বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি সুন্দর কিছু মুহূর্তের প্রথম পর্ব।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

♥️ হ্যালো বন্ধুরা ♥️

"আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।

আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আসলে বেশ কিছুদিন আগে ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আসলে প্রথমে ভাবতে পারিনি মিলিটারি মিউজিয়ামটা দেখতে এতটা ভালো লাগবে। এই জাদুঘরটা মূলত তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ সামরিক বাহিনীর ইতিহাস ঐতিহ্য সাফল্য এবং তাদের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে। মিউজিয়ামের বাহিরটা যেমন সুন্দর ভেতরটাও খুবই সুন্দর। আমি তো দেখে একদম মুগ্ধ। বিশাল এরিয়া জুড়ে এই মিলিটারি মিউজিয়ামটি তৈরি করা হয়েছে। মিলিটারি মিউজিয়ামে ঢুকতে জনপ্রতি ১০০ টাকা টিকিট কেটে ঢুকতে হয়। ভিতরে ঢোকার সময় বাহিরের কোন খাবার এবং কি কোন পানির বোতলও নেওয়া যায় না। সত্যি বলতে মিলিটারি মিউজিয়ামে ঘুরে, আমার এবং আমার বাচ্চাদের খুবই ভালো লেগেছে। আসলে বাচ্চাদেরকে নিয়ে এসব জায়গায় গেলে বাচ্চারা অনেক কিছু জানতে এবং বুঝতে পারে। আর আমার বাচ্চারা তো এখানে গিয়ে সত্যিই খুব আনন্দ পেয়েছে। আমাদের সকলের কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর মিলিটারি মিউজিয়ামটি অনেক বড় তাই অনেকগুলো ছবি তোলা হয়েছে যা একসাথে পোস্ট করা সম্ভব না বলে পোস্টটিকে আমি কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। এটা হচ্ছে প্রথম পর্ব তাহলে চলুন দেখা যাক প্রথমপর্বটি।

1692536186500.jpg

  • প্রথমে আমি মিলিটারিয়াম মিউজিয়ামের সামনের অংশের কিছু ছবি তুলে নিলাম। মিলিটারি মিউজিয়ামের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আমার ছেলে মেয়েও কিছু ছবি তুলে নিল। বাইরে থেকে দেখতে মিলিটারি মিউজিয়ামটি খুবই সুন্দর।

20230502_115213.jpg

20230502_115345~2.jpg

20230502_115414~2.jpg

  • গেট দিয়ে ঢুকতে প্রথমে দেখলাম কয়েকজন মিলিটারী যুদ্ধ করা অবস্থায় কিছু মূর্তি বানানো রয়েছে। দেখে খুবই ভালো লাগলো তাই আমি কয়েকটি ছবি তুলে নিলাম। এর পাশে খুব সুন্দর একটি সুইমিংপোল ছিল তবে সুইমিংপোলটির ছবি তোলা হয়নি।

20230502_120330.jpg

20230502_120324.jpg

  • এরপর আমরা ভিতরে ঢুকলাম ভিতরে ঢুকতে প্রথমে দেখলাম খুব সুন্দর একটি অনেক আগের দিনের সামরিক বাহিনীর যুদ্ধের একটি নৌজান। নৌজানটি দেখতে খুবই সুন্দর তাই আমার ছেলে মেয়ে নৌজানটির পাশে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুলে নিয়ে।

20230502_121501.jpg

20230502_120938~2.jpg

20230502_120950.jpg

  • এরপর দেখলাম পলাশী যুদ্ধে ব্যবহৃত একটি কামান। এত বছর ধরে খুব যত্ন সহকারে এই কামানটি এখানে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে। দেখে সত্যি খুব ভালো লাগলো।

20230502_120900~2.jpg

20230502_121340.jpg

  • এরপর আমরা দেখলাম তামানের মতই আরেকটি ভাস্কর্য এই ভাস্কর্যটির নাম বিজয় তূর্য। এই ভাস্কর্যটি দেখেও খুবই ভালো লাগলো।

20230502_121409.jpg

20230502_121051~2.jpg

  • তারপর আরো একটু হাঁটার পর দেখলাম খুব সুন্দর ভাবে পলাশী যুদ্ধের একটি মডেল তৈরি করা হয়েছে। মডেলটি দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো এই মডেলটি দেখে পলাশীর যুদ্ধের অনেক কিছু জানতে পারলাম। তারপর আমি মডেলটির কিছু ছবি তুলে নিলাম।

20230502_121555.jpg

20230502_121600.jpg

  • এরপর দেখলাম ছুরি, তলোয়ার এবং একটি ধনুক এগুলো সব যুদ্ধের অস্ত্র।

20230502_121629.jpg

20230502_121623.jpg

20230502_121634.jpg

  • এরপর দেখলাম একটি সৈন্য দাঁড়িয়ে আছে আশ্রশস্ত্র হাতে নিয়ে। তারপর দেখলাম কিছু ছোট ছোট ছবি এবং সেনাবাহিনীর একটি লোগো।

20230502_121725.jpg

20230502_121707.jpg

এই ছিল আমার আজকের পোস্ট আশা করি আপনাদের কাছে ভালই লাগবে বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামে কিছুটা অংশ দেখে। ভুল মানুষ মাত্রই হয় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

চলবে.......

গুগল ম্যাপ লোকেশন : Bijoy Sarani, Dhaka 1215

ডিভাইস নেম:- গ্যালাক্সি A10s

শুভেচ্ছান্তে : @sshifa

♥️ আমার পোস্টটি দেখা এবং পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ ♥️

Sort:  
 last year 

বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি করে দারুন কিছু ছবির সাথে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন। আমার কাছে তলোয়ার আর ধনুকটা দেখে খুবই ভাল লেগেছে। এমন দুইটি জিনিষ স্বচক্ষে দেখতে পারলে ভাল হতো। ধন্যবাদ।

 last year 

আপু প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই এত সুন্দর একটি বিষয় আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। আমার মনে হয় অনেকেই এই মিলিটারের মিউজিয়াম দেখে নাই। এই মিলিটারি মিউজিয়ামে ঢুকতে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে টিকিট নেয়। একটা তথ্য জানতে পারলাম আপনার কাছ থেকে। বাচ্চাদের নিয়ে মিলিটারি মিউজিয়ামে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছেন। আর আপনি মিলিটারি মিউজিয়ামে যেসব ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন আপু এগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি খুবই ভালো লেগেছে আমার কাছে। আপনার পোষ্টের মাধ্যমে মিলিটারি মিউজিয়ামের অনেক কিছু আমরা দেখতে পেলাম ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

সময় নিয়ে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া। আপনার মন্তব্যটা পড়ে আমার কাছে সত্যিই অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 last year 

আপু আপনি ছেলে মেয়েকে নিয়ে মিলিটারি মিউজিয়ামে গেলেন। আর খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো।সত্যি আপু এরিয়াটা খুবই চমৎকার। আমিও গিয়েছিলাম।আপনার মতো আমারও ভীষণ ভালো লেগেছে।আপনারা ও খুব মজা করেছেন।অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

 last year 

বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামটা যে, এতটা সুন্দর আর সাজানো গোছানো আপনার পোস্টটা না পড়লে হয়তো বুঝতাম না। আপু আপনার বাচ্চাদেরকে নিয়ে বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামে সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন জেনে ভালো। আসলে মনকে ভালো রাখার জন্য ঘোরাঘুরি করাটা বেশ ভালো। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমার পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি এভাবেই আরো সুন্দর সুন্দর মন্তব্যের মাধ্যমে আমার পাশে থাকবেন।

 last year 

অবশ্যই আপু চেষ্টা করবো সব সময় ভালো মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন বাংলাদেশ মিলিটারি মিউজিয়ামে ঘোরাঘুরি সুন্দর কিছু মুহূর্তের। আসলে যে কোন জায়গায় একটু ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালই লাগে। এখানে আপনারা ঢোকার জন্য প্রতি জন ১০০ টাকা করে টিকিট দিয়েছিলেন আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। দেখেই বোঝা যাচ্ছে আপনারা সেখানে বেশ দারুন কিছু সময় কাটিয়েছেন। এত সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া আমরা সেখানে বেশ দারুন সময় কাটিয়েছি। মূল্যবান মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে। জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই জন্য যে আপনি আমাদের মাঝে আজকে অজানা তথ্য এবং অজানা অচেনা জায়গা তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনার আজকের এই পোস্ট পড়তে পেরে কারণ আর্মিদের এই সমস্ত স্থানগুলো ফটোগ্রাফি করতে দিত না আমি তাই জানি। তারপরেও যে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ধারণ করেছেন এবং তা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন তাই অনেক খুশি হলাম।

 last year 

আগে হয়তো এইসব স্থানগুলোতে ফটোগ্রাফি করতে দিত না। তবে আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন তো ফটোগ্রাফি করতে দিয়েছে। আমি ছাড়াও আরো অনেকেই এসব জিনিসের ফটোগ্রাফি করেছে। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।

 last year 

বাংলাদেশের মিলিটারি মিউজিয়ামের ফটোগ্রাফি খুবই ভালো লাগলো আপু। আসলে মিলিটারি মিউজিয়ামে আমার এখনো যাওয়া হয়নি। আপনার পোস্ট থেকে অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপু। আপনাদের এই মিউজিয়াম এ ঢুকতে একশো টাকা করে নিয়েছে তা আপনার পোস্ট পড়ে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ উৎসাহ মূলক মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59824.84
ETH 2666.86
USDT 1.00
SBD 2.48