ঘুরে এলাম গ্যাংটকের দর্শনীয় স্থান থেকে। @ shy-fox ১০% বেনিফিসিয়ারী।

in আমার বাংলা ব্লগ3 years ago

হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই নিশ্চই ভালো? আমি ও ভালো আছি।


যারা কর্মজীবী মানুষ সপ্তাহের মাঝ খানে এসে নিশ্চয়ই ক্লান্তি ভর করে, আমার তো ভীষণ রকম ক্লান্ত লাগে। এই ক্লান্তি দূর করতে আমি তখন খুুুঁজে ফিরি ছবির এ্যালবাম আর স্মৃতি হাতরে দেখে নেই ঘুরে আসা সুন্দর জায়গা গুলো। এখন যেহেতু সারা পৃথিবীতে করোনা বাড়ছে তাই দেশের বাইরে যাবার সুযোগ খুব একটা নেই, এজন্যই আগের ঘুরে আসা গ্যাংটকের দর্শনীয় স্থান আপনাদের কাছে তুলে ধরছি,ভালো লাগবে নিশ্চিত।

received_687275736042878.jpeg

লোকেশন লিঙ্কঃ

https://w3w.co/snaps.intelligible.newer

আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ চা বাগান উঁচু পাহাড় বেয়ে পৌঁছে যেতে পারেন ছবির মতো ঝকঝকে সুন্দর আর পরিচ্ছন্ন শহর সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকে। যদিও যাত্রাটা অনেক দীর্ঘ কিন্তু সেখানে পৌঁছার পর যে অনাবিল প্রশান্তিতে মন ভরে উঠবে তা মনে থাকবে দীর্ঘদিন।

FB_IMG_1642592274903.jpg

আমরা গ্যাংটক গিয়েছিলাম প্রায় বছর দুয়েক আগে। ঢাকা থেকে শ্যামলী পরিবহনের বাসে করে সোজা শিলিগুড়ি বাস ভাড়া পড়েছিলো ১৫০০ টাকা। আগের দিন রাত ১০ টায় ঢাকা থেকে রওনা হয়ে পরদিন ভোর সাড়ে ৫ টায় পৌঁছেছিলাম বুড়ীমারীতে। এরপর সকাল ৯ টায় বর্ডার পেরিয়ে শিলিগুড়ি পৌছাতে বেজে গিয়েছিলো দুপুর দেড়টা। সিকিম যেতে বাংলাদেশীদের জন্য আলাদা পারমিশন নিতে হয় এনটিসি থেকে পারমিশন নিয়ে বেলা ৩ টা নাগাদ বেরিয়ে পড়লাম সিকিমের উদ্দেশ্যে। আমরা সিকিম পর্যন্ত একটা প্রাইভেট কার ভাড়া নিয়েছিলাম ভাড়া নিয়েছিলো ২৩০০ রুপি। তবে আপনারা চাইলে শেয়ার জিপে অথবা বাসেও করে যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ২০০ থেকে ২৫০ রুপি। শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যাবার পুরো পথটাই স্বপ্নের মত। রাস্তার পাশের চাবাগান পাথুরে নদী আঁকাবাকা পাহাড়ি পথ সবই মনে রাখার মত।

received_466696351840131.jpeg

received_646803713110448.jpeg

শিলিগুড়ি থেকে গ্যাংটক যেতে সময় লাগে প্রায় ৫ ঘন্টা। এই দীর্ঘ পথ মোটেই ক্লান্তিকর চারিদিকে পাহাড়, ঘণ সবুজ বন মাঝে মাঝে আমরা থামছিলাম ছবি তোলার জন্য। মাঝ খানে ধাবায় নেমে খেয়ে নিলাম গরম সুপি নুডুলস আর দার্জিলিং চা। সমতল থেকে গাড়ী যতই উপরে উঠছিল ততই বিস্ময় বাড়ছিলো। মাঝ রাস্তায় নেমে কিনে নিলাম টাটকা কমলা আর কটন চিজ।

received_991708145028093.jpeg

received_349301657028034.jpeg


received_2981733562091907.jpeg

আমরা যখন গ্যাংটক শহরে পৌছালাম তখন পাহাড় জুড়ে যেন জোনাক পোকার ভীড়, রাত বেজে গেলো আটটা। দূর পাহাড়ের গায়ের বাড়ি গুলোতে আলো জ্বলছে সে সৌন্দর্য ভাষায় বর্ণনা করার মত নয়। আগে থেকে ঠিক করে রাখা হোটেলে উঠে পড়লাম। হোটেল টা ছিলো এমজি মার্গের কাছে। যারা গ্যাংটক যাবেন তারা অবশ্যই চেষ্টা করবেন এমজি মার্গের কাছে থাকতে কারণ রাতের এমজি মার্গ একেবারে আলো ঝলমলে।

FB_IMG_1642604384007.jpg

হোটেলে পৌঁছে ব্যাগ রেখে ফ্রেশ হয়ে ছুটলাম এমজি মার্গে। চারিদিকে হৈচৈ মানুষ জনের আনাগোনা আর ভ্রাম্যমান গাড়িতে খাবারের ব্যবস্থা সব মিলিয়ে অসাধারণ। জায়গায় জায়গায় জটলা করে মানুষ আড্ডা দিচ্ছে ধোয়া ওঠা গরম মমো আর চা খেয়ে ছুটলাম ট্রাভেল এজেন্ট অফিসে। এমজি মার্গের ট্রাভেল এজেন্টের অফিস খোলা থাকে রাত দশটা পর্যন্ত। পরদিন সকালে গ্যাংটক সিটি ট্যুরের জন্য গাড়ি ঠিক করলাম ১৫০০ রুপিতে। এই টাকায় শহরের ভেতরে ৭ থেকে ১০ টা স্পট ঘুরিয়ে দেখাবে ড্রাইভার কাম গাইড। এরপর রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে গিয়ে লম্বা ঘুম। আগামী পর্বে লিখবো গ্যাংটকের লোকাল টুরিস্ট স্পট নিয়ে।

আমি সোনিয়া বাংলাদেশি। বাংলায় লিখি গান-কবিতা। ভালোবাসি দেশ বিদেশ ঘুরতে। জীবনের বোধ আনন্দে বাঁচো।

Sort:  
 3 years ago 

আপু আপনার গ্যাংটক ভ্রমন যে ভালো হয়েছে তা ছবিগুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে । পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে ভ্রমন করতে আমার খুবই ভালো লাগে । ছবিগুলোও খুব দারুন হয়েছে । খুব সুন্দর করে গুছিয়ে বর্ণনা দিয়েছেন সবকিছুর যা নতুন ভ্রমনকারীদের জন্য গাইডলাইন হয়ে থাকবে । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে গ্যাংটক শহর আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে। পরের পর্বে সব দর্শনীয় স্থানগুলোর ছবি সহ বর্ণনা করেছি ভালো লাগবে নিশ্চিত।

 3 years ago 

খুব সুন্দর ছিল আপনার উপস্থাপনা। আর ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারন ছিল। সবকিছু বেশ ভালোভাবেই তুলে ধরেছেন আপনার এই পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানার আছে যদি। কেউ কখনো পরবর্তীতে সেখানে যায় আপনার এই পোষ্ট পড়লে অনেকটাই ধারণা পাবে।

 3 years ago 

ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.12
JST 0.026
BTC 56787.81
ETH 2507.96
USDT 1.00
SBD 2.24