বিভিন্ন সময়ে প্রস্তুত করা খাবারের ফটোগ্রাফি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার অশেষ মেহেরবানীতে ভালো আছেন সকলে। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম ভালো লাগা কিছু রেনডম খাবার ফটোগ্রাফি নিয়ে। আশা করি আমার প্রিয় ফটোগুলো আপনাদের ভাল লাগবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে দেখে আসি আমার প্রস্তুত করা খাবার গুলো।
Edit by infinix mobile gallery
এই পিঠাটা অনেকের জামাই পিঠা নামে জানেন। তবে যারা বিক্রয় করে থাকেন তারা আরো সুন্দরভাবে তৈরি করে থাকেন। আমি একজন চেষ্টা করেছিলাম কতটা সুন্দরভাবে তৈরি করতে পারি। তাই দুই বোন মিলে তৈরি করেছিলাম এবং আমাদের পরিবারের সবাইকে খাওয়ানোর চেষ্টা করেছিলাম। মোটামুটি স্বাদ হয়েছিল অনেক। চাইলে আপনারা তৈরি করতে পারেন।
আমরা চাইলে খুব সুস্বাদু রূপে শরবত তৈরি করতে পারি বিভিন্ন উপাদানের মাধ্যমে। এবং সেই শরবতকে ফ্রিজের মধ্যে জমিয়ে বরফ তৈরি করতে পারি। প্রচন্ড গরমের মুহূর্তে এমন ছোট ছোট ঘর গুলো খেতে ভালো লাগে। তাই মাঝে মধ্যে ফ্রিজে এভাবে বরফ তৈরি করে থাকে। খেতে ভালো লাগে একই সাথে বরফ ও শরবতের স্বাদ পাওয়া যায়।
নারিকেলের নাড়ু পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। ঠিক আমিও পছন্দ করি হে জাতীয় সুন্দর রেসিপি গুলো। তবে বর্তমান নারিকেলের খুবই দাম। নিজেদের কিছু গাছ থাকায় খুব সহজে তৈরি করে খেতে পারি। নারিকেল এবং গুড়ের দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় পাশাপাশি হাতে কোলে বাবু থাকায় সেভাবে তৈরি করা হয় না আর। নারিকেলের নাড়ু তালের বড়া চেয়ে বেশি ভালো লাগে। তবে এই দুইটা জিনিসই আমার খুব প্রিয়।
অনেকে আছেন ডিম ভাজা খেতে খুব বেশি পছন্দ করে। আর সেখানে যদি একটু পেঁয়াজ বেশি খুশি করে দেয়া হয় তাহলে আরো দারুন লাগে। কিন্তু গ্যাসের প্রবলেম হালা মানুষগুলোর এটা এড়িয়ে চলা উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণ গ্যাসের প্রবলেম সৃষ্টি করে। কিন্তু বিশেষ প্রয়োজনের শর্টকাটে ডিম ভাজাটা খুবই কাজে আসে।
ঝালমুড়ি খেতে পছন্দ করে না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। বিশেষ করে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা ঝালমুড়ি খাওয়ার প্রতি বেশি আগ্রহী। আর ঠিক তেমনি অভ্যাসটা আমারও গড়ে উঠেছে স্কুল কলেজ থেকে। তবে সেখানকার বিক্রেতাদের কাছ থেকে কিনে খেতে গেলে এতটা তৃপ্তি পাওয়া যায় না কারণ টাকার তুলনায় অতি কম হয়ে থাকে। নিজের বাড়িতে যদি তৈরি করে খাওয়া যায় তাহলে মন ভরে খাওয়া যায়। তাইতো নিজেদের বাড়িতেই তৈরি করেছিলাম বিভিন্ন উপাদানের সমন্বয়ে। যেখানে গাজর থেকে শুরু করে ঝালমুড়িতে দেওয়া কোন উপাদান বাদ যায়নি।
বরবটি আমার অতি প্রিয় একটি সবজি। তবে বরবটির বিচি আলাদা করে ভাজি করে খেতে খুবই ভালো লাগে। এখানে আপনারা বরবটির বিচি ভাজি দেখতে পাচ্ছেন। ঢেঁড়সের সমন্বয়ে এই বিচি ভাজি করেছিলাম। কারণ ঢেঁড়সের সাথে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। তবে এর মধ্যে যদি মেটে আলু অথবা ডিম ভেঙে দেওয়া যায় তাহলে আরো সুস্বাদু হয়।
আমরা মাছে ভাতে বাঙালি কথা সত্য। ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। কিন্তু ভাতের তুলনায় রুটি আমাদের শরীরের জন্য বেশি উপকার। তাই প্রত্যেকদিন এক বেলা রুটি খাওয়া একান্ত প্রয়োজন। তবে যাদের গ্যাসের প্রবলেম রয়েছে তারা রুটির খেয়ে সহ্য করতে পারে না। তাই ছোট থেকে রুটি খাওয়ার অভ্যাসটা তৈরি থাকলে গ্যাসের প্রবলেমটা কম হয়। আমি খুবই পছন্দ করি। তাই আমাদের পরিবার প্রত্যেকদিন রুটির ব্যবস্থা করে।
এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সিদ্ধ ডিম রান্না। উপস্থিত প্রয়োজনে এভাবেও ডিম রান্না করে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা যায়। পরিবারে আত্মীয়-স্বজন আসলে অথবা দ্রুত কোথাও খেয়ে যেতে হলে এভাবে আর ডিম রান্নাটা বেশি সহায়তা প্রদান করে থাকে বা অল্প টাইমে কাজ সম্পন্ন করা হয়ে যাবে। তাই আমি এভাবে খেতে বেশি পছন্দ করি
পোস্ট বিষয়ক | তথ্য |
---|---|
ডিভাইস | Itel vision 1 / Infinix Hot 11s |
বিষয় | রেনডম ফটোগ্রাফি |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @simransumon |
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মোছাঃ সিমরান জারা। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য সুমন জিরো নাইন এর পরিবার। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর। আমি একজন গৃহিণী। আমি ফটোগ্রাফি, রেসিপি পাশাপাশি ব্লগ করতে বেশি পছন্দ করে থাকি। এছাড় বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করতে ভালো লাগে। আমি এসএসসি পাশ করেছি। গাংনী ডিগ্রী কলেজে অধ্যায়ণরত রয়েছি।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
খাবারের ফটোগ্রাফি করতে আমার কাছেও ভালো লাগে। তবে মাঝে মাঝে ফটোগ্রাফি করলেও অনেক সময় ফটোগ্রাফি করার সুযোগ হয়ে ওঠে না। আপু আপনি বিভিন্ন সময়ের করা ফটোগ্রাফি গুলো সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন দেখে ভালো লাগলো। খাবার গুলো দেখতে অনেক লোভনীয় লাগছে।
আমি চেষ্টা করেছি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করতে।
চমৎকার সব খাবারের ছবিগুলো দেখে ভালো লাগলো আপু। ডিম ভাজার ছবিটা বেশী সুন্দর লাগছে। ডিম ভাজা খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। অসাধারণ সব ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমিও বেশ ভালোবাসি।
আপনার লোভনীয় খাবার এর ফটোগ্রাফি পোস্টটি খুব ভালো লাগলো।আসলে যেকোনো ফটোগ্রাফি করতে দক্ষতার প্রয়োজন ।রাইট অ্যাঙ্গেল থেকে ফটোগ্রাফি না করলে ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে ভালো লাগেনা।অনেকটা সুন্দর করে ফটোগ্রাফির বর্ণনা দিয়েছেন।সবগুলো ফটোগ্রাফি জাস্ট লোভনীয় লাগছে দেখতে।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
এত সুন্দর মন্তব্য করেছেন দেখে আমার ভালো লাগলো।