নগরে শীতের পিঠা। @shy-fox ১০% বেনিফিসিয়ারী।
পাশাপাশি রঙ বেরঙের ফুল গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, পিটুনিয়া। ছোট বেলার শীতের কথা মনে পড়ে। পরীক্ষা শেষে আমরা চলে যেতাম দাদাবাড়িতে। আমাদের বাড়ির উঠোনে ছিলো ২ টি খেজুর গাছ, সেই গাছের খেজুর রস আমার খুব প্রিয় ছিলো। শীতের সময় যখন ভোর বেলায় গফুর গাছি এসে
রস পাড়তে তখন বাড়ির ছোটরা সবাই রস ঘিরে উৎসবে মেতে উঠতাম। গ্লাসে রস নিয়ে বসে যেতাম উঠোনে সাথে থাকতো মুড়ি। জীবনের মধুর স্মৃতি গুলোর মধ্য এই স্মৃতিটা অনন্য। একটু বেলা বাড়লেই শুরু হতো ভাপা পিঠা, চিতোই পিঠা পুলি পিঠা বানানোর উৎসব। নাগরিক ব্যস্ত মানুষেরা সেসব উৎসব থেকে বঞ্চিত। কিন্তু ছোট বেলার সেই পিঠার স্মৃতি এমন ভাবে মনে গেছে তাইতো এখন শীতের সন্ধ্যায় ঢাকা শহরেই খুঁজে ফিরি পিঠা।
লোকেশন লিঙ্কঃ
https://w3w.co/mason.bordering.playoffs
শহরে সন্ধ্যা নামতেই রাস্তার পাশে পিঠার পসরা সাজিয়ে বসে পড়েন মহিলারা। ভাপা পিঠা, ভাজা পিঠা, আর চিতোই পিঠা কিনতে কখনো কখনো ভীড় লেগে যায় দোকানে। চিতোই পিঠার সাথে আবার পাওয়া যায় ধনিয়াপাতা, সরিষা, শুটকি,কাঁচা মরিচ ভর্তা। গরম চিতোই পিঠার সাথে ভর্তা খেতে দারুণ মজা।
কখনো কখনো পুরুষ বিক্রেতাও পাওয়া যায় তারা অবশ্য ভ্যানের মধ্যে চুলা বসিয়ে সেখানেই বানান পিঠা। সেখানে আবার বিচিত্র পিঠার বাহার। ভাজা পিঠার পাশাপাশি চিংড়ী দিয়ে বানান পিঠা।
শহুরে জীবনের বাচ্চার অনেকটাই বঞ্চিত আমাদের মত শেকড়ের সন্ধানে দীর্ঘ সময় ছুটি কাটানো থেকে। আর তাইতো রাস্তার পাশের মাটির চুলায় বানানো পিঠা দেখিয়ে গল্প বলি ছোট বেলার।
আমি সোনিয়া, আমি বাংলাদেশী। বাংলায় লিখি গান, কবিতা। ভালো লাগে পড়তে, গান শুনতে আর ঘুরে বেড়াতে। জীবনের রং প্রতিনিয়তই উপভোগ করি ভিন্ন ভাবে। ভীষণ উৎসব প্রিয় মানুষ আমি। স্মৃতিতে খুঁজে ফিরি হারানো শৈশব আর রঙিন ছেলেবেলা।
শীতকালে বাড়িতে সময় কাটানো এবং পরিবারের সাথে বিভিন্ন খাবার উপভোগ করা শীত মৌসুমে বেঁচে থাকার একটি ভাল উপায় এবং আপনি এটি একটি ভাল উপায়ে করছেন। আপনার জন্য শুভকামনা।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটি দেখা ও পড়ার মাধ্যমে অতীতের স্মৃতি বিজরিত দিনের কথা মনে পড়ে গেল।ম্যাচে থাকাকালীন শীতের মৌসুমে শহরে সত্যি সত্যিই রাস্তার চারপাশে এইরকম পিঠা তৈরির দৃশ্য বিরাজমান। খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। আমি অনেক খেয়েছি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। 😍😍
ধন্যবাদ আপনাকে।