মোস্তাফিজুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচ | | ২৮-০৯-২০২১ | | 10% beneficiarie to @shy-fox
- সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আমি আমার দ্বিতীয় পোস্টটি করতে যাচ্ছি।
আশা করি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। গতকাল আমাদের জমির হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বেধনী ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালের ম্যাচটি নিয়ে৷ আমি আজকের পোষ্টটি করতে যাচ্ছি।
⚽ ফুটবল ম্যাচ ⚽
ফুটবল নিসন্দেহে একটি জনপ্রিয় খেলা। গ্রাম বাংলায় এর জনপ্রিয়তা আরো অনেক বেশী। বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই ফুটবল ভালোবাসে। আমাদের জমির হাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোস্তাফিজুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। গতকার এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মাঠে প্রবেশের জন্য যে মেইন গেইটটি ছিলো সেটি বেলুন দিয়ে সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছিলো।
মাঠে প্রবেশ করে আমি তো পুরাই অবাক। পুরো মাঠ অনেক সুন্দরভাবে সাজানো ছিলো। মাঠের চারপাশে চেয়ার বসানো ছিলো। মানুষের চেয়ারে বসে খেলা দেখার সুযোগ ছিলো। পুরো মাঠ জুজে প্রায় ৭০০ এর মতো চেয়ার বসানো হয়েছিলো। বিকাল সাড়ে তিনটার সময় আমি মাঠে যাই। গিয়ে দেখি মাঠের যেই পাশে ছায়া আছে সেই পাশের অনেকগুলো চেয়ার আগেই দখল হয়ে গেছে।
বিকাল ৪ টার পর দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠে নামলো। মাঠে নেমে দুই দলের খেলোয়াড়রা অনুশীলন করলো কিছুক্ষন। তারপর অতিথিরা আসলে তাদের বরণ করে নেয়া হয়। দুই দলের খেলোয়াড়রা মাঠে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে এবং অতিথিরা তাদের উদ্দেশ্যে কিছু শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। আজকের খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বতীপুর উপজেলার চেয়ারম্যান মোঃ হাফিজুল ইসলাম প্রামানিক।
তারপর বেলুন উড়িয়ে প্রধান অতিথি খেলার উদ্বোধন করে দেয়। তারপর অতিথিরা মাঠ থেকে বের হয়ে আসার পর রেফারির বাশিতে খেলা শুরু হয়।আজকের খেলাটি ছিলো রোবট রোস্তম রংপুর বনাম সৈয়দপুর একাডেমীর মধ্যকার। লাল জার্সি পরিহিত দল হলো সৈয়দপুর একাডেমী এবং সবুজ ও সাদা রংয়ের জার্সি পরিহিত দলটি হলো রোবট রোস্তম রংপুর। সৈয়দপুর একাডেমী সেন্টার করার পর খেলাটি শুরু হয়।
দুই দলই অনেক ভালো খেলছিলো। আক্রমণ পালটা আক্রমনে খেলা চলছিলো। রংপুরের দর্শকরা তাদের দলের খেলোয়াড়দের উৎসাহ দিচ্ছিলো। প্রথম আর্ধে সৈয়দপুর একাডেমী অনেক ভালো দেখছিলো। তবে সৈয়দপুরের গোলকিপারটা একটু দূর্বল বলে আমার মনে হলো।
প্রথিম আর্ধ গোলশূন্য ড্র হয়। তারপর মাঠের যেপাশে ছায়া দুই দল ওইপাশে এসে বিশ্রাম নিছিলো।তাদের কোচ এসে তাদেরকে তাদের ভূল ধরিয়ে দিচ্ছিলো ও প্রেরনা যোগাচ্ছিলো। দুই দলের খেলোয়াড়দের জন্য ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। হাফ টাইমের পর খেলোয়াড়ের কিছু পরিবর্তন দেখা যায়।
২য় আর্ধের খেলা শুরু হলে খেলাটি আরো জমজমাট হয়। ২য় আর্ধে রোবট রোস্তম রংপুর যেন নতুন একটি রুপে ফিরে আসে। প্রায় এক তরফা খেলা হচ্ছিলো কিছুটা। সৈয়দপুর বলই পাচ্ছিলো না তেমন। তবে আক্রমণ তারাও ভালো করছিলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই রংপুর একটি গোল করে ফেলে। উল্লাসে মেতে ওঠে পুরো মাঠ। কিছুক্ষনের মধ্যেই রংপুর আরো একটি গোল করে বসে কিন্তু সেটি অফসাইডের ফাদে পরে যায়।
অনেক তুমুল খেলা চলছিলো। দর্শক একটু মাঠাটা বাড়িয়ে খেলা দেখার চেষ্ঠা করছিলো। কিছুক্ষনের মধ্যেই রংপুর আরো একটি গোল করে বসে। রংপুরের সমর্থকরা উল্লাসে মাঠে নেমে পড়ে। তারপর খেলা আবারো শুরু হয় রংপুর আবারো একটা গোল দেয় তবে দূর্ভাগ্যবসৎ এটাই অফসাইড ছিলো তাই এই গোলটিও বাতিল হয়ে যায়। শেষ পর্যায়ে সৈয়দপুর অনেক ভালো খেললেও সোনার হরিণ নামক গোলের দেখা আর পায় নি।
রেফারি বাশির মাধ্যমে খেলা শেষ হলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর। চেয়ারে বসে খেলা দেখছিলাম বলে বুঝতে পারি নি কতো দর্শক হয়েছিলো। খেলা শেষ হওয়ার পর যখন মাঠে নামলাম তখন বুঝতে পারলাম যে কত খেলাপাগল আজকের খেলা দেখতে এসেছিল। আমার ধারনা অনুযায়ী প্রায় ৫ হাজারেরও বেশী দর্শক খেলা দেখতে এসেছিলো। আমার দেখা মতো জমির হাটের বুকে এটাই সবচেয়ে বেশী দর্শক এর পরিমান। সামনের শনিবার এই টুর্নামেন্টের ২য় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বন্ধুরা এই ছিলো আমার আজকের পোষ্ট। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আবারো হাজির হবো কোনো একদিন কোনো একটি নতুন টপিক নিয়ে।
আমার সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ
আমার নাম মোঃ সোহাগ হোসাইন। আমি বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার পার্তীবপুর থানায় বসবাস করি। আমি একজন দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। আমি খোলাহাটি ডিগ্রি কলেজ থেকে আমার লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্চি। আর্ট করতে, ফটোগ্রাফি করতে ও নতুন কিছু করতে আমি খুব ভালোবাসি।
নিঃসন্দেহে ফুটবল জনপ্রিয় খেলা এবং অনেক সুন্দর ছিল বাইরে আমি একদমই মনমুগ্ধকর হয়ে গেছি আকাশে ও সৌন্দর্যের পাশাপাশি গাছপালা ।ফুটবল 90 মিনিটের খেলা হয়। শিশু ও বয়স্ক সকলে ভালোবাসা সমানভাবে। খেলা দেখার উত্তেজনা অনেক এবং অনেক মজা করছেন আপনি সময়টুকু এবং হাফটাইমের সময় বিশ্রাম নিচ্ছিল পানির ব্যবস্থা ছিল এবং ৭০০ সিটের ব্যবস্থা ছিল এক কথায় অসাধারন ছিল আপনারা সময়টুকু
ধন্যবাদ ভাইয়া