বন্ধুর সাথে ঘোরাফেরা সেই সাথে প্রাকৃতিক ও শহরের সৌন্দর্য অবলোকন।

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


আজকে সকাল থেকে প্রচন্ড গরম পড়েছিলো। গরমে তীব্রতা এতটাই ছিলো যে বাড়ি থেকে বের হতে ইচ্ছা করছিলো না। তারপরেও দুপুরের দিকে এক বন্ধুর ফোন পেয়ে ঠিক করলাম বিকেলে দুই বন্ধু মিলে ঘুরতে বের হবো। গতকাল ঈদের পুরোটা দিন বাড়িতেই কাটিয়েছি কোথাও যায়নি। এজন্য নিজের মনের ভেতরেও বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা কাজ করছিলো। যাই হোক বন্ধুর ফোন পেয়ে চিন্তা করলাম বিকালটা ভালই কাটবে। প্রথমে পরিকল্পনা করেছিলাম আমরা বেলা চারটার দিকে ঘুরতে বের হবো। কিন্তু বাইরে তীব্র তাপদাহের কারণে পরবর্তীতে পরিকল্পনা পরিবর্তন করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত বিকাল ৫ঃ০০ টার দিকে দুই বন্ধুর ঘুরতে বের হয়েছিলাম। ঘোরাফেরা শেষে রাত আটটার দিকে বাসায় ফিরেছি। এর ভেতরে বেশ কিছু ছবি তুলেছি। সেই ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।

IMG_20240412_175833.jpg

ঘুরতে ঘুরতে দুই বন্ধু গিয়েছিলাম পদ্মার পাড়ে। সেখান থেকে এই ছবিটি তুলেছি। প্রচন্ড গরমের ভেতরে নদীর এই স্বচ্ছ জল দেখে মনে হচ্ছিলো পানির ভেতরে ঝাঁপ দিয়ে পড়ি। যদিও বহু কষ্টের সেই লোভ সংবরণ করেছি। তবে তখনকার মতো লোক সংবরণ করলেও ঠিক করেছি পরদিন দুই বন্ধু মিলে নদীর পানিতে গোসল করবো। এই প্রচন্ড গরমের ভেতরে নদীর ঠান্ডা পানিতে গোসল করার অনুভূতির সাথে আর কোনো কিছুরই তুলনা হয় না।

IMG_20240412_180720.jpg

এই ছবিটি তুলেছি পদ্মার চর থেকে। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন ছেলেরা পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরে ক্রিকেট খেলছে। আসলে নদীর বুকে এত বড়ো চর জেগে উঠেছে যে সেটাকে অনায়াসে মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা যায়। সেই সুযোগটাই স্থানীয় ছেলেপেলেরা নিয়েছে। বাচ্চাদের খেলার মাঠে সংখ্যা একেবারেই কমে গিয়েছে। এই কারণে তারা কোথাও জায়গা পেলেই সেখানে খেলা শুরু করে দেয়। আমরা দুই বন্ধু সেখানে দাঁড়িয়ে বেশ কিছুক্ষণ তাদের খেলা দেখলাম।

IMG_20240412_190608.jpg

নদীর পাড়ে ঘোরাফেরা শেষ করে মাগরিবের আজানের সময় আমরা আবার শহরের দিকে ফিরছিলাম। ফেরার পথে একটি জায়গায় কিছুক্ষণ বসে ছিলাম অন্য একজন বন্ধুর সাথে আড্ডা দেয়ার জন্য। সেখান থেকে এই ছবিটি তুলেছিলাম। আমরা যেখানে বসেছিলাম সেটি মূলত ছিলো একটি পুকুর ঘাট। আসলে সেটাকে পুকুর না বলে একটা খাল বলা যেতে পারে। রাতের অন্ধকারে ছবি তুলে ক্যামেরার সক্ষমতা পরীক্ষা করছিলাম। আমি এর আগে যেই মোবাইলটা ব্যবহার করতাম সেটার ক্যামেরায় রাতের ছবি ভালো আসতো না। তবে বর্তমান মোবাইলের ক্যামেরার রাতের ছবিতে আমি সন্তুষ্ট।

IMG_20240412_195706.jpg

IMG_20240412_195726.jpg

IMG_20240412_195832.jpg

IMG_20240412_200010.jpg

IMG_20240412_200131.jpg

উপরের ছবিগুলোতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন আলোকসজ্জা করা বেশ কিছু বিল্ডিং। এই বিল্ডিং গুলোর ভেতর রয়েছে সরকারি কয়েকটা দপ্তর। সেই সাথে কিছু দোকানপাটের ছবিও রয়েছে। আসলে ঈদ আসলেই আমাদের শহরের বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে এইভাবে আলোকসজ্জা করা হয়। যেটা দেখতে আমার কাছে দারুন লাগে। রাতের শহরে আলো ঝলমলে এই বিল্ডিং গুলো শহরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয়। রাতের এই সৌন্দর্য দেখার জন্য বহু সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ রাতের বেলায় রিকশায় করে শহরময় ঘুরে বেড়ায়।

আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।


ফটোগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত ডিভাইস | HONOR 90

---|---

স্থান | ফরিদপুর


ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

এই শহরটি আমার অনেক চেনা।নদীর পাড় বিশেষ করে এক ভালো লাগার জায়গা সবার।এখানে বিকেল বেলা বান্ধবীদের সাথে ঘুরতে গিয়েছি কয়েকবার।অনেক সুন্দর লাগে রাতের শহর।সুযোগ হলে কোনো দিন বন্ধুদের সঙ্গে এভাবে সৌন্দর্য অবলোকন করব আপনার মত।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.12
JST 0.029
BTC 62001.44
ETH 3479.98
USDT 1.00
SBD 2.51