মজাদার চিংড়ি নাগেট- ১০% Shy-fox এর জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি আছি মোটমুটি।প্রতিদিনের ব্যস্ততায় সময় হয়না অনেক কিছু করার, কিন্তু প্রিয়জন পরিবারের সদস্যদের জন্য আলাদা কিছু করার চিন্তা সব সময় থেকে যায়। আর তাইতো আজকে মন দিয়েছি বাচ্চার জন্য পছন্দের খাবার বানাতে। চিংড়ি মাছ ছোট বড় সবারই পছন্দের খাবার আর সেই চিংড়ি দিয়েই তৈরী করেছি মজাদার চিংড়ি নাগেট। আপনি চাইলে একসাথে তৈরী করে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন।
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
মাঝারি চিংড়ি | ১কাপ |
পাউরুটি | ৩ পিস |
গোল মরিচের গুঁড়ো | ১ চা চামচ |
লবণ | পরিমাণ মত |
শুকনা মরিচের গুঁড়ো | ১চা চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
পেঁয়াজ বাটা | ১ চা চামচ |
ডিম | ১ টা |
ব্রেড ক্রাম | প্রয়োজন মত |
তেল | পরিমান মত |
প্রস্তুত প্রণালিঃ
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে ১ কাপ পরিমান চিংড়ি মাছ ভালো ভাবে ধুয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিতে হবে। এরপর মাছ গুলি পাটায় বেটে নিতে হবে।চাইলে ব্লেন্ডারে পিষে নিতে পারেন।
দ্বিতীয় ধাপঃ
বেটে রাখা চিংড়ি মাছের সাথে একে একে আদা বাটা, রসুন বাটা, পেয়াজ বাটা,গোল মরিচের গুঁড়ো, শুকনো মরিচের গুঁড়ো ও পরিমাণ মত লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ বেটে রাখা চিংড়ির সাথে সব মশলা মাখানো হলে তাতে ১ টা ডিম ভালো করে ফেটে নিয়ে মাখাতে হবে।এরপর পাউরুটির টুকরোগুলো একেবারে গুড়ো করে চিংড়ির মিশ্রনে ভালো করে মেশাতে হবে।
চতুর্থ ধাপঃ এই ধাপটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সব উপকরন এক সাথে মেশানো হলে একটা পাত্রে তেল ব্রাশ করে তাতে চিংড়ির পুরো মিশ্রনটি সমান করে বিছিয়ে দিতে হবে। এরপর ছুড়ি দিয়ে নাগেটের সাইজ করে কেটে নিতে হবে।
পঞ্চম ধাপঃ এই ধাপটি নাগেট তৈরীর মুল ধাপ।শেপ করা নাগেটগুলি কোটিং করতে হবে। একটা করে নাগেটের পিস নিয়ে প্রথমে ডিমে চুবাতে হবে তারপর ভালোভাবে ব্রেডক্রামে গড়িয়ে নিতে হবে। ব্রেডক্রাম ঠিক মতো নাগেটের গায়ে না বসলে নাগেট ক্রিসপি হবে না।ব্রেডক্রামে নাগেট গড়ানো হলে ২ ঘন্টার জন্য ডিপ ফ্রিজে রেখে শক্ত হতে দিতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপঃ নাগেটগুলি ডিপ ফ্রিজ থেকে বের করে উল্টেপাল্টে দেখতে হবে ব্রেডক্রাম ঝরে পড়ে কি না। যদি না ঝড়ে পড়ে তাহলেই বুঝবেন নাগেট সম্পূর্ণ রেডি হয়ে গেছে। এরপর ফ্রাই প্যানে পরিমাণ মত তেল গরম করে নাগেট ছেড়ে দিতে হবে। অল্প আচে ভাজতে ভাজতে সোনালী রং ধারন করলে নামিয়ে নিতে হবে। এভাবেই তৈরী হয়ে গেলো সুস্বাদু চিংড়ির নাগেট।
দারুণ সুস্বাদু এই নাগেট পোলাও এর সাথে খেতে খুব ভালো লাগে। বিকালের নাস্তা হিসেবেও খুবই ভালো লাগে। যারা বাইরের খাবার পছন্দ করেন না তারা বানিয়ে ড্রিপ ফ্রিজে এক মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারবেন।
চিংড়ি মাছের নাগেট অসাধারণ সুন্দর একটি মজাদার রেসিপি। চিংড়ি মাছের নাগেট খেতে অনেক ভালো লাগে আমার। আপনার পোস্টে বর্ণনাগুলো পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার চিংড়ি 🍤🍤🍤🍤 মাছের নাগেট অথবা বড়া দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। এবং আপনি অনুমান গুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন। এবং ধাপে ধাপে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই ভড়া গুলো খেতে খুবই সুস্বাদু হয় এবং কি আপনি অনেক সুন্দর করে লাল লাল বেছেছেন। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার উপস্থাপনাটি খুব সুন্দর ছিল আমাদের সাথে আপনার চিংড়ি মাছের নাগেট শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল আপু।
ধন্যবাদ।অনুমান করে বানাইনি যেভাবে বানিয়েছি সেই পরিমান দিয়েছে যাতে সহজে অন্য কেউ বানাতে পারে
বাহ আপু অনেক সুন্দর বরা তৈরি করেছেন আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে। তাও আবার চিংড়ি মাছের নাগেট। প্রথম শুনলাম এই রেসিপির নাম। যাইহোক সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। আপনার নতুন রেসিপি টাও শিখে গেলাম। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল আপনার জন্য।
এটা খেতে খুব মজা। আমার রেসিপিতে পরিমান ঠিক করে দেয়া আছে বাসায ট্রাই করতে পারেন।
আপু আপনার পোস্ট টি অনেক সুন্দর হয়েছে।আজ বেস কিছু ইউনিক রেসিপি দেখলাম তার মধে আপনার সবচেয়ে সুন্দর হয়েছে।
ধন্যবাদ। আপনার কমেন্ট পড়ে মন ভালো হয়ে গেলো।
এতোদিন মুরগীর মাংসের নাগেট বা চিকেন নাগেট অনেক দেখেছি এবং খেয়েছি। তবে কখনো চিংড়ি মাছের নাগেট খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে রেসিপিটি তুলে ধরেছেন আমাদের সামনে।সত্যি দারুণ।এগিয়ে যান আপু।
ধন্যবাদ। চিকেন নাগেটের চেয়ে মজাদার।
বাহ আপনি অনেক সুন্দর একটি মজাদার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আর এই রকম রেসিপি এই প্রথম আমি দেখলাম এবং নামটাও প্রথম শুনলাম। আর যাই হোক এই অভিজ্ঞতা নিয়ে আমি আগামীতে এরকম একটা রেসিপি তৈরি করবো। তাই পরিশেষে আপনাকে আমার পক্ষ থেকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ক্যাপশনটার সাথে আমি একমত পোষণ করছি। চিংড়ি সত্যি খেতে অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার রেসিপি দেখে আমার জিহ্বায় জল গড়িয়ে পরছে। আমি মাঝে মধ্যে চিংড়ি রেসিপি খেয়ে থাকি। রেসিপি সম্পর্কে সুন্দর বর্নণা করেছেন। শুভকামনা রইল
অসাধারণ একটি রেসিপি আমাদের সবাইকে দেখালেন দিদি। মাছ কম খেলেও চিংড়ি মাছ খুব পছন্দ করি। চিংড়ি মাছ দিয়ে যে এত মজার কিছু হতে পারে কখনো ভাবতেও পারিনি। আর আপনি যা যা উপকরণ ব্যবহার করেছেন তাতে নিঃসন্দেহে বলা যায় খাবার টা খুবই মজাদার হবে। এটা আমি অবশ্যই বাড়িতে করবো। শুভেচ্ছা রইল দিদি ,ভালো থাকবেন।
আসলেই খেতে দারুন মসলা যা দেয়া তাতে মাছের ফ্লেভার খুব বোঝা যায় না। বানালে জানাবেন কেমন লাগলো।
চিংড়ি মাছের নগেট কখনো বাসায় রান্না করে খাওয়া হয়নি আপনার চিংড়ি মাছের নগেট দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে চিংড়ি মাছের নগেট খেতে খুবই মজা লাগে আমি দোকান থেকে মাঝে মাঝেই এগুলো খেয়ে থাকি চিংড়ি মাছের নগেট এর এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শুভকামনা রইল আপনার জন্য
একবার খেলে আবার খেতে চাইবেন।দারুণ মজার নাগেট।