প্রথমে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন উঠানের দন্ডায়মান দুইটা কবুতর। এই কবুতর দুইটা দেখতে অনেক সুন্দর। এরা সব সময় আমাদের আশেপাশে থাকার চেষ্টা করে,বেশি একটা ভয় পায় না। আর ভীতু কবুতরগুলো আশেপাশে থাকে না, উড়ে চলে যায় চালের উপর। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই আম্মা অথবা ছোট ভাই এদের ঘর খুলে দেয়। এরা ঘর থেকে বের হয়ে গাছের ডালে অথবা ঘরের চালে বসে। তবে যেদিন ঘর খুলতে একটু দেরি হয় সেদিন ঘরের মধ্যে থেকে বারবার ডাকতে থাকে। কবুতরের ডাক শুনতে আমার খুব ভালো লাগে। তারা বিভিন্ন ভঙ্গিতে ডাকতে থাকে।
ঘর খুলে দেওয়ার পর আম্মা এদের জন্য ভুট্টা গম অথবা ধান উঠানে ছিটিয়ে দেয়। কবুতরগুলো উঠানে এসে খেতে শুরু করে। তবে মাঝেমধ্যে আমাদের ছাগলগুলা একটু ডিস্টার্ব করে তাদের খাওয়াতে। কারন আমার ছাগলটা বারবার তাদের খাবার কুড়িয়ে খেয়ে নিতে থাকে। তারপরেও এদের খাবার খাওয়ার মুহূর্ত দেখতে খুবই ভালো লাগে। যখন সব কবুতর পাখি একসাথে গুছিয়ে খাওয়া দাওয়া করে তখন আরো ভালো লাগে। তবে দুর্ভাগ্য ফটো ধারণ করার সময় সব উড়ে যেতে লাগল।
এদিকে দেখতে পাচ্ছেন কবুতর ঘরের বারান্দায় অনেকগুলো কবুতর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ঘরটা খুব যত্ন সহকারে কষ্ট করে আমার আব্বা আর ছোট ভাই মেরামত করেছিল। তবে পাশের গ্রামের ঘর বিক্রেতাদের কাছ থেকে এই ঘরটা কিনে আনা হয়েছিল অনেক বছর আগে। কিছুদিন আগে ঘরের নিচে চারটা খুঁটি দেওয়া হয়েছে। তাই এখন ঘরটা বেশ দেখতে সুন্দর লাগে। কবুতরগুলো প্রায় সময় লক্ষ্য করা যায় খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ঘরের সামনে বারান্দায় বসে, ঘুরাঘুরি করছে,খেলছে বা তাদের কণ্ঠে ডাকছে। মাঝে মধ্যে এপাশ থেকে ওপাশ তাদের ঘুরাঘুরি করতে দেখতে ভালো লাগে।
এদিকে খাবার খাওয়া শেষ হলে কিছু কবুতর উড়ে গিয়ে আমাদের গরুর গোয়াল ঘরের চালের উপর বসে থাকে। তবে মাঝেমধ্যে কিছু কবুতর আগে হারিয়ে যেত। এখন ইদানিং যায়হোক সেই সমস্যা কমে গেছে। তবে কবুতর পোষায় অনেক লাভ রয়েছে। প্রায় বাচ্চা হতে থাকে সেগুলো বিক্রি করে অনেক টাকা হয়। আর যে কবুতরগুলো ভালোভাবে পৌষ মেনে যায় বাড়ি থেকে সেগুলা দূরে যায় না। আগে আমি কবুতরগুলো পরিচালনা করতাম তবে বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর আমার ছোট ভাই টা বেশি দেখাশোনা করে পাশাপাশি খাবার দাবার দিয়ে থাকে আমার আম্মা। আর এভাবেই কবুতরগুলো লালন-পালন করা চলে। আমাদের পরিবারের সবাই কবুতর খুব পছন্দ করে এবং কবুতর যত্নে রাখে। আমারও ইচ্ছে রয়েছে আমাদের বাড়িতে কবুতর পালার। আমার বাবু বড় হলে আমিও কবুতর পোষা শুরু করে দিব। আপনারা কে কে কবুতর পুষতে পছন্দ করেন অবশ্যই আমার কমেন্টে জানাবেন।
Photography device: Huawei P30 Pro-40mp
পোস্ট বিবরণ
বিষয় | কবুতরের ফটোগ্রাফি |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | মোবাইল ফোন |
ক্যামেরা | Huawei P30 Pro-40mp |
আমার লোকেশন | Gangni-Meherpur |
ফটোগ্রাফার | @simransumon |
দেশ | বাংলাদেশ |
ব্লগটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। কবুতরগুলো দেখতে অনেক সুন্দর, আপনাদের বাসায় বেশ কিছু কবুতর দেখে অনেক ভালো লাগলো। কবুতর আমার ও অনেক ভালো লাগে আমি ও আমার বাসায় কবুতর পুষি। আপনি ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এছাড়াও অনেকগুলো আছে এখনো
ও আচ্ছা তাহলে তো অনেক ভালো।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
কবুতরগুলো দেখতে অনেক সুন্দর, আর বাড়ির ছাদে কিংবা ব্যালকনিতে এদের উপস্থিতি নিঃসন্দেহে শোভা বৃদ্ধি করে, পরিবেশকে গমগমে করে রাখে।
তবে কবুতর পোষা অনেকের শখ, আমি অবশ্য পাশের বাসার কয়েকটা ছেলের পোষা কবুতরের উড়ে যাওয়া আর খাবার খাওয়ানো দেখে অভ্যস্ত৷ নিজে সর্বোচ্চ একটি টিয়ে পাখি পুষেছি, হা হা !
যা হোক, ছবি ও বর্ণনা দারুণ হয়েছে৷ ধন্যবাদ সরস বিনোদনের জন্য, 👍
আপনি ঠিক বলেছেন।
কবুতর পুষতে আমারও ভীষণ ভালো লাগে।আপনার বাড়ির কবুতর গুলো ভীষণ পোষ মানা হয়েছে। দারুণ হয়েছে কবুতর গুলো। আপনার বিয়ের পর আপনার কবুতর গুলো আপনার ভাই দেখাশুনা করে এবং আপনার বাবু বড়ো হলে আপনিও কবুতর পালন করবেন কেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ সুন্দর পোস্ট টি ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
হ্যাঁ আপু আমারও ভালো লাগে
আপনাদের কবুতরের ফটোগ্রাফি গুলো আপনি দারুণ ভাবে উপস্থাপন করছেন। কবুতর পোষ মানলে সেগুলো পোষতে খুবই ভালো লাগে। যাইহোক এতো সুন্দর কবুতর গুলো দেখতে আমার খুবই ভালো লাগলো। আপনি ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এভাবে উৎসাহ দিলে আরো সুন্দর ফটো শেয়ার করতে পারব
অসম্ভব সুন্দর কয়েকটি ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু।এই ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে।খুবই চমৎকার ভাবে ফটো গুলো তুলেছেন।যা দেখে বেশ মুগ্ধ হলাম।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি
আপু আপনাদের বাসায় থাকা কবুতর গুলো দেখে কিন্তু খুবই ভালো লাগলো। আমাদের বাসায়ও বেশ কিছু কবুতর আছে। কিন্তু ফটোগ্রাফি করা হয়নি কখনো। ফটোগ্রাফি করতে গেলেই তো দৌড়ে চলে যায়। দারুন সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমার এখানে অনেকগুলো উড়ে গেছিল
অনেক সুন্দর কবুতরের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছে দেখছি। খুবই ভালো লাগলো এত সুন্দর ফটোগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করতে দেখে। আমি জানি আমার শ্বশুরের বাড়িতে অনেক কবুতর রয়েছে। ঠিক তার মধ্য থেকে বেশ কিছু ফটো ধারণ করে শেয়ার করেছ তাই অনেক অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ কেউ জানুক বা না জানুক তুমি জানো।
বাহ আপনি তো খুব সুন্দর সুন্দর কবুতরের ফটোগ্রাফি করেছেন। কবুতর শান্ত প্রাণী দেখতে বেশ ভালই লাগে। তবে আপনাদের মত আমাদের বাড়িতে কবুতর আছে। তবে আমাদের কবুতরগুলো সকাল বেলা বাসার দরজা আমি খুলে দিই। এবং কবুতরের ডাক গুলো শুনতে বেশ ভালই লাগে। যাই হোক চমৎকার চমৎকার কবুতরের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া
আমি সেদিন তোমাদের ওখানে গিয়েছিলাম এবং এই কবুতর পাখিগুলো দেখেছিলাম। আমার বেশ ভালো লেগেছিল এত এত কবুতর দেখে। আরো বেশি ভালো লাগলো ছোট ভাই কবুতরগুলো দেখাশোনা করে জেনে।
আপনার মন্তব্য পড়ে ভালো লাগলো আপু