পুরনো স্মৃতির উস্কানিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একদিন। @shy-fox ১০% বেনিফিসিয়ারী।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই নিশ্চই ভালো, আমি ও ভালো আছি।

কর্মব্যস্ত সারা সপ্তাহের পর শুক্রবার দিনটা যেন ভিন্ন কিছু। এ দিনও ব্যস্ততা থাকে তবে সেটা সংসার কেন্দ্রিক,অথবা বাচ্চাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। সেদিন গিয়ে ছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমার প্রাচীন বিদ্যাপিঠে। এখানেই কেটেছে জীবনের সোনালি সময়। দীর্ঘ সাড়ে ছয় বছর চষে বেড়িয়েছি ক্যাম্পাসের আনাচে কানাচে।আমার ক্লাস হতো সায়েন্স এনেক্ম ভবনে। ভবনের উল্টো পাড়েই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। যে কোন জাতীয় দিবস, বিশেষ ব্যক্তিদের শেষ যাত্রায় শ্রদ্বা জানানো ছাড়াও, সারা বছরই অনুষ্ঠান লেগে থাকতে শহীদ মিনারে। আমরা ক্লাসের ফাঁকে ছুটে যেতাম অনুষ্ঠান দেখতে।

লোকেশন লিঙ্কঃ

https://w3w.co/economies.affair.spurring

received_1099661874122386.jpeg


received_340812140985839.jpeg

পুরোনো সুখের স্মৃতি খুঁজে নিতে মাঝে মাঝে ছুট দেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার প্রিয় ক্যাম্পাসে। আমার বিষয় ছিলো ভূগোল ও পরিবেশ , স্বাভাবিক ভাবে সারাদিন ক্লাস, এসাইনমেন্টের যন্ত্রনায় ছিলাম অতিষ্ট। প্যাকটিকাল ক্লাস হতো দুপুর আড়াইটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। প্যাকটিকাল ক্লাসের আগে দুই ঘন্টার বিরতি ছিলো এই সময় আড্ডা দিতে বেছে নিতাম টিএসসি। ঘন্টার পর ঘন্টা আড্ডা শেষে খেয়ে নিতাম টিএসসির ক্যাফেটররিয়ার ভেতরে, কখনো ছুট দিতাম ডাকসু ক্যাফরটেরিয়ায়। কখনো আবার ছোট ছোট মিষ্টি আর গরম সিঙগারার লোভে মধুর ক্যান্টিনে।

received_710207526633774.jpeg


received_360213692479594.jpeg


received_906331223337086.jpeg


received_669034577438698.jpeg

কলা ভবনের প্রতি ছিলো বিশেষ দুর্বলতা ।এক সাথে এতগুলো বিভাগ, মিছিল সংগ্রাম সবই শুরু হতো এখান থেকে। সে তুলনায় এনেক্স ভবন ছিলো শান্ত নিরিবিলি। এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে অপরাজেয় বাংলা আর কলা ভবনের বয়সী গাছের নীচে দাঁড়িয়ে স্মৃতি খুঁজে ফিরি।

received_1037156763511647.jpeg

received_1300113860458147.jpeg

বসন্ত উৎসব থেকে শুরু করে যেকোনো চিত্র প্রদর্শনীর খোঁজে ছুটে যেতাম চারুকলার বকুল তলায়। স্নিগ্ধ সতেজ গাছপালা বিশাল মাঠ ভাস্কর্য আর বকুল তলার পেছন দিকের পুকুরের পাড় ছিলো বন্ধুদের আড্ডায় মেতে ওঠার আদর্শ জায়গা।

received_649270046109152.jpeg

received_597586624682026.jpeg

বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সুন্দর ভবন কার্জন হল।প্রাচীন লাল ইটের বিল্ডিং, বিস্তীর্ণ মাঠ পেছনে শহীদুল্লাহ হলের পুকুর সবই দারুন ছিলো। আমাদের কাছে ভীতিকর এক নাম ছিলো কার্জন হল কারণ এই কার্জন হলেই হতো পরীক্ষা। তবে শেষ পরীক্ষার দিনে সবাই মিলে শহীদুল্লাহ হলের পুকুর পাড়ে আড্ডায় বসতাম। এত স্মৃতি এত ঘটনাএক পর্বে লেখা সম্ভব নয় অপেক্ষায় থাকুন আরো বিস্তারিত লিখবো পরের পর্বে।

received_1855068048020368.jpeg


received_947684795954769.jpeg


received_466687608194346.jpeg

আমি সোনিয়া বাংলাদেশি, বাংলা লিখি গান-কবিতা। ভালোবাসি ঘুরে বেড়াতে, অবসর কাটে গান শুনে, বই পড়ে। জীবনের বোধ হাত বাড়িয়ে দাও।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.030
BTC 68168.17
ETH 3256.43
USDT 1.00
SBD 2.67