ঘুরে এলাম গ্যাংটকের দর্শনীয় স্থান থেকে পর্ব-২। @ shy-fox ১০% বেনিফিসিয়ারী।
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই নিশ্চয়ই ভালো? আমিও বেশ ভাল আছি।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের সিটি টুর এর বৃত্তান্ত নিয়ে। পুরো গ্যাংটক জুড়ে দারুন সব জায়গা দেখেছি আমি, সেই জায়গাগুলো থেকে চলুন ঘুরিয়ে আনি আপনাদেরকেও ।আগের পর্বে গ্যাংটক যাবার পথের সৌন্দর্য বর্ণনা করেছিলাম। আগের পর্বেই জানিয়েছিলাম গ্যাংটক পৌছুতে রাত হয়ে গিয়েছিলো। ওই রাতেই পরের দিনের ভ্রমনের জন্য গাড়ি ঠিক করে রেখেছিলাম। দীর্ঘ ভ্রমণ ক্লান্তি কাটিয়ে নিয়েছি লম্বা এক ঘুম দিয়ে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস হয়ে নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম এমজি মার্গের উদ্দ্যেশে। হোটেল থেকে হাটা পথের দুরত্ব এমজি মার্গ। সেখানে পৌছাতেই ট্যুর কোম্পানির লোকেরা আমাদের নিয়ে বেরিয়ে পড়লো গ্যাংটক সিটির ভেতর যেসব দর্শনীয় স্থান আছে সেগুলি দেখাতে। আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিলো বৌদ্ধদের স্তুপা দু দ্রুল করতেন ও নামগ্যাল ইনস্টিটিউট অব তিব্বোতোলজী ও তিব্বতিয়ান মিউজিয়াম।
লোকেশন লিঙ্কঃ
https://w3w.co/snaps.intelligible.newer
সকালের মিষ্টি রোদ গায়ে মেখে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে উঠে গেলাম ন্যামগাল ইনস্টিটিউট অব তিব্বোতোলজীতে। যাবার রাস্তায় দেখা মিললো এক বেহালা বাদকের সাথে সে তখন বেহালায় বাজাচ্ছিল" পারদেশি পারদেশি জানা নেহি" মিউজিয়ামের রঙিন ফুল বেহালার সুর আর ঘন্টা ধ্বনি দারুণ আবহ তৈরি করেছিলো মনে। সকালের প্রার্থনায় তখন অনেক মানুষের ভীড় ছিলো জ্বলছিলো আলোর শিখা।
এরপর আমরা গেলাম তিব্বোতিয়ান মিউজিয়ামে। চারিদিকের খোলা মেলা পরিবেশ মিউজিয়ামের ভেতরে তিব্বোতীয় সংস্কৃতির নিদর্শন দারুণ লেগেছিলো।
এর পরের গন্তব্য ছিলো গ্যাংটক রোপওয়ে। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যাওয়ার জন্য রেডি কেবল কারে উঠে বসলাম। কেবল কারের চড়ার জন্য টিকেট কেটেছিলাম সম্ভবত ১২০ রুপি দিয়ে। এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে যেতে সময় লেগেছিলো প্রায় ২৫ মিনিট। দারুণ রোমাঞ্চকর যাত্রা ছিলো এই পঁচিশ মিনিট। নিচের সব ঘর বাড়িকে ছোট ছোট লাগছিলো মনে হচ্ছিলো মেঘের পাশ দিয়ে যাচ্ছি। হঠাৎই তীব্র বাতাস শুরু হলে কেবল কার কাঁপতে শুরু করলে খুব ভয় লাগছিলো আবার ভালোও লাগছিলো।
এর পর আমরা কয়েকটি ঝর্ণা দেখেছিলাম তবে শীত কাল থাকায় ঝর্ণায় খুব পানি ছিলোনা। আমরা দেখেছিলাম বাকথাং ঝর্ণা ও বিশাল আকৃতির ঝর্ণা বানজাক্রি ওয়াটার ফলস। বানজাংক্রি ওয়াটার ফলস ঘিরে গড়ে তোলা হয়েছে একটি পূর্ণাঙ্গ পর্যটন স্পষ্ট। বানজাংক্রি ফলস ঘোরাঘুরি করার জন্য হাতে বেশ খানিকটা সময় নিয়ে যেতে হবে। এখানকার কৃত্রিম লেকে বোটিং এর অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত।
আমাদের পরের গন্তব্য ছিলো তাশি ভিউ পয়েন্ট। আকাশ পরিস্কার থাকলে এখানে দাড়িয়েই দেখে নেয়া যায় পুরো গ্যাংটক শহর আর অপরুপ কাঞ্চনজঙ্ঘা। কুয়াশা বেশি থাকায় আমরা কাঞ্চনজঙ্ঘার রুপ ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারিনি। তবে ৫০ রুপির বিনিময়ে সিকিমের ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে ছবি তুলে মুহূর্তটা রঙিন করেছিলাম।
আমরা গ্যাংটকে দেখেছি দুটো বিখ্যাত মন্দির হনুমান টক, ও গণেশ টক। অনেকগুলো সিড়ি পেরিয়ে গণেশ টকের
বারান্দায় যখন দাড়াবেন মন ভরে উঠবে প্রশান্তিতে। নীচের পাহাড় চারিদিকের ঘন সবুজ গাছপালা মাঝে মাঝে শুভ্র পাহাড় সে এক অন্য রকম অনু্ভূতি।
সবশেষে আমরা গিয়েছিলাম প্ল্যান্ট কনজারভেটরিতে। কত বিচিত্র রকমের ফুল আর অর্কিডের সমাহার পৃথিবীতে আছে সেটা এখানে না গেলে জানাই হতোনা। এখানেই রয়েছে বাটারফ্লাই মিউজিয়াম,আর রবি ঠাকুরের লেখায় বার বার ফিরে আসা রডেড্রেনডন ফুলের সমাহার।
আমি সোনিয়া বাংলাদেশি। বাংলায় লিখি গান-কবিতা। ভালোবাসি দেশ বিদেশ ঘুরতে। হতচ্ছাড়া ছন্নছাড়া মন বলে "হেথা নয় হোথা নয় অন্য কোথা অন্য কোন খানে"।
জীবনের বোধ সময় অল্প আনন্দে বাঁচো।
আপনি খুব সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরে এসেছেন।এবং সব গুলোর ফটোগ্রাফি ও করেছেন।আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টের দর্শনীয় ছবিগুলো অনেক সুন্দর। বুঝাই যাচ্ছে লোকেশনটা অনেক সুন্দর। আপনি খুব আন্দদ উপভোগ করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি খুব সুন্দর দর্শনীয় জায়গায় ঘুরে এসেছেন। আপনার তোলা সবগুলো ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর ছিল। জায়গাটা সত্যিই খুব চমৎকার আমার খুবই ভালো লেগেছে। আপনার সময়টা খুব আনন্দেই কেটেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি অত্যন্ত সুন্দর সুন্দর জায়গায় ঘুরে এসেছেন । আপনার ফটোগ্রাফি ছবিগুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য। শুভকামনা আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।