রেনডম ফটোগ্রাফি পোস্ট - পর্ব ২৫
উপরের ছবিটাতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি পুকুর তার পাশে প্রচুর গাছপালা। আমরা যে বাড়িটিতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখান থেকেই ছবিটি তুলেছিলাম। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতেই পুকুর থাকে। আবার সে পুকুরের পাশ দিয়ে প্রচুর গাছও লাগানো থাকে। এবার বাড়িটিও তেমনই। প্রচন্ড গরমের ভেতরেও পুকুরের ওই পারে বেশ ঠান্ডা ছিলো। সেখানে দেখতে পেয়েছিলাম একজন মুরুব্বী মানুষ পাটি পেতে গাছের ছায়ায় শুয়ে রয়েছে। দেখেই আমাদের ছেলেবেলার কথা মনে পড়ে গেলো।
উপরের ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন পুকুরে কয়েকটি হাঁস ভেসে বেড়াচ্ছে। এই দৃশ্যগুলো গ্রামের বাড়িতে একেবারেই পরিচিত দৃশ্য। যদিও শহরের পরিবেশে আমরা এই দৃশ্যগুলো এখন কল্পনাও করতে পারি না। এখনো গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতে হাঁস মুরগি গরু-ছাগল পালন করা হয়। তাদের জীবনযাত্রা এখনো শহরের মানুষের থেকে অনেক ভালো। গ্রামের মানুষজন এখনো নিজেদের উৎপাদিত খাবার খেতে পারে। আর আমরা শহরে যারা থাকি তাদেরকে বাজার থেকে নানারকম বিষাক্ত খাবার কিনে খেতে হয়।
এই ছবিতে যে ফলটি দেখতে পাচ্ছেন এটা কে আমরা রয়েল বলে থাকি। হয়তো বিভিন্ন এলাকায় এই ফলের বিভিন্ন রকম নাম হতে পারে। তবে এই ফলের গাছ এখন শহরে একেবারেই দেখা যায় না। আমি যেই বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে এই গাছটি দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম অবশ্য সেই বাড়িতে নানা রকম ফলের গাছ ছিলো। শহরে যে এলাকাতে আমরা থাকি একসময় সেখানে এই ফলের একটা গাছ ছিলো। পরবর্তীতে সেখানে বাড়ি করতে গিয়ে সেই ফলের গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে।
ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন একটি আম গাছে ছোট আকারের আম ধরে রয়েছে। আম এখনো বড় হওয়ার সময় আসেনি। তাছাড়া এবার আমাদের এই অঞ্চলে আম হয়েছেও কম। অন্যান্য বার দেখা যেতো গাছ ভরে আম ধরতো। তবে এবার বেশিরভাগ গাছে আমের দেখা মিলছে না। গ্রামের যে বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে গাছের আম দেখে ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারিনি।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90
---|---
সুন্দর কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন যার মধ্যে পুকুরে হাঁস ভেসে থাকার দৃশ্যটা বেশি ভালো লেগেছে। সবশেষে শেয়ার করা স্বচ্ছ আমের সৌন্দর্যটাও ভালো লেগেছে। ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেশ চমৎকার ধরনের কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আপনার আজকের পোস্টে তুলে ধরেছেন যেগুলো দেখতে একদম দৃষ্টিনন্দন হয়েছে। ফটোগ্রাফি গুলির মধ্যে হাঁসের সাঁতার কেটে ঘুরে বেড়ানো দৃশ্যটি ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার করা ফটোগ্রাফি গুলি একদম চমৎকার হয়েছে, ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে একটি পুকুর না থাকলে যেন চলে না। তাছাড়া পুকুর গুলো এরকম গাছ-গাছালিতে ভর্তি থাকে জন্য আরো বেশি ভালো লাগে দেখতে। অনেকদিন পর রয়েল দেখলাম। দেখে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ছোটবেলা এগুলো গাছ থেকে পেড়ে অনেক খেয়েছি। যাই হোক ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগলো দেখে।
খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো। গ্রামীণ বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যাই আলাদা পুকুরের মধ্যে কিছু হাসির ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছে দেখতে অসাধারণ লাগছে আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ভালো লাগলো আপনাদের রেনডম ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ধন্যবাদ আপনাকে।