ঘুরে এলাম সিলেটের লাক্কাতুরা চা-বাগান থেকে। @ shy-fox ১০% বেনিফিসিয়ারী।
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই নিশ্চয়ই ভালো আমিও বেশ ভাল আছি ।
সাপ্তাহিক কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে, এই ব্যস্ত সময়ের আগে ঘুরে এসেছি প্রকৃতির সবুজ সান্নিধ্যে সিলেট থেকে। তাই মনটা বেশ ফুরফুরে কাজে কোন ক্লান্তি লাগছে না। তিনদিনের সিলেট সফরে যেসব জায়গা দেখেছি তার মধ্যে চোখে লেগে আছে প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো লাক্কাতুরা চা বাগান। চা বাগানের মানুষের বিচিত্র জীবন ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে আমাকে। তাদের সেই বিচিত্র জীবনের কিছু ছবি তুলে ধরছি আপনাদের মাঝে, আশা করছি আপনি আপনাদেরও বেশ ভালো লাগবে।
লোকেশন লিঙ্কঃ
https://w3w.co/tweezers.possibly.civic
১৮৭৫ সালে সিলেট শহরের কেন্দ্রেই বিস্তৃত এলাকা জুড়ে গড়ে উঠেছে এই লাক্কাতুরা চা-বাগান। বছরের পর বছর ধরে দেশে উৎপাদিত চায়ের একটা বড় অংশ আসে এই বাগান থেকে। আমরা যখন বাগানে পৌঁছেছি তখন চারপাশে ভীষণ নিরবতা রাস্তায় বসে দুটো বানর খুনসুটিতে মেতে উঠেছে। রাস্তার দুই পাশে সারি সারি চা-বাগান মাঝ দিয়ে বয়ে চলা মেঠোপথ অন্যরকম ভালোলাগার আবেশ তৈরি করেছিলো।
পুরো লাক্কাতুরা বাগানজুড়েই উঁচু- নিচু টিলা এবং টিলা ঘেরা সমতলে সবুজ চা-পাতার সমাহার সে এক অন্য রকম সৌন্দর্য। মাঝে মাঝে দেখতে পেয়েছি ছোট ছোট ঝিরি দিয়ে বয়ে চলেছে ক্ষীণকায় জলের ধারা। লাক্কাতুরা বাগানে অবশ্য বেড় বড় একটা পুকুর আছে সেখানে ফুটে ছিলো অনেক শাপলা। বছরের এই সময়টাতেই চা-বাগানের গাছগুলি ছেটে দেয়া হয়। এর আগে অনেকবার বাগান দেখলেই এবারই প্রথম চায়ের ফুল দেখতে পেয়েছি।চা-ফুলের ঘ্রাণে এক ধরনের মাদকতা আছে যা সত্যিই দারুণ।
চা-বাগানের সবুজ কচিপাতা গুলি ধীরে ধীরে বড় হতে হতে যখন পরিপক্ক হয় তখন সেই পাতাকে খাবার উপযোগী করতে প্রক্রিয়াজাতকরণ এখানেই করা হয়। আমরা যখন গিয়েছিলাম তখন চা-পাতা তোলার মৌসুম না থাকায় আমরা সেই পদ্ধতি দেখতে পারিনি। তবে সে প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া যন্ত্রগুলো দেখতে পেরেছিলাম।
সিলেট যাবার আগে সব কিছুতেই বিরক্ত লাগছিলো কিন্তু চা-বাগানে পৌছে মুহূর্তেই উবে গেলো সব ক্লান্তি। বাগানের চারিদিকে যেন সবুজের গালিজা পাতা। যেখানে সকালের রোদ পড়েছে সেখানকার বাগানটা ভীষণ উজ্জ্বল সবুজ আর যেই পাশে ছায়া পড়েছে সেখানকার রংটা গাঢ়ো এবং সবুজ কিছুটা কালচে। বাগানজুড়ে শেড তৈরি করতে লাগানো আছে বড় বড় গাছ।
সকালের শান্ত স্নিগ্ধ নীল আকাশ, চা-বাগানের কচি পাতায় রোদের ছড়াছড়ি পুকুরে ফোটা শাপলা মন ভরিয়ে দিয়েছিলো। সবচেয়ে ভালো লাগছিলো সারি বেধে যখন চা শ্রমিকেরা বাগানে যাচ্ছিলো কাজ করতে যাচ্ছিলো সেই দৃশ্য। সবুজের সান্নিধ্যে প্রায় ঘন্টা খানেক সময় কাটিয়ে যখন ফিরছিলাম তখন ভালোলাগার আবেশে মন জুড়িয়ে গিয়েছিলো। পরের গন্তব্য ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর সেটা লিখবো আগামী পর্বে সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।
আমি সোনিয়া বাংলাদেশি,বাংলায় লিখি গান-কবিতা। ভালোবাসি দেশ বিদেশ ঘুরতে। অবসর কাটে বই পড়ে গান শুনে। জীবনের বোধ আনন্দে বাঁচো।
সিলেটের লাক্কাতুরা চা-বাগানটি দেখতে অনেক সুন্দর তো। প্রাকৃতিক পরিবেশে ফটোগ্রাফি অনেক ভালো লাগে কেননা এখানে প্রকৃতির সাথে মন ভরে নিশ্বাস নেয়া যায় সিলেট যাওয়ার খুব ইচ্ছা আমার যেতে পারবো কিনা ভবিষ্যতে তাও জানিনা আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই দেখতে এবং জানতে পারলাম আরো যাওয়ার আগ্রহ বেড়ে উঠেছে দেখছি ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে এত সুন্দর একটি ভ্রমণ গল্প শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার সিলেট ভ্রমণ সত্যিই আনন্দের ছিল এবং লাক্কাতুরা চা বাগানের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি দেখিয়েছেন। এবং চা পাতা প্রক্রিয়াজাতকরণের মেশিনারি জিনিস গুলো, সেই সাথে আপনার সাথে ঘুরে এলাম এবং দেখে নিলাম লাক্কাতুরা চা বাগান এর পরিবেশ। আর আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ এত সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি সিলেট ভ্রমণ করে সিলেটের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। সিলেটে কখনো যাওয়া হয়নি তবে আপনার পোস্ট দেখে সিলেটের চা বাগানের সৌন্দর্য কিছুটা উপভোগ করতে পারলাম। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আপনাদের ভালো লাগলেই আমার আনন্দ। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে স্বাগতম আপু মনি 🥰
চা বাগানের ভ্রমণ করার ইচ্ছে আমার অনেক আগে থেকেই। কিন্তু এখনো যাওয়া হয়নি। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো। বিশেষ করে ফ্যাক্টরি দেখে অনেক ভালো লাগলো। কিন্তু কিভাবে তৈরি করে তা তো দেখতে পারলাম না। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খুবই ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে। সিলেট নিয়ে আরো কিছু পর্ব লিখবো
আপু আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে সিলেটের চা-বাগানের অসাধারন কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম। চা বাগানের দৃশ্য, চাপ্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা সবকিছু দেখতে খুব ভালো লাগছে। আর দলবেঁধে চা শ্রমিকরা কাজ করতে যাচ্ছি দৃশ্যটা দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। বোঝা যাচ্ছে সিলেট ভ্রমণ অনেক উপভোগ করেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফিগুলো আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ভ্রমণ কথা শুনলে মনটা আনচান করতে থাকে। ভ্রমণ করতে আমার খুবই ভালো লাগে । আপনি সিলেট এর লাক্কাতুরা চা বাগান টা দেখেছেন আমাদেরকে দেখিয়েছেন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে । দেখে খুব ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভ্রমনের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রকৃতির সান্নিধ্যে গেলে মনটা বেশ ফুরফুরে হয়ে যায়। বেশ ভালো ছিল আপনার উপস্থাপনা আপক। সেইসাথে ফটোগ্রাফি গুলো বেশ মনোরম ছিল অনেক ভালো লেগেছে আমার। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।