আমার নতুন মোবাইল কেনার আনন্দের কিছু মুহুর্ত তুলে ধরবো।
আসসালামু আলাইকুম
বাংলাদেশ থেকে আমি @sojib1996
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আজ আমি ২৩-০৮-২০২৪ তারিখে একটি সুন্দর ব্লগ করব। আশা করি সবাই শুনতে পাশে থাকবেন।
ব্লগটি মূলত আমার মোবাইল নিয়ে। আমি একটা নতুন মোবাইল কিনতে যাচ্ছি। আমার চাচাতো ভাই আগের মোবাইলটা পানিতে ফেলে নষ্ট করে দিয়েছে। তাই আমি কিছু সময়ের জন্য স্টিমিট থেকে দূরে ছিলাম। সঠিক সময়ে ছবি তুলতে পারিনি।
সেদিন ছিল শুক্রবার। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা করে নিলাম, তারপর ক্রিকেট খেলতে মাঠে চলে আসলাম । যদিও মোবাইল ফোন না থাকায় ছবি তুলতে পারিনি। খেলা শেষে নদীতে স্নান করে বাড়ি ফিরে আসি। তারপর ফ্রেশ হয়ে জুমার নামাজের জন্য রওনা দিলাম। নামাজ শেষ করে বাসায় আসলাম। দুপুরের খাবার খেয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে অফিসের সহকর্মীকে নিয়ে বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে আসলাম । বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় শপিং কমপ্লেক্স। দিনটি শুক্রবার হলেও শপিং কমপ্লেক্সে সেদিন ছিল প্রচুর ভিড়।
যাইহোক, আমি ইতিমধ্যেই ওয়ান প্লাস মোবাইল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বাজেট অনুযায়ী এই মোবাইলটি আমার কাছে ভালো হবে আসা বাদী ছিলাম । আমরা বেসমেন্ট-0১ এ আসি। যেহেতু মোবাইল মার্কেট বেসমেন্ট-০১ এ রয়েছে। অন্যান্য শোরুমের থেকে মোবাইল মার্কেটে ভিড় ছিল বেশি। আমি ভিড়ের মধ্যে ওয়ান প্লাস শো রুম খুঁজতে থাকি , কিছুক্ষণ পর শোরুমটি খুঁজে পেয়ে আমার পছন্দ সেটটি হাতে নিয়ে দেখতে থাকি । ওয়ান প্লাস আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো সেট তৈরি করেছে। সেটটির মডেল হল One Plus nord n 30 se। আনুষ্ঠানিকভাবে সেটটির দাম ১৫৯৯৯ টাকা। মোবাইল কিনেই আমি ছবি তুলে নিলাম। এটা আমার নতুন মোবাইলের প্রথম ছবি।
তিনি আমার অফিসের সহকর্মী, শহীদ ভাই। তিনি খুব ভালো মনের মানুষ। তাকে ধন্যবাদ, আমি আজ তার মাধ্যমেই স্টিমিট সম্পর্কে জানতে পেরেছি. তিনি আমাকে সব বিষয়ে ছোট ভাইয়ের মতো তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন। তার সাথে সুন্দর একটি ছবি তুলে নিলাম।
ওয়ান প্লাস শোরুমে মোবাইল কিনতে এসেছেন অনেকেই। যদিও আগে গ্রিন লাইন ইস্যুর একটি সমস্যা ছিল। এখন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে 3 বছরের ডিসপ্লে গ্যারান্টি দিচ্ছে।
আমি আর আমার বড় ভাই উপরে উঠে আসলাম । এসে নিচের দিকে তাকিয়ে ছবি তুললাম। উপর থেকে নিচ তলায় একটা মেয়ের মাথার শিল্প দেখা যায়। ছবিটা দেখলেই বুজা যাবে।
এইভাবে আমরা প্রতিটি তলায় ঘুরতে থাকি। নিচ থেকে উপরের দিকে ছবি তুলি, মনে হচ্ছে রঙিন পৃথিবীর কোনো অংশ। যদিও ছবিটি রাতে তোলা। অনেক ঘোরাঘুরির পর অবশেষে রাত ৮টার দিকে মার্কেট থেকে বের হলাম।
বের হয়ে সুন্দর রাতের লাইটিং দেখে মনোমুগধ হয়ে গেলাম । এখানে অনেকেই রাতে বসে আড্ডায় জমে থাকে । সব ছবি আমার নতুন মোবাইল থেকে তোলা। মোবাইলের রাতের ছবি তেমন খারাপ লাগে না। দাম অনুযায়ী মোবাইলের সব কিছু ঠিক আছে।
মার্কেট থেকে বসে করে চোলে আসলাম আমাদের জুরাইনে। জুরাইনে ভালো স্যুপে পাওয়া যায়। আমি প্রায় 13 বছর ধরে এই দোকান থেকে স্যুপ খাচ্ছি। এই রেস্তোরাঁয় সুপ খেতে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন। সুপটি ভালো বলে দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন এইখানে খেতে আসে । আমাদের মধ্যে 2 জন 2 বাটি স্যুপের অর্ডার দিয়েছি , নির্ধারিত সময়ের পর স্যুপ খেতে শুরু করলাম। খাওয়া শেষ করে ভাইকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসলাম । বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার খাই, তারপর স্টিমিটে অংশগ্রহণ করি। কিছুক্ষণ পর ঘুমিয়ে পড়লাম।