ঘুরে এলাম সাদা পাথরের রাজত্ব থেকে। @ shy-fox ১০% বেনিফিশিয়ারী।
সারা সপ্তাহ ভীষণ কর্মব্যস্ততা গিয়েছে, আজ একটু আয়েশ করে লিখতে বসে গেলাম। গত সপ্তাহে আমরা সপরিবারে ঘুরতে গিয়েছিলাম সিলেটের ভোলাগঞ্জে। সেখানে দেখেছিলাম স্বচ্ছ পানিতে অপরুপ সৌন্দর্যের নানান রঙের পাথর।দারুণ সেই ভোলাগঞ্জ থেকে চলুন আমার সাথে ঘুরে আসবেন, কথা দিচ্ছি ভালো লাগবে নিশ্চিত।
লোকেশন লিঙ্কঃ
https://w3w.co/stomachs.pretzels.passion
সিলেট শহর থেকে ভোলাগঞ্জের দুরত্ব মাত্র ২৯ কিলোমিটার। শহর থেকে ভোলাগঞ্জ যাবার জন্য বেশ কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে যেগুলোর ভাড়া ৬০ থেকে ৮০ টাকা। আমরা গিয়েছিলাম ব্যক্তিগত গাড়িতে, গাড়ি পার্ক করার জন্য বেশ ভালো ব্যবস্থা আছে। সিলেট শহর থেকে ভোলাগঞ্জ যাবার যে রাস্তা তা আপনাকে মুগ্ধ করবে নিশ্চিত। ঝকঝকে রাস্তা আর রাস্তার দুপাশে অবারিত সবুজের সমারোহ মাঝে মাঝে চোখে পড়বে নদী,যাত্রা পথের পুরো সময়টাই ভালো লাগার অনুভূতি তৈরি করবে।
ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর পর্যন্ত পৌছাতে পেরুতে হয় ধলাই নদী। আমরা ভোলাগঞ্জ নেমে সোজা চলে গেলাম ঘাটে, সেখানে সারি বেধে রয়েছে ইন্জিন চালিত নৌকা। ঘাট থেকেই নৌকা রিজার্ভ করে নিলাম। ভাড়া পড়লো আসা যাওয়া মিলিয়ে ৮০০ টাকা। আপনি যখন নৌকা থেকে নামবেন তখন মাঝি আপনাকে তার ফোন নম্বর দিয়ে চলে যাবে আবার ফেরার জন্য ২০ মিনিট আগে ফোন করলে ঘাটে এসে দাড়াবে।
নৌকা ভাড়া নিয়ে যখন ঘাটে দাড়লাম সে সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। দূরে সবুজ পাহাড় ধলাই নদীর স্বচ্ছজলের ধারায় অভিভূত হয়ে গেলাম। ঘাট থেকেই নৌকা কিছুদুর যেতেই বিস্ময়কর লাগলো সবকিছু নদীতে স্বচ্ছ সবুজ জলের ধারা আর তার নীচে ছোট ছোট পাথর এক কথায় অসাধারণ।
নৌকায় সাদা পাথর স্পটে যেতে সময় লেগেছিলো প্রায় আধা ঘন্টা এই পুরো যাত্রা পথটায় যে সৌন্দর্য আপনি উপভোগ করবেন তা মনে থাকবে দীর্ঘদিন। দুরের পাহাড়,সারি বেধে নৌকার বয়ে চলা। শীতের সময় নদীতে পানি কম থাকায় মাঝে মাঝেই নৌকা বেধে যাচ্ছিলো, তখন মাঝি পানিতে নেমে নৌকা ঠেলছিলো। নৌকায় দারুণ সময় কাটিয়ে যখন সাদা পাথর স্পটে পৌছালাম একেবারে চোখ জুড়িয়ে গেলো। মনে হলো স্বপ্নের দেশে এসে পৌছেছি, পুরো এলাকা জুড়ে শুধু ছোটবড় পাথর আর পাথর আর মাঝ দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ পানিতে নানান রঙের পাথর। এমন সৌন্দর্যে দেখে নিজেকে ধরে রাখা কঠিন,তাই দেরি না করেই বরফ শীতল পানিতে নেমে পড়লাম।
পাথুরে পানিতে ঝাঁপাঝাপি করে ক্লান্ত হয়ে গেলে চিন্তার কিছু এখানে রয়েছে বিচ চেয়ার যার ভাড়া পড়বে ৫০ টাকা। আমরা যেহেতু ৬ জন ছিলাম তাই ডাবল চেয়ার ভাড়া নিয়েছিলাম প্রায় ঘন্টা তিনেকের জন্য ভাড়া দিয়েছিলাম ১০০ টাকা। এখানে কাপড় চেন্জ করার ব্যবস্থা আছে তার জন্য আপনাকে খরচ করতে হবে জনপ্রতি ২০ টাকা।
এখানে সময় কাটানোর জন্য দারুণ সব ব্যবস্থা রয়েছে। টিউব ভাড়া নিয়ে নেমে পড়তে পারেন পানিতে,ঘন্টা প্রতি ছোট টিউবের ভাড়া ৫০ টাকা আর বড় টিউবের ভাড়া ১০০ টাকা। এছাড়াও রয়েছে বিশেষ ধরনের বোটিং এর ব্যবস্থা আধা ঘন্টার জন্য এই বিশেষ বোটের ভাড়া ১৫০ টাকা। এরকম দারুণ রোমাঞ্চকর সময় কাটিয়ে রওনা হলাম নতুন গন্তব্যে সে গল্প লিখবো পরের পর্বে।
আমি সোনিয়া বাংলাদেশি, বাংলায় লিখি গান-কবিতা। ভালোবাসি দেশ বিদেশ ঘুরতে। অবসর কাটে গান শুনে বই পড়ে। জীবনের বোধ আনন্দে বাঁচো।
ছবিগুলো যে আমার কাছে এতটাই ভাল লেগেছে একদম চোখ শীতল করার মত। খুবই সুন্দর ছিল আপনার লেখাগুলো এবং ফটোগ্রাফি দারুন এই বটে। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি সিলেট ভ্রমণে গিয়েছিলাম। এবং সাদা পাথর ও দেখা হয়ে গিয়েছে। সত্যি সাদাপাথর জায়গাটি অসাধারণ। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সাদা পাথর সত্যিই ভালো লাগার মতো একটি জায়গা। সাদাপাথর যখন গিয়েছিলাম সেখান থেকে তো আমার আসতেই ইচ্ছা হচ্ছিল না৷ আপনি আপনার পোষ্টের মাধ্যমে খুবই সুন্দর ভাবে সাদা পাথরের প্রাকৃতিক দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন আপু৷ ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার পরিবারকে নিয়ে সিলেট ভোলাগঞ্জ পাথরের রাজত্ব ঘুরাফেরা করেছেন।আমি মনে করি খুব সুন্দর একটি আনন্দময় মুহূর্ত কাটিয়েছেন আপনার পরিবারকে নিয়ে। তার কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এ জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু।
ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রফেশনাল ফটোগ্রাফারের মতো আপনার কাছ থেকে কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়েছি। আমার ভীষণ ভালো লেগেছে যে আপনি এত সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। তার সাথে আপনার এই ভ্রমণের বিস্তারিত তুলে ধরেছেন খুব সুন্দর করে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে, এবং সব সময় ভালো কিছু শেয়ার করবেন আমাদের উদ্দেশ্যে এই আশা রাখি। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন সব সময় এই কামনাই থাকবে আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সিলেটে এখন পর্যন্ত ঘুরতে যাওয়া হয়নি কিন্তু আমার খুবই সখ সেখানে ঘুরতে যাওয়ার। আপনি সাদা পাথরের সৌন্দর্য তা আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। খুবই ভাল লেগেছে আমারও এই দৃশ্যটি স্বচক্ষে উপভোগ করার খুবই শখ। ইনশাল্লাহ একদিন এই সুন্দর জায়গাটা উপভোগ করার চেষ্টা করবো ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সাদা পাথরের অঞ্চল দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম আপু। আমার কাছে এগুলো খুবই ভালো লেগেছে। আমারও খুব ইচ্ছে সিলেটের এই সাদা পাথরের এলাকাতে আমি ঘুরে আসার।ধন্যবাদ আপু আপনাদের এই মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
আপনি একজন ভ্রমণপিপাসু মানুষ। সেটা আপনার পোস্ট গুলো দেখলে বোঝা যায়। এরমধ্যে আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর ট্রাভেল পোস্ট করেছেন। ধন্যবাদ আমাদের সাথে এগুলো শেয়ার করার জন্য। আজকের ভ্রমণের পোস্ট টা দারুণ ছিল। অসাধারণ একটি জায়গা। এবং ছবিগুলো দারুণ তুলেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
অসম্ভব সুন্দর লেগেছে আমার কাছে এই জায়গাটি। ইচ্ছে করতেছে এখনই বাড়ি থেকে বের হয়ে ওইখানে চলে যাই। পোস্টটি দেখে অসম্ভব ভাল লেগেছে আমার কাছে। কয়েকমাসের মধ্যেই যেতে হবে দেখতেছি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু। এতো অসম্ভব সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকেও। আপনাদের উৎসাহ আমাকে অনুপ্রানিত করে লিখতে।
ভোলাগঞ্জ এ আমি কখনো যায়নি তবে এই জায়গাটিতে এত সুন্দর দৃশ্য রয়েছে তা আমার আগে জানা ছিল না । আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে সত্যিই এগুলো উপলব্ধি করতে পারলাম। আমরা যদি এবার কখনো শিক্ষা ভ্রমণে যাই তাহলে অবশ্যই এই জায়গাটি আমাদের লিস্টে থাকবে সত্যি জায়গাটি চমৎকার বিশেষ করে পাথর গুলো দেখতে সবচেয়ে ভালো লাগছিল। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এমন সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
সিলেটে কয়েকবার যাওয়া হলেও ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর কখনো দেখিনি। সত্যি বলতে কি দেখার ইচ্ছেও করেনি কেননা আগে জানা ছিল না জায়গাটা এত সুন্দর। আপনার পোস্টটি সত্যি অনেক সুন্দর হয়েছে। সবকিছুই বিস্তারিত দেয়ার চেষ্টা করেছেন আপনি। বিশেষ করে কোনটার খরচ কত এগুলো দেয়ার ফলে আমার মনে হয় পরবর্তীতে কেউ ঘুরতে গেলে তাদের জন্য অনেক উপকারী হবে। সেইসঙ্গে ছবিগুলোর কথা না হয় নাই বললাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু পোস্টটি শেয়ার করার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকে।