নান্দনিক সৌন্দর্যে ভরপুর ধানমন্ডি লেক। @ shy-fox ১০% বেনিফিসিয়ারী।
হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই, নিশ্চই ভালো। আমি ও বেশ ভালো আছি।
কংক্রিটের এই নগরীতে দম ফেলার ফুরসত নেই মানুষের। তবুও মানুষ খুঁজে ফেরে একটু প্রশান্তি, খানিকটা বিনোদন। সারা সপ্তাহের ব্যস্ততার ক্লান্তি দুর করতে সেদিন গিয়েছিলাম রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি লেকে। লেকের সবুজ জলরাশি, কৃত্রিম ফোয়ারা আর বোটিং সব মিলিয়ে প্রশান্তিতে ভরে উঠেছিলো মনটা। চলুন আমার সাথে সাথে আপনারাও ঘুরে আসবেন ধানমন্ডি লেক থেকে।
ধানমন্ডি লেক ঢাকার ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় অবস্থিত একটি লেক। ১৯৫৬ সালে ২৪০.৭৪ হেক্টর জমিতে ধানমন্ডি লেকের আশপাশের এলাকাকে আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলা হয়, সেই উন্নয়ন প্রকল্পে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকার ১৬% লেকের জন্য বরাদ্ধ রাখা হয়েছিল। এই লেকের দৈর্ঘ ৩ কিলোমিটার। ধানমন্ডি ২ নম্বর থেকে ২৭ নম্বর পর্যন্ত এই লেক বিস্তৃত। এই লেকের বিভিন্ন অংশের রয়েছে বিভিন্ন নাম যেমন মেডিনোভা চত্বর, জিয়া চত্বর, শুটিং পয়েন্ট,জাহাজ বাড়ি চত্বর,দ্বীপ চত্বর, ব্যাচেলার পয়েন্ট, লেকপাড় গোল চত্বর,বঙ্গবন্ধু চত্বর, শেখ রাসেল চত্বর, বটতলা ইত্যাদি। এই লেকে প্রবেশ করতে কোন টিকেটের দরকার হয়না।
ঢাকা শহরের যে কোন প্রান্ত থেকেই যাওয়া যায় ধানমন্ডি লেকে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ ভীড় করে সকাল বিকেল দু'বেলাই। এখানে রয়েছে খেলার মাঠ যেখানে নানা বয়সী মানুষ মেতে ওঠেন ফুটবল, ক্রিকেট,ব্যাডমিন্টন খেলায়।
লোকেশন লিঙ্কঃ
https://w3w.co/mixes.highbrow.unrealistic
পুরো পার্ক জুড়েই রয়েছে ওয়াকওয়ে। জায়গায় জায়গায় দর্শনার্থীদের বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ। এছাড়াও লেকের ওপর আছে ভাসমান ধরণের দৃষ্টিনন্দন বসার জায়গা।
লেকের পুরো সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলে দাড়াতে হবে ব্রীজের ওপরে। চারপাশের গাছপালা, কৃত্রিম ফোয়ারা সবই মুগ্ধ করবে আপনাকে। পুরো লেক জুড়ে রয়েছে ছোট বড় অনেকগুলো ব্রীজ। এই ব্রীজের ওপর দাড়িয়ে পাখির চোখে দেখে নিতে পুরো লেক।
পার্কে হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে পড়লে বসে পড়তে পারেন রেষ্টুরেন্টে এ। খোলা জায়গায় যেমন খাবারের ব্যবস্থা আছে তেমনি আছে অভিজাত রেস্তোরাঁ। এছাড়াও ভ্রাম্যমান
খাবারের দোকানে যেখানে পাবেন নানান রকম ফল ভুট্টা চটপটি।
খোলামেলা পরিবেশ আর সবুজ প্রকৃতিতে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে ধানমন্ডি লেক অনন্য। লেকের একপাশে রয়েছে উন্মুক্ত মঞ্চ যেখানে সারা বছর জুড়েই থাকে নানান রকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।ধানমন্ডি লেক ঘুরে এসে জানাতে ভুলবেন না কেমন লাগলো। আজকের মত এটুকুই পরবর্তীতে ঘুরে আসবো অন্য কোন খানে।
আমি সোনিয়া বাংলাদেশি, বাংলায় লিখি গান-কবিতা। ভালোবাসি দেশ বিদেশ ঘুরতে। অবসর কাটে বই পড়ে গান শুনে। জীবনের বোধ আনন্দে বাঁচো, হাত বাড়িয়ে দাও অসহায় মানুষের দিকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধানমন্ডি লেকটা আমার কাছেও ভাল লেগেছে। তবে অনেক আগে গিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে আরো সুন্দর হয়েছে। আপু আপনার ছবিগুলো অসাধারণ হয়েছে। ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকেও।
একবার যাওয়া হইছিল, ধানমন্ডি লেক খুবই সুন্দর। আপনার ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আবার দেখে নিলাম। আপনার ফটোগ্রাফি অনেক ভালো ছিল।সব মিলিয়ে ভালো একটি দিন কাটিয়েছেন, শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
ধন্যবাদ আপনাকেও।
সৌন্দর্যে ভরপুর ধানমন্ডি লেক সহ মত পোষণ করছি।।
আমার ও জায়গাটা খুব ভালো লাগে।।
সময় পেলেই বিকাল টা কাটানোর চেষ্টা করি।।
দারুণ ফটোগ্রাফি করে আরো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।।
শুভেচ্ছা রইল।।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধানমন্ডির চারপাশের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। বিকেলে উপভোগ করার মতো জায়গা। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এতো সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করার সাথে সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আমি নিজেও ধানমন্ডি লেকে অনেক গিয়েছি।আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।আপনি খুব সুন্দর করে সব কিছুর বর্ণনা করেছেন।সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি তুলেছেন।শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপু আপনি তো ধানমন্ডি লেকের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আমি তো দেখে একদম অবাক। আমার এখনই ঘুরতে চলে যেতে ইচ্ছে করছে। এটা কিন্তু ঠিকই বলেছেন খোলামেলা জায়গায় সময় কাটাতে হলে ধানমন্ডি লেক কিন্তু অন্যতম। ভুট্টার দোকানটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। এত অসাধারন কিছু সৌন্দর্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে।