বিসিক উদ্যোক্তা মেলা ঘুরে বেড়ানোর কথা //১০% প্রিয় @shy-fox// ১২-০২-২০২২
হ্যালো বন্ধুরা
প্রথমেই সবাইকে আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাই। সবাই কেমন আছেন। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমি ও মহান আল্লাহ তায়ালা রহমতে ভালো আছি।
বিসিক উদ্যোক্তা মেলা
আজকে আবারো আমি আপনাদের মাঝে বিসিক উদ্যোক্তা মেলাভ্রমণ এর কিছু কথা ও ছবি তুলে ধরবো( বিসিক মেলাটি রংপুর টাউন হলের ভিতরে আয়োজন করা হয়েছে) । আশা করি আপনাদের তা ভালো লাগবে।তাহলে চলো বন্ধুরা আমার কিছু কথা জেনে আশা যাকঃ-
- আজ মঙ্গলবার। প্রতিদিনের মতো আমি সকাল বেলা ছয়টার দিকে ঘুম থেকে উঠি। ঘুম থেকে উঠার পর আমি ফ্রেশ হয়ে একটু মাইক্রোবাইলোজি বই নিয়ে পড়তে বসি। পড়ার কিছু সময় পর অর্থাৎ প্রায় আটটার দিকে আমার এক বন্ধু ফোন দিয়ে বলে চলো বন্ধু রংপুর টাউন হলে যাই সেখানে বেসিক মেলা বসেছে।আমি তার কথা শুনে আবার না করতে পারলাম না।কারণ আজকে আমাদের কলেজ বন্ধছিল।তার পর সে ফোনে আমাকে নয়টার দিকে লাল বাগের রেল গেট এর সামনে যেতে বলে তারপর ফোনটি সে কেটে দেয়।আমি আর দেরি না করে ফ্রেশ হয়ে একটু সকালের হালকা খাওয়া করে নেই।নেওয়ার পর আমি ভালো পোশাক পরিধান করে বেড়িয়ে পড়ি লাল বাগ রেলগেট এর ওখানে।
বন্ধুদের সাথে লালবাগ রেল গেট
লালবাগ রেলগেট এ গিয়ে দেখি আমার দুজন বন্ধু আমার জন্য অপেক্ষা করতেছে।তারপর আমি তাদের সাথে কিছু সময় গল্প করতে লাগি। তারপর আমার যে বন্ধু ফোন দিছিল সে চলে আসে।তখন আমরা সবাই মিলে একটি সেলফি আমার ক্যামেরায় আবদ্ধ করি।তারপর সেখান থেকে আমরা একটি অটোরিকশা ভাড়া করে বেসিক মেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি।
লালবাগ থেকে রংপুর টাউন হলে যেতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ মিনিট এর মতো সময় লাগে।আর লালবাগ থেকে রংপুর টাউন অটোরিকশায় করে যেতে প্রতিজনের বাংলাদেশি টাকায় ১০ টাকা করে পড়ে।
বিসিক উদ্যোক্তা মেলা গেট
মেলার গেট বন্ধের সময়
অবশেষে, আমরা বিসিক উদ্যোক্তা মেলা মুল গেট এর সামনে এসে অটোরিকশা থেকে নামি।নামার পর আমি বিসিক মেলার গেটটির কয়েকটি ছবি তুলি তার পাশাপাশি বন্ধুদের সাথে একটি সেলফি তুলি।সেলফি তোলার পর আমরা ভিতরে প্রবেশ করি।ভিতরে প্রবেশ করেই দেখি মেলার ভিতরের গেটটি এখনো বন্ধ করে রাখা হয়েছে।তারপর সেখানে থাকা এক কর্মীকে জিজ্ঞেস করলাম কখন মেলার গেট খুলে দিবে বা মেলা কখন শুরু হবে।তখন তিনি বলেন ১১ টার দিকে মেলা শুরু হবে।
হালকা নাস্তা
পরেটা ডাল ও সবজি
তখন আমরা মেলার স্থান থেকে বাইরে এসে কিছু নাস্তা গ্রহণ করি একটি হোটেল থেকে। হোটেল এ আমরা প্রতিজনে দুইটি করে পরেটা ও তার সাথে ডাল খাওয়া করি।তারপর হোটেল থেকে বের হয়ে আমরা আবার বিসিক মেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। এবার গিয়ে দেখি মেলার ভিতরের গেটটি খুলে দেওয়া হয়েছে এবং মেলা শুরু হয়ে গেছে। গেটে তেমনটা মানুষের সমাগম বুঝা না গেলে ও ভিতরে গিয়ে দেখি অনেক মানুষের সমাগম ঘটেছে মেলায়।তারপর আমরা মেলার চারদিকে প্রথমে ঘুরে দেখি।
ইচ্ছে স্বপ্ন ও সামী ওয়ার্ল্ড
কাচের চুড়ি ও নকশা করা নাম না জানা
ঘুরে দেখতে দেখতে অনেক সময় পাড় হয়ে যায়।সবাই সবাইকে বলতেছি কে কি নিবা রে মেলা থেকে। কিন্তু কেউ কিছু বলে না।সবাই একে অপরের মুখে তাকিয়ে আছে। তখন আমার এক বন্ধু বলে আমি আমার বান্ধবীর জন্য কাচের চুড়ি নিব।তখন তার সাথে সবাই আনন্দ করি।কিরে তুই, কবে থেকে এফেয়ার চলতেছে তোর।এভাবে ওর সাথে সব বন্ধুই আনন্দ করি।তার পর আমরা ওর বান্ধবীর জন্য সবাই মিলে টাকা দিয়ে কয়েক ডর্জন কাচের চুড়ি মেলা থেকে নিয়ে দেই আর আমরা বলি তোর বান্ধবীকে আমাদের কথা বলিস ভাবি হিসাবে আমরা এগুলো পুরুষ্কার দিয়েছি তাকে।
নকশিকাঁথা
কাচের চুড়ি নেওয়ার পর আমরা একটি নকশিকাঁথার বস্ত্রের দোকানে জানাই।সেখানে গিয়ে বিভিন্নধরনের নকশিকাঁথা দেখি।বাংলাদেশ নকশিকাঁথা খুবেই জনপ্রিয়। কিন্তু বর্তমানের আধুনিকতার কাছে মানুষের হাতে তৈরি নকশিকাঁথা দিন দিন হারিয়ে যেতে বসেছে। এর ফলে বাংলাদেশের নকশিকাঁথার ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে বললেই চলে।তারপর আমি কিছু সময় নকশিকাঁথার কারুকাজ করা গুলো দেখলাম।
মমতার ছোয়া হস্ত শিল্প
তারপর সেখান থেকে আমরা মমতা ময়ী হস্তো শিল্পে গেলাম। সেখানে হাতের তৈরি কারুকাজ করা বিভিন্ন রকমের ব্যাগ,বাড়ির ঘরের গেটের সামনে ঝুলিয়ে রাখা বিভিন্ন রকমের দ্রব্য দেখতে পেলাম।আমরা দুইটি কারুকাজ করা অবাস্তব পাখি দেখতে পাই।অনেক সুদক্ষ মানুষদের দ্বারায় পাখিগুলো সুতো দিয়ে তৈরি করেছেন।হয়তো বেসিক মেলায় না গেলে কখনো দেখতে পেতাম না মানুষ তার ভালোবাসা ও মনের ছবি দিয়ে এতো সুন্দর ভাবে কারুকাজ করে পাখি দুইটি সুতোর মাধ্যমে আমাদের মাঝে তৈরি করে নিয়ে এসেছেন।আমার খুব ইচ্ছে ছিল পাখি দুইটি ক্রয় করার। কিন্তু আর্থ না থাকায় কারুকাজ করা পাখি দুইটি কিনতে পারলাম না।
নীল অপরাজিতা
তারপর সেখান থেকে আমরা নীল অপরাজিতা বুটিকস্ এ গেলাম। সেখানে মেয়েদের বিভিন্ন রকমের চাদর, জামা, কারুকাজ করা শাড়ি ইত্যাদি রাখা রয়েছে।যেহেতু আমরা ছেলে মানুষ তাই সেখানে আর দেখা হয় নাই কারুকাজ করা শাড়ি গুলো।
শেষ দিকে
তারপর আমরা সেখান থেকে অন্যান্য অনেক বুটস্ এ ঘুরে বেড়াই।ঘুরতে ঘুরতে প্রায় ক্লান্ত হয়ে পড়ি।তাই আমরা একটি বুটস্ এ গয়ে বসে আরাম নেই। সেই বুটস্ টি ছিল একটি ফুড। তাই সেখান থেকে আমরা কিছু খাওয়ার জন্য ক্রয় করে নেই এবং সেখানে বসে খাওয়া করি।তার পর আমরা বিশ্রাম গ্রহণ করে আর একটু মেলায় ঘুরাঘুরি করে মেলা থেকে বরে হয়ে পড়ি।
চিকেন বিরিয়ানি
খাওয়ার সময়
মেলা থেকে বের হয়ে আমরা আবার একটি অটোরিকশা ভাড়া করে লালবাগে আসি।লালবাগে আসার পর আমরা একটি বিরিয়ানি হাউজে গিয়ে চিকেন বিরিয়ানির খাওয়ার জন্য অর্ডার করি।অর্ডার দেওয়ার ১০ মিনিট পর আমাদের চিকেন বিরিয়ানির আমাদের মাঝে পরিবেশন করা হয়।চিকেন বিরিয়ানি আমরা ভালো লাগার খাবার গুলোর মধ্যে একটি।তাই বেশি আর দেরি না করে বন্ধুরা মিলে খেতে লাগলাম। খেতে খেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে আসে। তারপর আমরা খাওয়া শেষ করে বের হয়ে কিছু সময় গল্প আড্ডা করে আমি আমার বন্ধুদের বিদায় জানিয়ে হোস্টল চলে আসি।আর এই ছিল আমরা বিসিক শিল্প মেলা যাওয়ার কিছু কথা।
সবাইকে আবারো আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানিয়ে এখানেই আমরা বেসিক শিল্প মেলা যাওয়ার কিছু মুহূর্তো আপনাদের মাঝে আমরা সাধ্য মতো তুলে ধরেছি।আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।কষ্ট করে আমরা পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।
অনেক সুন্দর একটি দিন আমাদের সাথে ভাগাভাগি করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।