শিমুলের রঙে রাঙানো একদিন। @ shy-fox ১০% বেনিফিসিয়ারী।
আজ আমি আপনাদের দারুণ একটা জায়গা থেকে ঘুরিয়ে আনবো। যেখানে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে দেখা মিলবে রাঙ্গা শিমুলের। স্বচ্ছ নীল আকাশে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলোতে যখন রঙের আভা তখন মন ভালো না হয়ে কোন উপায় নাই। চলুন ঘুরে আসি সুনামগঞ্জের বিখ্যাত শিমুল বাগান থেকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও দারুণ সুন্দর এ শিমুল বাগানে যেতে হলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বাজারে। আমরা গিয়েছিলাম সিলেট শহর থেকে নিজস্ব পরিবহনে সময় লেগেছিলো সুনামগঞ্জ পর্যন্ত আড়াই ঘন্টা, কারণ আমরা যাত্রা পথে পেয়েছিলাম সালামপুরের সূর্যমুখি বাগান। অপরুপ সূর্যমুখির ডাক উপেক্ষা করতে পারিনি তাই বেশ কিছুটা সময় কাটিয়েছি সূর্যমুখির বাগানে।
আমরা যখন তাহিরপুর বাজারে পৌঁছালাম তখন বেলা ১২ টা বাজে। বাজার থেকে অল্প দুরেই জাদু কাটা নদী, সেই নদী পেরিয়েই যেতে হবে শিমুল বাগানে। বাজার থেকে আমরা মোটরসাইকেল ঠিক করলাম তিনটি স্পট শিমুল বাগান, নিলাদ্রি লেক,বারিক টিলা দেখার জন্য। মোটর সাইকেলে ভাড়া গুনতে হলো ৮০০ টাকা। এক মোটর সাইকেলে চালক ছাড়াও দুজন বসতে পারবেন ।মোটর সাইকেলে নদীর পাড় পর্যন্ত গিয়ে নৌকায় আমরা ও মোটর সাইকেল পার হলাম। এখানে প্রতি মোটরসাইকেল পারাপারের খরচ ২০ টাকা। দারুন সুন্দর জাদু কাটা নদী পেরিয়ে শিমুল বাগান যেতে সময় লাগলো আধা ঘন্টার মত।
এবড়োথেবড়ো মাটির রাস্তায়, ভয়ঙ্কর ঝাঁকুনি খেয়ে যখন শিমুল বাগান পৌছালাম নিমিষেই চোখ জুড়িয়ে গেলো।২০ টাকার টিকেট কেটে ঢুকে পড়লাম জয়নাল আবেদিন শিমুল বাগানে। এর আগে কখনো একসাথে শিমুল ফুল দেখিনি, বাগানের যেদিকেই তাকাই শুধু ফুল আর ফুল।
ঘাসের উপর বিছিয়ে রয়েছে টকটকে শিমুল তাই দিয়ে ভালোবাসার চিন্হ আঁকছেন বাগানের একজন কর্মী সে এক অপরুপ দৃশ্য।
পুরো শিমুল বাগানটাই সৌন্দর্যে ভরপুর। সারি বাধা গাছগুলোতে লাল রঙের আভা হঠাৎ করে বাগানে দাড়িয়ে উপরের দিকে তাকালে একটা অদ্ভুত ভালোলাগার আবেশে মন জুড়িয়ে যাবে। এখানে রয়েছে বিনোদনের নানান ব্যবস্থা আপনি চাইলেই ৫০ টাকা দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো বাগানটাই দেখে নিতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে নাগরদোলা। মাত্র ২০ টাকা খরচ করে নাগরদোলায় চড়ে যখন উপরে উঠবেন তখন নিচের বাগান দারুণ লাগবে। মনে হবে রঙের খেলা দেখছেন।রাঙা পলাশের সৌন্দর্য চোখে লেগে থাক পরের পর্বে লিখবো আরেক সৌন্দর্যের গল্প।
পুরো শিমুল বাগানটাই সৌন্দর্যে ভরপুর। সারি বাধা গাছগুলোতে লাল রঙের আভা হঠাৎ করে বাগানে দাড়িয়ে উপরের দিকে তাকালে একটা অদ্ভুত ভালোলাগার আবেশে মন জুড়িয়ে যাবে। এখানে রয়েছে বিনোদনের নানান ব্যবস্থা আপনি চাইলেই ৫০ টাকা দিয়ে ঘোড়ার পিঠে চড়ে পুরো বাগানটাই দেখে নিতে পারবেন। এছাড়াও রয়েছে নাগরদোলা। মাত্র ২০ টাকা খরচ করে নাগরদোলায় চড়ে যখন উপরে উঠবেন তখন নিচের বাগান দারুণ লাগবে। মনে হবে রঙের খেলা দেখছেন।রাঙা পলাশের সৌন্দর্য চোখে লেগে থাক পরের পর্বে লিখবো আরেক সৌন্দর্যের গল্প।
আমি বাংলাদেশি,বাংলায় লিখি গান-কবিতা। ভালোবাসি
দেশ বিদেশ ঘুরতে। অবসর কাটে গান শুনে, বই পড়ে। প্রিয় সময় পোষা পাখির সাথে কাটানো সময়। জীবনের বোধ আনন্দে বাঁচো।
শিমুলের রাজ্যে সময় কাটিয়েছেন দেখে খুবই ভাল লেগেছে। শিমুল গাছের ছবিগুলো দেখতে খুবই চমৎকার দেখাচ্ছে। ছবিগুলো খুব মন কেটেছে আমার। ছবিগুলো দেখে ইচ্ছে করতেছে আমি নিজেও এখান থেকে ঘুরে আসতে। এত অসাধারন একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
খুব ভালো শিমুলের গাছ গুলো দেখে ৷আর আপনি খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন৷ আপনি সূর্যমুখী ফুলের বাগানে গেছেন নদী পাড় হয়ে তারপর সেই গন্তব্য জায়গায় গিয়েছেন আবার ঘোড়া টা দেখে খুব ভালো লাগলো ৷ আপনার জন্য শুভকামনা ভাই
ধন্যবাদ আপনাকে।
এইটা একদম সত্য কথা যে সারি সারি শিমুল গাছ আবার সঙ্গে শিমুল ফুল ফুটেছে ,ব্যাপারটা আমি কল্পনা করছি । আসলেও সুন্দর। ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু,অসাধারণ একটি জায়গা।আমি পূর্বেই এই শিমুল গাছের জায়গাটা দেখেছি রুপক ভাইয়ার একটি পোস্টে।আর আপনিও খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে এই জায়গাটা শেয়ার করেছেন। আমার তো খুব ইচ্ছে এই জায়গাটায় ঘুরে আসি।খুব ভালো লাগলো আজকের এই পোস্ট পড়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুন্দর একটি জায়গা। এই জায়গাটাই আমি যায় নাই তবে ইচ্ছা আছে শিমুল গাছের রাজ্য থেকে ঘুরে আসার ।আপনি খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। যা দেখে খুবই ভালো লাগছে ।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
শিমুল ফুলের রাজ্যে খুবই সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনি অতিবাহিত করেছেন আপু। shimul-ful আমার কাছে অনেক ভালো লাগে কিন্তু এখন আমাদের এলাকাতেই ততটা শিমুল ফুল দেখতে পাওয়া যায় না। এই ফলটি আমাদের দেশে এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে চলে গেছে। আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে শিমুল ফুলের দৃশ্য গুলো পুনরায় আবার দেখার সুযোগ পেলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।