হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আমি আছি মোটমুটি
ঠান্ডা কাশি ভোগান্তিতে ফেলেছে। আজকে একটা গ্রামের গল্প বলবো আপনাদেরকে যে গ্রামটির নাম গোলাপ গ্রাম। যেখানে মাঠের পর মাঠ শুধু গোলাপের চাষ হয়। এই গ্রামটি পড়েছে ঢাকার সাভারের ভেতরে সাদুল্ল্যাপুরে
প্রায় ২৫ বছর ধরে এখানকার কৃষেকরা অন্য ফসলের চাষ না করে গোলাপের চাষ করছে বানিজ্যিক ভাবে ।
লোকেশন লিঙ্কঃ
https://w3w.co/launched.probable.baseballs
>
শুধু গোলাপই নয় এই গ্রামে এখন বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হচ্ছে চন্দ্রমল্লিকা, জিপসি,ও জারবারা। এক সময় সাদুল্ল্যাপুরে গ্রামেই শুধু গোলাপের চাষ হলেও বর্তমানে পাশের গ্রাম শ্যামপুরেও চাষ হচ্ছে গোলাপের। প্রতিদিন খুব ভোরে ফুলের ব্যাপারিরা এসে বাগানের তরতাজা ফুল কিনে নিয়ে যায়।
নাগরিক ক্লান্তি ভুলতে অল্প দুরে যারা ঘুরতে যেতে চান তাদের জন্য আদর্শ জায়গা গোলাপ গ্রাম। ঢাকা শহর থেকে এক থেকে দুই ঘন্টা সময় ব্যায় করেই যেতে পারেন ঘুরতে গোলাপ গ্রামে। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি নেই তারা মিরপুর বেরিবাধ থেকে ইন্জিন চালিত ট্রলার পার হয়ে সিএনজি বা টেম্পোতে করে যেতে পারেন।
ঢাকা শহরের বিরক্তিকর জ্যাম ঠেলে যখন পৌছালাম গোলাপ গ্রামে মুহুর্তেই দুর হয়ে গেলো সব ক্লান্তি। মাঠের পর মাঠ জুড়ে গোলাপ আর গোলাপ। অবশ্য বেশির ভাগ গোলাপই লাল রঙের। বাগানে ঢোকার আগেই সারি সারি ফুলের দোকান মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। দোকানগুলোতে সাজানো রয়েছে নানান রকম ফুল আর ফুলের তৈরী রিং।এখানে ফুলের রিং এর চাহিদা থাকায় বাড়িতে দাম হাকতে ভোলেননি দোকানীরা।
সারি সারি গোলাপের বাগান দেখে তর সইছিলো না বাগানের ভেতরে ঢোকার জন্য। যখনই বাগানে ঢুকতে গেলাম একজন বয়স্ক লোক বাধা দিয়ে বললো বাগানে ঢোকা নিষেধ কিন্তু যদি গোলাপ কিনি তাহলে বাগানে ঢোকা যাবে। এমনিতেই আমার ফুল কিনে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা ছিলো সেটা যাবার সময়, বাধ্য হয়ে আগেই কিনলাম। গোলাপের পিস ৫ টাকা পরিমানে বেশি আর দরদাম ঠিক মতো করতে পারলে ৩ টাকায় পেতে পারেন পার পিস গোলাপ।
এত সুন্দর বাগান তাই ফটোসেশান এর লোভ সামলাতে পারলাম না। আনমনে দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে গোলাপের কাঁটায় বিধে ছিড়ে গেল ওড়নার কিছুটা অংশ।তাই গোলাপ বাগানে গেলে এই বিষয়টায় খেয়াল রাখতে হবে।
গোলাপ কিনে গেলাম চন্দ্রমল্লিকার বাগানে সেখানে গিয়েও চোখ ছানাবড়া। ৫ টাকা করে পিসে কিনলাম ফুল বাগানের মালিক কে অনেক অনুরোধ করে কিনে নিলাম ফুলসহ গাছ।দাম রাখলো একশো টাকা করে।
গোলাপ বাগানের পাশেই মাটির চুলায় বানানো চিতোই পিঠা আর ভর্তা খেলাম মজা করে। বাগানের পাশে বরই গাছে বরই ধরেছে দেখে লোভ সামলাতে পারলাম বাগানের মালিক বুঝে বরই পারার অনুমতি দিলো। আপনারা যদি সারাদিন বেড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে যান তাহলে এখানকার হোটেলেই খেয়ে নিতে পারেন দুপুরের খাবার। সারাদিন ঘোরাঘুরি করে যখন ফেরার সময় আসবে মিষ্টি একটা আবেশে মন ভরে যাবে নিশ্চিত।
আমি সোনিয়া জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। লেখালেখি করি বাংলায়। ভ্রমণ আমার নেশা। ভালো বাসি পড়তে, জানতে চেষ্টা করি জীবণের গভীর বোধ। প্রকৃতির সান্নিধ্য আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়, লেখার রশদ যোগায়।
আপনি আমাদের সবাইকে সুন্দর বাগানের ফটোগ্রাফি দেখিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টগুলো দেখতে ভালোই লাগে।
কারণ ভ্রমণ এর পোস্ট সবসময় ই অনেক পছন্দের আমার, তার উপর তো আপনি ট্রাভেল পোস্ট করেন অনেক।আর প্রতিটি জায়গাই খুব সুন্দর হয়।আজকের টিও একদম সেইম, ভালো লাগলো খুব।
ধন্যবাদ আপনাকে। সুন্দর সব কিছু সবার সাথে শেয়ার করতে ভালোবাসি।
বাহ্ অনেক সুন্দর কিছু নিয়ে আমাদের মাঝে হাজির হয়েছেন।এখানে তো দেখছি গোলাপের সমাহার দ্বারা বেষ্টিত। অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করলেন দেখেই বুঝা যাচ্ছে। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। 😍😍
ধন্যবাদ আপনাকে।
সাভারের গোলাপ গ্রামের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক শুনেছিলাম। তবে এখনো যাওয়া হয়নি। গোলাপ গ্রামটি আসলেই অনেক সুন্দর। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে
অনেক সুন্দর একটি পোষ্ট। আপনার এই পোস্টটি পড়ে আমি সম্পূর্ণ মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার পোষ্টের বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অত্যন্ত চমৎকার হয়েছে। আপনাদের ছবিগুলো দেখতে দারুন লাগছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।