বিভিন্ন প্রকার ফল ও খাবারের ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন সকলে। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম, আমার প্রিয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি নিয়ে। যেখানে বেশ কিছু ফল আর রেসিপি এর ফটোগ্রাফি থাকবে। আশা করি আমার প্রিয় খাবারগুলো আপনাদের ভাল লাগবে।
প্রথমে আপনাদের মাঝে যে ফটোটা নিয়ে উপস্থিত হলাম তা হচ্ছে বরই বা কুল এর ফটোগ্রাফি। এগুলো আমাদের গাছের বরই। বিশ সুস্বাদু ছিল আমাদের গাছের কুলগুলো। আমাদের বাড়িতে বেশ কয়েকটা গাছ রয়েছে। আর প্রতিটা গাছে কলম বান্দা ছিল। এই জন্য বিভিন্ন প্রকার কুল হত।
এখন আমের সময়। গাছে গাছে আম প্রায় ফুরিয়ে এসেছে তবে বাজারে এখনো অনেক আম পাওয়া যায়। আপনাদের মাঝে যে আমের ফালি দুটো দেখানো হয়েছে তা ছিল ল্যাংড়া আম। এই আমগুলো অনেক বড় বড় হয়ে থাকে। খেতেও বেশ সুমিষ্ট হয়ে থাকে। আমাদের গাছের ল্যাংড়া আমটা খুব ভালো মানের। অনেক সুস্বাদু হয়।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন প্লেটে কাঁঠাল উঠানো। এটা আমাদের গাছের কাঁঠালের চিত্র। আমাদের গাছের কাঁঠাল খুবই মিষ্টি হয়ে থাকে। এই কাঁঠাল পাকা যেমন খাওয়া যায়, তেমন কাঁচা কালেও রান্না করে খাওয়া যায়। তাই উভয় সময় চেষ্টা করে থাকি কাঁচা অথবা পাকা উভয় ভাবে খাওয়ান। কাঁঠালের বিচি ভর্তা আমার কাছে আরো বেশি ভালো লাগে।
খিচুড়ি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। তবে খিচুড়ির সাথে অনেকেই ভাজা ডিম আবার রান্না ডিম খেতে পছন্দ করে থাকে। আমি মোটামুটি রান্নার ডিম গুলোই বেশি পছন্দ করি খিচুড়ির সাথে। এ জাতীয় রেসিপি গুলো প্রায় তৈরি করা হয় আমাদের পরিবারে। খিচুড়িগুলো যদি হয় কলায়ের ডাল দিয়ে রান্না তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে।
আমরা বরবটি সবজিটা খেয়ে থাকি কিন্তু সম্পূর্ণ বরবটির বিচি কখনো রান্না করে খেয়েছি কি? বরবটির বিচি আলাদা করে ভাজি করে রান্না করে খেতে খুবই ভালো লাগে। কিছুটা ডিমের কুসুমের মত স্বাদ অনুভব করা যায়।
এটা একটি নাম না জানা পিঠা। তবে অনেকে জামাই পিঠা বলে সম্বোধন করে থাকে। তবে এভাবে পিঠা তৈরি করে খেতে খুবই ভালো লাগে। তেলের পরিমাণটা একটু কম দিতে হবে। যদিও তেলে ভাসতে হয় তবে ভাগার সময় তেল ঝরিয়ে নিতে হবে,অতিরিক্ত তেল থাকলে স্বাদ কম পাওয়া যায়। আর ময়দাটা খুব ভালোভাবে প্রস্তুত করে নিতে হবে তৈরি করার পূর্বে।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন সেমাই রান্নার রেসিপি। সেমা একটু ঝোল ঝোল আকারে রান্না করতে পারলে খেতে ভালো লাগে। তবে বিভিন্ন মসলার উপাদান এর সাথে কিসমিস বাদাম অবশ্যই দিতে হবে। কিসমিস ও বাদাম দিলে সেই সিমাই বেশি সুস্বাদু হয়। আশা করব এভাবে সুন্দর সময় রান্না করে খাবেন।
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
---|---|
বিষয় | ফুড ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @simransumon |
দেশ | বাংলাদেশ |
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খাবারের ফটোগ্রাফি দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কারণ বিভিন্ন ধরনের খাবার দেখলে লোভ লেগে যায়। আপনার আজকের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। ঠিকই বলেছেন বরবটির বিচি আলাদাভাবে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। বড়ইগুলোও লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো বেশ ভালো লেগেছে, বরবটির বীজ দিয়ে কখনো রান্না করে দেখিনি তবে সিমের শুকনো বীজ ভিজিয়ে রান্না করেছি বহুবার। বইরকুল শীতকালে পাওয়া যায় আমরা সরস্বতী পুজোর পরে খেয়ে থাকি। এখন তো এখানে বেশ হাইব্রিড গুলো পাওয়া যায়। আপনার ছবিতে দেখে মনে হচ্ছে কোন গুলো ছোট ছোট। ওইগুলি বেশি সুস্বাদু।
বাহ আজকে তো আপনি খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ফল এবং খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। তবে এটি ঠিক কাঁঠাল পাকা এবং কাঁচা দুই ভাবে খাওয়া যায়। তবে আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। চমৎকার ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
লোভনীয় সব খাবারের ছবিগুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। বিশেষ করে আপনাদের গাছের বড়ই গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। নিজের গাছের ফল খাওয়ার আনন্দই আলাদা। চমৎকার ছিল আপনার ফটোগ্রাফিগুলো।