রংপুর কালেক্টরেট সুরভি উদ্যান ঘুরে বেড়ানোর কিছু কথা //১০% বেনিফিশিয়ারি @shy-fox

হ্যালো বন্ধুরা

আসসালামু আলাইকুম
আমি @sohag01 বাংলাদেশ


প্রথমেই সবাইকে আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও মহান আল্লাহ তায়ালা অশিস রহমতে ভালো আছি।



  • কালেক্টরেট সুরভি উদ্যান


  • IMG20220111103709.jpg

    আজকে আমি আপনাদের মাঝে রংপুর (কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানে) বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর কিছু সময় তুলে ধরতেছি।আশা করি বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর কিছু কথা ও সময় আপনাদের ভালো লাগবে।

    আজ সোমবার। প্রতিদিনের মতো আজকে আমি ঘুম থেকে ছয়টার দিকে উঠি। ঘুম থেকে উঠার পর আমি ফ্রেশ হয়ে কিছু নাস্তা করে পড়তে বসি। পড়তে পড়তে প্রায় নয়টা বেজে যায়।তাই আমি দেড়ি না করে সকালের খাওয়া করে কলেজ এ যাই।কলেজ থেকে আমি দুইটার দিকে হোস্টেল এ চলে আসি। হোস্টল আসার পর আমি ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া করে একটু বিশ্রাম করার জন্য ঘুমাতে যেতে ধরি। আর তখন ঠিক আমার ফোনে একটি কল আসে।ফোন হাতে নিয়ে দেখি আমার বন্ধু সৈকত কল দিয়েছে।তখন আমি ওর কলটি রিসিভ করি।কলটি রিসিভ করার সঙ্গে সঙ্গে বলে লালবাগ চলে আয়।আমি জিজ্ঞেস করলাম কেন লালবাগ যাব, সে উত্তর এ বলে এসে শুনতে। তাই আর ঘুমনো হলো না।তারপর আমি লালবাগ যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম।আমার হোস্টল থেকে লালবাগ বেশি দুরে না।তাই পায়ে হেঁটে লালবাগ গেলাম।



    [সৈকত এর সাথে লালবাগ]



    IMG20220112145029_01.jpg

    তারপর সৈকত এর সাথে দেখা হলো আমার লালবাগে।তাকে জিজ্ঞেস করলাম কেন ডাকলি আমায় সে আমাকে জানালো রংপুর কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানে ঘুরতে যাওয়ার জন্য। আর ও বললো আমাদের দুজন বন্ধু ওখানে আমাদের জন্য অপেক্ষা করতেছে। তাই আমি আর না যাওয়ার কথা বলি না।তারপর আমি ও সৈকত একটি অটোরিকশায় করে কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানের দিকে রওনা দেই।লালবাগ থেকে সুরভি উদ্যান যেতে ১৫ টাকা করে ভাড়া লাগে। ১৫ মিনিট পর আমরা সুরভি উদ্যানের গেট এ গিয়ে আমাদের অটোরিকশাটি দাড়ালো।তারপর আমি ও সৈকত অটোরিকশা থেকে নামি।নামার পর আমি ভাড়া দিতে চাইলে সৈকত আমাকে ভাড়া দিতে দেয় না তারপর সে অটোরিকশা চালককে ভাড়া দিয়ে বিদায় জানায়।



  • কালেক্টরেট সুরভি উদ্যান গেট


  • IMG20220111103729_01.jpg

    তারপর আমরা কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানের ভিতরে প্রবেশ করলাম।প্রবেশ করার আগে আমি কালেক্টরেট সুরভি উদ্যান গেটের কয়েকটি ছবি তুলি।ভিতরে প্রবেশ করার পর আমি দেখি আমার হাতের দুপাশ দিয়ে দুইটি রাস্তা এবং আমার সামনে একটি রাস্তা রয়েছে। তাই আমি ও সৈকত প্রথমে সেখানে কিছু সময় দাড়ালাম।তারপর সৈকত বাকি দুজন বন্ধু কোন পাশে রয়েছে তাদেরকে ফোন দিয়ে শুনে নেয়।তারপর আমি ও সৈকত হাতের ডান দিকের রাস্তা ধরে আমাদের বাকি দুজন বন্ধুদের সাথে একসাথ হই।তারপর আমরা কিছু সময় বসে গল্প করি।



    [শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি স্তম্ভ ]




    গল্প করার পর আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি স্তম্ভের কাছে গিয়ে দাড়াই।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের একজন স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী নায়ক।তিনি আমাদের এ দেশি স্বাধীনতার পিছনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।আর এই স্মৃতি স্তম্ভটি মুজিব শতবর্ষ ১০০ উপলক্ষে তৈরি করা হয়ে কালেক্টরেট সুরভি উদ্যানে।তখন আমি ও আমার বন্ধুরা মিলে মুজিব রহমানের স্মৃতি স্তম্ভের সাথে কয়েকটি সেলফি তুলি।



    [শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ]



    IMG20220111104316_01.jpg

    তারপর সেখান থেকে আমরা ভাষা শহীদের স্মরণে তৈরি করা আর একটি স্তম্ভ যাই।আর এ স্তম্ভটিতে যাঁরা ভাষার জন্য শহীদ হয়েছে তাদের প্রত্যকের নাম খোদাই করা হয়েছে।তাই আমি সেই স্তম্ভের কয়েকটি ছবি তুলি।তারপর আমরা বন্ধুরা মিলে কিছু সময় নামগুলো পড়তে থাকি কারা কারা আমাদের মায়ের ভাষার জন্য শহীদ হয়েছেন।



    [সুরভি উদ্যান পার্ক]




    IMG20220111110407_01.jpg

    তারপর সেখান থেকে আমরা সুরভি উদ্যানের ভিতরে থাকা পার্কের দিকে যাই।পার্কটি মুলত শিশুদের জন্য হলে ও অনেক সময় বড় মানুষেরা শহরের ব্যাস্ত জীবন থেকে একটু মুক্তির জন্য এখানে ছুটে আসেন তাদের সন্তানদের জন্য।এখানে শিশুদের খেলা করার জন্য অনেক কিছুই রয়েছে।যেমন দোলনা,স্লিপার ইত্যাদি।আর এগুলো দেখে আমার ছোট বেলার কথা মনে পড়ে যায়।কিন্তু ইচ্ছে থাকলেই তো সব কিছু আর সম্ভব পর হয়ে উঠে না।তখন আমার চোখে পড়ে একটি ইট পাথরের তৈরি ছাতা। তাই আমরা সেখানে কিছু সময় বসে ছোট বেলার কথা বলতে লাগলাম বন্ধুরা মিলে।



    [কৃত্রিম দোয়েল পাখি]



    IMG20220111110450_01.jpg


    তারপর আমরা কিছু সময় হাটতে হাটতে চলে আসি একটি দোয়েল পাখির কাছে।তবে দোয়েল পাখিটি কোনো জীবন্ত পাখি না। এটি মানেষের তৈরি করা কৃত্রিম পাখি।তখন আমি দোয়েল পাখির সাথে কয়েকটি ছবি তুলি।দোয়েল পাখি হলো আমাদের দেশের জাতীয় পাখি।এ পাখি বেশির ভাগ গ্রাম অঞ্চলেই দেখা মিলে।



    [কৃত্রিম শাপলা ফুল]



    IMG20220111110430_01.jpg

    তারপর আমি লক্ষ্য করলাম দোয়েল পাখির ঠিক দক্ষিণ পাশেই একটি ইট পাথর দিয়ে তৈরি করা শাপলা ফুল।শাপলা ফুল সাধারণত জলাশয়ে দেখা মিলে।কিন্তু শহরে জলাশয় না থাকায় তেমন শাপলা ফুল দেখা যায়।শাপলা ফুল বাংলাদেশর জাতীয় ফুল।আর তাই এ ফুলটিকে কৃত্রিম ভাবে মানুষের মাঝে তুলে ধরা হয়েছে।



    [বৃদ্ধ মহিলা ও পাখি]



    IMG20220111110744.jpg

    তারপর সেখান থেকে আমরা আর একটু পা বাড়িয়ে দেখতে পাই একটি বৃদ্ধ মহিলা বসে আসে দুইটি ইট পাথরে তৈরি দুইটি পাখির কাছে। দুইটি কি পাখির স্তম্ভ ঠিক আমি বলতে পারতেছি না।তখন আমি বন্ধুদের জিজ্ঞেস করলে তারাও বলে তারা জানে না।তারপর আমি পাখি দুইটি সাথে বৃদ্ধ মহিলাটির ছবি তুলি আমার ফোনে।



    [নাম না জানা স্তম্ভের সাথে ছবি]




    তারপর সুরভি উদ্যান থেকে বাইর হওয়ার পথে দেখি দুপাশে দুইটি কিসের জানি স্তম্ভ।ঠিক আমার তা জানা নেই।তবে স্তম্ভ গুলো ছিলো বিড়াল এর মতো।যাই হোক তখন আমি স্তম্ভ দুইটির সাথে ছবি তুলি।তোলার পর আমরা আর দেরি না করে রংপুর কালেক্টরের সুরভি উদ্যান থেকে বাইরে বেরিয়ে আসি।



    [নাস্তা করার সময়]



    IMG_20220118_015521.jpg

    কালেক্টরের সুরভি উদ্যান থেকে বের হওয়ার পর আমরা একটি হোটেল এ গিয়ে কিছু নাস্তা করি।নাস্তা করার পর আমি ও সৈকত আমাদের বাকি দুই বন্ধুদের বিদায় জানিয়ে সেখান থেকে লালবাগে চলে আসি।আসার পর আমি সৈকতকে বিদায় জানিয়ে হোস্টল এ চলে আসি।



    সবাইকে আবারো আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে আজকের মতো এখানেই শেষ করতেছি। আশা করি বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর কিছু কথা আপনাদের ভালো লেগেছে।সবাই ভালো থাকবেন। নিজের ও পরিবারের খেয়া রাখবেন।ধন্যবাদ সবাইকে আমরা পোস্টটি পড়ে শোনার জন্য।ভুল ত্রুটি হলো আমাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।

    Sort:  
     3 years ago 

    কালেক্টর সুরভি উদ্যানের ভেতরের চিত্র গুলো আপনি খুব সুন্দর ভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছেন এবং গুছিয়ে নিজের সুন্দর মুহুর্ত উপস্থাপন করেছেন।শুভ কামনা রইলো।

    ধন্যবাদ আপনাকে আমাকে উৎসাহীত করার জন্য ❤️❤️🖤

     3 years ago 

    রংপুর সুরভি উদ্যান পার্কে অসাধারণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন দেখতে পেলাম। পার্কের পরিবেশটা অনেক মনোরম ছিল। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল। ঘুরে বেড়ানোর পর খাওয়ার মুহূর্তটা বেশ ভালই এনজয় করেছেন। অনেক ভালো লাগলো। এরকম একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

    ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর ভাবে মন্তব্য করার জন্য।🖤

     3 years ago 

    আপনার পোস্ট অনেক সুন্দর হয়েছে, আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো। তবে আপনি জায়গার নাম যে ভাবে উল্লেখ করেছেন। এভাবে সঠিক না। জায়গার লোকেশন লিংক দিতে হবে। না জানা থাকলে ক্লাস করে জেনে নিবেন।ধন্যবাদ আপনাকে।

    ধন্যবাদ আপু আমার ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য।পরর্বতীতে অবশ্যই আমি জায়গার লোকশন দিব।

    Coin Marketplace

    STEEM 0.16
    TRX 0.16
    JST 0.030
    BTC 58211.91
    ETH 2476.26
    USDT 1.00
    SBD 2.38