কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমি আপনাদের দোয়ায় আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি। সকলকে শুভকামনা জানিয়ে শুরু করছি আজকের একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারো উপস্থিত হয়েছি গাংনী বাজারে কেনাকাটার মুহূর্ত নিয়ে। আশা করি আমার এই পোস্ট পড়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
গাংনী বাজারে এসে উপস্থিত হয়ে প্রথমে আমার ছোট বোনকে মাদ্রাসা থেকে রিসিভ করলাম। এরপর আমরা তিনজন মিলে বাজারের দিকে এলাম। আমার বড় ভাই বিদেশ থেকে একটি সুন্দর ঘড়ি পাঠিয়ে ছিল। আমার ছোট বোনের জন্য। কিন্তু ঘড়িটার চেইন তার হাতে বড় হচ্ছিল। ঘড়িটা বাড়ি থেকে আসার সময় আমি সাথে করে এনেছি। গাংনী বাজারের উপস্থিত হয়ে রয়েছে রোইস ঘড়িঘর। এই ঘড়ি ঘরে আমি এর আগে অনেকদিন উপস্থিত হয়েছি ঘড়ি কিনতে অথবা ঘড়ির ব্যাটারি চেঞ্জ করতে।
চেইনটা একটু ছোট করতে হবে। এইজন্য একটি ঘড়ি ঘরে এসে উপস্থিত হলাম। কিভাবে চেইন কাটে সেটা আমাদের দুই বোনের জানা ছিল না। এরপর আমরা তিনজন মিলে চেইন কাটা দেখলাম। আমার হাজব্যান্ড বলছিল এটা আমি পূর্বে দেখেছি খুব সহজ একটি কাজ। তার হাতে থাকা ছোট্ট এই মেশিনের মাধ্যমে কেটেছিল। আমি মনে করেছিলাম চেইন কাটতে মনে হয় অনেক সময় লাগে। কিন্তু দেখলাম মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে হয়ে গেল। এরপর সে চেইন কাটার দাম পরিশোধ করলো। এরপর আমরা চলে গেলাম পোশাক কেনার উদ্দেশ্যে।
প্রথমে খোঁজ করলাম বোরখা। আমার ছোট বোন বোরখা নিবে একটা। সে কালো বোরখা ছাড়া কোন বোরখা পছন্দ করে না। মাদ্রাসার মেয়েরা বিভিন্ন প্রকার বোরখা ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এ মাদ্রাসায় নিয়ম কালো বোরখা। আমার বোন সেই নিয়ম মেনে চলে। সব সময় সে কালো বোরখা ব্যবহার করে। কিন্তু তার মনের মত বোরখা আমরা দুই তিনটা ঘরে পেলাম না। সে একটু অন্য রকমের কালো বোরখা খোঁজ করছিল।
এরপর আমি থ্রি পিস কেনার জন্য পাশের একটি পরিচিত দোকানের উপস্থিত হলাম। আমি আমার প্রয়োজনীয় পোশাকের জন্য এই দোকানটাতে বেশি আসা-যাওয়া করি। কারণ এখানে সকল প্রকার সিট কাপড় পাওয়া যায়। প্রয়োজনীয় থ্রি পিস গুলো এখানে পাওয়া যায়। আর দীর্ঘদিনের পরিচিত হয়ে যাওয়ায় দোকানটাই বেশি আসা-যাওয়া হয়ে থাকে। বেশ কিছু থ্রি-পিস দেখার পর তিনটা পিস আমার খুব পছন্দ হলো। যাই হোক তার মধ্য থেকে সুন্দর একটি থ্রি পিস চয়েজ করে ফেললাম। ৭০০ টাকা দাম মিটলো। এরপর সে টাকা পরিশোধ করলো।
এরপর চলে আসলাম আমাদের এক ফুফাতো ভাইয়ের কসমেটিকসের দোকানে। ভাইয়ার দোকানে সব সময় ভালো মানের কসমেটিক সামগ্রী পাওয়া যায়। তবে এটা নিশ্চিত থাকি যে ভেজালমুক্ত সঠিক কোম্পানির কসমেটিক সামগ্রী এখানে পাই। বেশ কিছু কসমেটিকস এর জিনিস দেখলাম। এরপর ফেসওয়াশ সব প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনে নিলাম। এদিকে ছোট বোনের জন্য কয়েকটা জিনিস কিনে দিলাম। আর এভাবেই দীর্ঘক্ষণ গাংনী বাজারে আমরা তিনজন কেনাকাটা করলাম। বাকি অংশ পরবর্তীতে শেয়ার করব।
পোস্ট বিবরণ:
বিশেষ | তথ্য |
ক্যাটাগরি | শপিং |
লোকেশন | গাংনী বাজার |
ফটোগ্রাফার | @simransumon |
ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
মোবাইল | Infinix hot 11s |
দেশ | বাংলাদেশ |
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আপনার ছোট বোন মাদ্রাসায় পড়ে জেনে ভালো লাগলো। বেশ চমৎকার করে আপনাদের কেনাকাটার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। তবে একটা জিনিস ভালো বলেছেন। কসমেটিক্স কেনার ক্ষেত্রে জিনিসটা নকল না আসল এটা জানা খুবই জরুরী। এজন্য পরিচিত আত্মীয়-স্বজনের দোকান থেকে কেনাকাটা করতে পারলে কিছুটা নিশ্চিত থাকা যায়।
এখন কসমেটিক সামগ্রীর মধ্যে বেশি ভেজাল থাকে ভাইয়া। আর সে ভেজাল জিনিস ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকারক। তাই একটু বুঝে শুনে নেওয়ার চেষ্টা করি। আপনার মন্তব্য পড়ে খুশি হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া।