জমেই না। ইফতারের সময় বুন্দিয়া দিয়ে মুড়ি মাখালে খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। খুবই সুন্দরভাবে বুন্দিয়া রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শিখে নিতে পারলাম রেসিপিটি। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ধরনের বুন্দিয়া সবসময় কিনে এনে খাওয়া হয়। যেটা ইফতার মুহূর্তে অনেকেই খেতে পছন্দ করে। আমার কাছে এই ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার তেমন একটা পছন্দ নয় । তবুও আপনি বাড়িতে তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর লাগছে খাবারটি মিষ্টি জাতীয় হলেও মুড়ি মাখানোর মধ্যে দিয়ে খেতে দারুন টেস্ট লাগে। আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো।
ঠিকই বলেছেন আপু ইফতারিতে বুন্দিয়া খেতে কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । আর বাজার থেকে কিনে নেওয়ার থেকে নিজেরা যদি তৈরি করা যায় তাহলে তো সেটি আরো ভালো লাগে খেতে । আমিও কয়েকবার ভেবেছি বানাবো তবে কখনো বানানো হয়নি । কেউ যদি বানায় সেটা দেখতেও ভালো লাগে আমার কাছে খেতেও খুব ভালো লাগে ।
দারুন রেসিপি।
আসলে বুন্দিয়া ছাড়া ইফতার জমেই না, এটা কিন্তু প্রতিদিন ইফতারে চাই।
যাইহোক বেশ অসাধারণভাবে আজকের রেসিপি উপস্থাপন করেছেন, সত্যি বলতে আমার বেশ ভালো লেগেছে।
আর সবশেষে পরিবেশন ভীষণ লোভনীয় দেখাচ্ছে।
আপনার বুরিন্দা রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। আসলে আপু এই বুরিন্দা ছাড়া ইফতারি একদিন ও জমে না। তবে নিজের হাতে তৈরি জিনিস এর তুলনা হয় না । এগুলো অনেক স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
বুন্দিয়া আমার অনেক ফেভারিট। বুন্দিয়া তৈরীর রেসিপি আপনার সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। আপনার রেসিপি দেখেই বুঝা আছে পারফেক্ট ভাবে এটি তৈরি করেছেন আপনি। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
আপনি খুবই চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে বুন্দিয়া তৈরির রেসিপি টা শেয়ার করেছেন। আসলেই রমজান মাসে ইফতারিতে যদি বুন্দিয়া না থাকে তাহলে খেতে খুব একটা মন চায় না। আর বাজার থেকে যেগুলো কিনে নিয়ে আসা হয় সেগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয় বলে আমি মনে করি, বাসায় তৈরি করে সেটা খাওয়ার মাঝে রয়েছে এক অন্যরকম তৃপ্তি। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটা বুন্দিয়া রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।