হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। আমি আছি মোটামুটি,শীতের ঠান্ডা জনিত রোগে কিছুটা কাহিল। কিন্তু বসে থাকার সময় নেই অফিসের ব্যস্ততা পাশাপাশি বাসা ম্যানেজ। সব নিয়ে আছি মোটামুটি। বাজারে নানান ধরনের শীতের সব্জি উঠেছে এর মধ্যে আমার খুব পছন্দের সব্জি হচ্ছে ফুলকপি। কত রকম খাবার যে এই ফুলকপি দিয়ে তৈরি করি তা গুনে শেষ করা মুশকিল। আজ তৈরি করছি আমার খুব পছন্দের একটা খাবার আস্ত ফুলকপির রোষ্ট। পোলাও দিয়ে খেতে অসাধারণ এই ফুল কপির রোষ্ট। এক প্লেট গরম ভাত ও অনায়াসে খেয়ে উঠতে পারবেন এই ফুলকপির রোষ্ট দিয়ে।
দারুণ স্বাদের এই ফুলকপির রোষ্ট বানাতে খুব বেশি সময় লাগেনা। চলুন দেখে নেই কি কি উপকরণ লাগছে।
উপকরণ | পরিমান |
আস্ত ফুলকপি | ১টা |
আদা বাটা | ১চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
পেঁয়াজ বাটা | ২ চা চামচ |
জৈত্রিক,পোস্তদানা বাটা | ১ চা চামচ |
কাচা জিরা বাটা | আধা চা চামচ |
টক দই | আধা কাপ |
লেবু | ১ পিস |
চিনি | ২ চা চমচ |
লবণ | পরিমান মত |
কাচা মরিচ বাটা | ৪ টা |
তেল | ৩ টেবিল চামচ |
বেরেস্তা | পরিমান মত |
কিশমিশ | ৬ টা |
ধনে গুড়া | আধা চা চামচ |
এলাচ | ৪ টা |
দারুচিনি | ২ টুকরো |
তেজপাতা | ২ টা |
প্রস্তত প্রণালিঃ
প্রথম ধাপঃ
প্রথমে আস্ত ফুলকপির ডাটাগুলো কেটে ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর একটা বলে বেশ খানিকটা পানি ও একটু লবন দিয়ে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ফুল কপিতে অনেক সময় পোকা থাকে তাই লবন দিয়ে ভিজিয়ে রাখলে পোকা বের হয়ে যাবে।
দ্বিতীয় ধাপঃ
এরপর একটা পাত্রে পানি দিয়ে ফুটাতে হবে। ওই ফুটন্ত পানিতে আগে থেকে ধুয়ে রাখা ফুলকপি ও সামান্য পরিমান লবন দিতে হবে। সাথে দিয়ে দিতে হবে কয়েক ফোটা লেবুর রস। লেবুর রস দিলে সিদ্ধ হবার সময় ফুলকপির রং নষ্ট হবে। এর পাঁচ মিনিট চুলায় রেখে একটা জালিতে ঢেলে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
তৃতীয় ধাপঃ
এবারে জৈত্রিক,পোস্তদানা,কাঁচা জিরা ও কাঁচা মরিচ একসাথে বেটে নিতে হবে। একটা পাত্রে তেল দিতে হবে। তেল গরম হলে তাতে প্রথমে এলাচ, দারুচিনি দিয়ে একটু ভেজে নিয়ে তার মধ্যে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা,রসুনবাটা, কাঁচা মরিচ, জৈত্রিক ও পোস্তদানা বাটা দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে।সাথে দিয়ে দিতে হবে পরিমান মত লবন ও ধনেগুঁড়া ও তেজপাতা।
চতুর্থ ধাপঃ
মসলাগুলি ভালো ভাবে ভেজে নিয়ে তাতে টক দই দিয়ে কসিয়ে নিতে।
পঞ্চম ধাপঃ
দই আর মসলা একসাথে মিশে ফুটে উঠলে তার ভেতরে সিদ্ধ করে রাখা ফুলকপি ছেড়ে দিতে হবে এরপর ১০ মিনিট রান্না করতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপঃ
দশ মিনিট রান্না করার পর পানি প্রায় শুকিয়ে গেলে দিয়ে দিতে হবে লেবুর রস, পরিমান মত চিনি ও কাঁচা মরিচ। এরপর নামিয়ে নেবার আগে দিতে হবে ভেজে রাখা বেরেস্তা। এভাবেই তৈরী হয়ে গেলো মজাদার ফুল কপির রোষ্ট।
আমি সোনিয়া। ভালোবাসি গান, কবিতা লিখতে। আবৃত্তি আমার নেশা। পেশাগত জীবনের সাথে লেখার সম্পর্ক নিবিড়। আর তাইতো ভালো লাগা থেকে যুক্ত হয়েছি আমার বাংলা ব্লগে।
এটি দেখতে খুব সুস্বাদু, ফুলকপি যদি রাতে উপভোগ করা যায় তবে উপযুক্ত😋😋
ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন স্বাদের ফুলকপির রোস্ট শুনে একটা সুগন্ধ চলে আসলো নাকের মধ্যে। অনেক সুন্দর হয়েছে আপু আপনার রেসিপি। প্রত্যেকটা ধাপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি একদিন ট্রাই করবো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে ও।
ফুলকপির রোস্ট নামটি অনেক ইউনিক লাগছে রেসিপি। রেসিপিটি ও ইউনিক । ঘরে ছবিটি দেখতে বেশ অসাধারণ লাগছে মনে হচ্ছে খেতেও মজা হয়েছে। এরকম রেসিপি দেখলে খেতে মন চায়। রেসিপি করা প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আমাদের মত এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আসলে আজকে অনেক ভালো একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। দারুন সাথে ফুলকপির রোস্ট আমি ফুলকপির রোস্ট কখনো খাইনাই। আপনি প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আমর অনেক ভালোলাগলো। প্রতিটি ধাপে একদম সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরেছেন। যা ইচ্ছা করলে তৈরি করতে পারব। আপনার জন্য শুভকামনা রইল। আপনার রান্না রেসিপি টা আমার অনেক ভালো লেগেছে।
আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম এটি বিরিয়ানি। পরে দেখলাম এটি ফুলকপি রোস্ট। ফুলকপির রোস্ট আমি আগে কখনো খাইনি। মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজাদার। আমি অবশ্যই একই বাসায় বানানোর ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।এবং আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনে হলো নতুন কিছু দেখলাম, এতো দাম দিয়ে খামাখা কেন মুরগির রোষ্ট করতে যাবো, আপনার এই আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে ফুলকপির রোষ্ট দিয়ে কাজ চালিয়ে নেব এখন হতে, হা হা হা হা।
ধারুন আইডিয়া, যদিও এর আগে এই রেসিপিটি আমি দেখি নাই কিন্তু সত্যি বলছি একটা আকর্ষনবোধ করছি স্বাদটা চেক করার জন্য। ধন্যবাদ
ঠিকমতো বানাতে পারলে মুরগীর রোস্ট ফেল করবে। ধন্যবাদ আপনাকে।